নিজস্ব প্রতিবেদক

১৭ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:২২

শখের বসেই ছবি তোলা শুরু জসিম উদ্দিনের

নিতান্ত শখের বসেই ক্যামেরার পেছনে থেকে ছবি তোলার শুরু জসিম উদ্দিনের। একটা সময়ে সেই শখ নেশায় পরিণত হয়ে পরে। সেই থেকে ছবি তোলতে ক্যামেরা হাতে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছুটে বেড়ানোর শুরু। তার ছবি তোলার ধরণ অন্যদের চেয়ে বেশ আলাদা। জীবনধর্মী ছবি তোলার প্রতি ঝোঁক জসিম উদ্দিনের। তাইতো ৫২ বছর বয়সে ছবির নেশায় জীব বিচিত্রতার খুঁজে ক্যামেরা হতে হাওর-বাওর, ঝর্ণা-নদীতে ছবির তালাশে ঘুরে বেড়ান জসিম উদ্দিন।

শুক্রবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রকৃতির উৎসব শিরোনামে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র জসিম উদ্দিনের দুইদিন ব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনীর প্রথম দিনে কথা হয় সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোর ডটকমের এই প্রতিবেদকের সাথে।

এসময় কথা প্রসঙ্গে তিনি জানান, সিলেটের প্রকৃতির মিশেলে আদিবাসী ও চা শ্রমিকদের জীবনধারা তাকে খুবই কাছে টানে। আলোকচিত্র মানুষকে সচেতন হতে শেখায়, দেশপ্রেম জাগিয়ে তোলে। কখনও কখনও সমাজ বদলের হাতিয়ার হয়ে উঠে আলোকচিত্র। আলোকচিত্রে আমরা খুঁজে পাই প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য, বর্তমান ও হারিয়ে যাওয়া অতীত ঐতিহ্যকে।

সিলেটের পাঠানটুলা এলাকার বাসিন্দা জসিম উদ্দিন আক্ষেপের সুরে জানান, ছবি তোলার কাজ করতে গিয়ে তিনি সিলেটের সুরমা নদীর দূষণ তাকে তাড়িত করে। এই দূষণ থেকে নদীকে বাঁচাতে না পারলে সুরমা নদীর জীব বৈচিত্র্য এক সময় বিপন্ন হয়ে যাবে। এ থেকে পরিত্রাণে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান তার।  

১০৬টি ছবির মধ্যে বিভিন্ন প্রজাতির প্রজাপতির ২৬টি ছবি স্থান পেয়েছে স্থান পেয়েছে আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে। এছাড়াও গোধূলি, মাছ ধরা, টাংগুয়া হাওরের জীবনধারা, পিয়াইন ও গোয়াইন নদীর জীবনধারা নিয়ে তার তোলা ছবিগুলো স্থান পেয়েছে ২ দিনের এই প্রদর্শনীতে। ব্যতিক্রমধর্মী এই প্রদর্শনী চলবে শনিবার রাত ৯টা পর্যন্ত।

শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় ১৫টি ছবি বিক্রি হয়েছে বলে তিনি জানান। এর আগে ১৯৯২ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে তার প্রথম আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।

নিউইয়র্ক ফটোগ্রাফি সোসাইটির অনলাইন শিখন কোর্স করেছেন জসিম উদ্দিন। ডিএসএলআর ৩২০০ নাইকন মডেলের ক্যামেরা আর বিভিন্ন টেলিরেন্স দিয়ে ছবি তোলেন তিনি। স্ত্রী নাসরীন জাহান মাধুরী একটি বেসরকারি স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষকতা করার পাশাপাশি সাহিত্য চর্চায় নিজেকে যুক্ত রেখেছেন। এই দম্পতির এক ছেলে ও এক মেয়ে বাবা মায়ের কাজে সবসময়ই উৎসাহ যোগায় বলে জানান জসিম উদ্দিন।  

আপনার মন্তব্য

আলোচিত