নিজস্ব প্রতিবেদক

০১ এপ্রিল, ২০১৬ ০১:১২

নিরঞ্জন দে’র তথ্যচিত্র ‘পুণ্য সলিল সকাশে’র মোড়ক উন্মোচন

মানবধর্মই বড় ধর্ম। সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার পণাতীর্থের বারুণী স্নান ও শাহ আরফিন (রহ.) এর আস্তানায় সকল জাতি-ধর্ম-বর্ণ-সংস্কৃতির এক যৌগিক মিলনক্ষেত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ‘পুণ্য সলিল সকাশে’ তথ্যচিত্রটির মোড়ক উন্মোচনের অনুষ্ঠানে আলোচকরা এসব কথা বলেন।

সিলেট নগরীর রিকাবীবাজারস্থ কবি নজরুল ইসলাম অডিটোরিয়ামে সিলেট ফিল্ম সোসাইটির আয়োজনে ও ঢোলক কমিউনিকেশন এন্ড মিডিয়া লিমিটেডের সহযোগিতায় তথ্যচিত্রটির মোড়ক উন্মোচন, প্রদর্শনী ও আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মদনমোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ ড. আবুল ফতেহ ফাত্তাহ, দৈনিক উত্তরপূর্বের প্রধান সম্পাদক আজিজ আহমদ সেলিম, মেট্রোলিটন ইউনির্ভাসিটির পরিচালক (অর্থ) মিহির কান্তি চৌধুরী, ঢোলক কমিউনিকেশন এন্ড মিডিয়া লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেবাশীষ ঘোষ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম সেলিম, সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত। পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় করেন সিলেট ফিল্ম সোসাইটির সদস্য সচিব অসিত বরণ দাশ গুপ্ত। তথ্যচিত্রটি নিয়ে কথা বলেন তথ্যচিত্রটির নির্মাতা নিরঞ্জন দে।
 
আলোচকরা বলেন, এই তথ্যচিত্রটির নির্মাতা ইতিপূর্বে বাউল শাহ আবদুল করিম, ব্রিটিশ উপনিবেশবিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামী সুহাসিনী দাস, পন্ডিত রামকানাই দাশকে নিয়ে তথ্যচিত্র নির্মাণ করেছেন তার মধ্যে দিয়ে তিনি তার অনুসন্ধানী মন ও সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে বিভিন্ন পর্যায়ে প্রশংসা কুড়িয়েছেন। তার ভিন্নধর্মী এই কাজের মধ্য দিয়ে আমাদের ঐতিহ্য ইতিহাস ফুটে উঠেছে। আগামীতেও সিলেটের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আরো তথ্যনির্ভর তথ্যচিত্র নির্মাণ করবেন  এই প্রত্যাশা করেন আলোচকরা।

আলোচকরা আরো বলেন, ‘পুণ্য সলিল সকাশে’ তথ্যচিত্রটির মাধ্যমে সিলেটের সুপ্রাচীন লাউড় রাজ্যের ইতিহাস, যাদুকাটা নদী, পণাতীর্থের বারুণী স্নান, শাহ আরফিন (রহ.) এর আস্তানার ওরশ ও সকল ধর্মের মানুষের মিলনমেলার চিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন।
 
উল্লেখ্য গত ২০ ফেব্রুয়ারিতে আত্মপ্রকাশিত সিলেট ফিল্ম সোসাইটির এটি ছিল প্রথম আয়োজন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত