নিজস্ব প্রতিবেদক, যুক্তরাজ্য

১৯ অক্টোবর, ২০২১ ১৮:৪১

সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে লন্ডনে গণসংগীত ও প্রতিবাদী গান

বাংলাদেশে ধারাবাহিক সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, যুক্তরাজ্য শাখা। প্রতিবাদ সভায় গোপাল দাসের সৌজন্যে গণসংগীত ও প্রতিবাদী গান পরিবেশন করে যুক্তরাজ্য উদীচী ও সত্যেন সেন স্কুল অব পারফর্মেন্স।

পূর্ব লন্ডনের আলতাব আলী পার্কে সংগঠনের  সভাপতি সৈয়দ এনামুল ইসলামের  সভাপতিত্বে  এবং সাধারণ সম্পাদক রুবি হকের সঞ্চালনায়, বৃষ্টি মাথায় নিয়ে বিকাল ৫টা থেকে শুরু হয়ে তিন
ঘন্টাব্যাপী চলে  প্রতিবাদ সমাবেশ। লন্ডনের প্রগতিশীল  রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, লেখক, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক কর্মী সহ শতাধিক  মানুষ সমবেত হয়েছিলেন এই প্রতিবাদ সমাবেশে।

সাংবাদিক সৈয়দ আনাস পাশার প্রারম্ভিক  বক্তব্যে, বৃষ্টি আর তার কান্না একাকার হয়ে গিয়েছিল। বক্তব্য রাখেন নাম জানা অজানার অনেকের মধ্যে সিপিবি নেতা এডভোকেট আবেদ আলী আবিদ, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগেরসহ সভাপতি হরমুজ আলী, কেন্দ্রীয় উদীচীর কার্যকরী পরিষদের ডাক্তার রফিকুল ইসলাম জিন্নাহ, যুক্তরাজ্য ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সাবেক সভাপতি আনসার আহামেদ উল্ল্যাহ, ৭১ এর শহীদ পরিবারের সন্তান প্রশান্ত  পুরকায়স্থ, ইঞ্জিনিয়ার সুশান্ত দাশ গুপ্ত, যুক্তরাজ্য বাংলাদেশ সনাতন এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সুজিত চৌধুরী, ছাত্রলীগ ভারপ্রাপ্ত  সভাপতি জাকির আখতারুজ্জামান, সাংস্কৃতিক কর্মী স্মৃতি আজাদ, নারী নেত্রী সৈয়দা নাজনীন সুলতানা শিখা, সেকুলার মুভমেন্টের নেত্রী পুষ্পিতা গুপ্তা, ব্যারিস্টার  সৈয়দ রুম্মান, কয়েছ আলী, অজন্তা দেব রায়, কামরুল ইসলাম তুষার,সুশান্ত দাস প্রশান্ত সহ ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে বিভিন্ন সামাজিক রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

বক্তারা বলেন, ‘সবাই তাদের বক্তব্যে উল্লেখ করেন, বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া নারকীয় এই তাণ্ডবের ঘৃণা জানাতে কোন দল, সংগঠন নয়, মানুষ হিসাবে, বাঙালি হিসাবে এখানে সমবেত হয়েছি।’

বক্তারা আরও বলেন ‘রাজনৈতিক দোষারোপ এর সংস্কৃতি, এইসব ঘটনার সুষ্ঠু বিচার  না হওয়ার সংস্কৃতি আমাদের প্রগতিশীল দাবীদারদের অনৈক্য বারবার সুবিধা আদায় করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন এবং এই নির্দিষ্ট  সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার কোন ভাবেই এই দায় এড়াতে পারে না। একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা কে কেন্দ্র করে সপ্তাহব্যাপী এই নারকীয় তাণ্ডবলীলা সরকার ও প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।’

বক্তারা বলেন, ‘আমরা এই বাংলাদেশ চাই না বলে বলে, এই বাংলাদেশটি আমরা সাম্প্রদায়িক শক্তির হাতে তুলে দিচ্ছি। সংখ্যালঘু নির্যাতনের সুফল বারবার  আওয়ামী লীগের বাক্সেই যায়। রামু, নাসির নগর, শাল্লা অতীতে কোন  ঘটনার সুষ্ঠ বিচার না হওয়া এর জন্য দায়ী’ বলে উল্লেখ করেন। ৭২ এর ধর্ম নিরেপেক্ষ সংবিধানে ফিরে যেতে ও সরকারের প্রতি দাবী জানান।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত