অনলাইন প্রতিবেদক

১৭ মে, ২০১৬ ১৪:০৯

সেই ছাত্রই বলছে, ‘স্যার ধর্ম নিয়ে কোন কটূক্তি করেননি’

যে ছাত্রের বরাত দিয়ে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে লাঞ্ছিত করা হল দশম শ্রেণী পড়ুয়া সেই ছাত্র রিফাত বলছে প্রধান শিক্ষক তাকে মারধোরের সময় ধর্ম নিয়ে কোন কটূক্তি করেননি।

বেসরকারি টেলিভিশন একাত্তর টিভির সাথে এক সাক্ষাতকারে রিফাত বলেছে, স্যার তাকে মারধোর করায় সে বিচার চাইতে কমিটির কাছে গিয়েছিল কিন্তু মারধোরের সময় ধর্ম নিয়ে কোন মন্তব্য করেননি তিনি।

একই মত রিফারের মায়েরও। শিক্ষক ধর্ম নিয়ে কোন অবমাননা করেছেন বলে তিনিও শোনেন নি।

আরও পড়ুন - মসজিদের মাইকে গুজব রটিয়ে শিক্ষককে লাঞ্ছিত করেন সেলিম ওসমান

গত ১৩ মে বিকেলে ধর্ম অবমাননার মিথ্যা অভিযোগ রটিয়ে  নারায়ণগঞ্জের  কলাগাছিয়া ইউনিয়নের কল্যান্দি এলাকায় পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে সবার সামনে কান ধরে উঠবস করিয়ে ক্ষমা চাওয়ান স্থানীয় সংসদ ও জাতীয় পার্টি নেতা সেলিম ওসমান। সেলিম ওসমান সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, শ্যামল কান্তি ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করায় এলাকাবাসীর রোষ থেকে তাকে বাঁচাতে গিয়েছিলেন তিনি। তবে ভিডিওতে দেখা যায় সাংসদ সেলিম ওসমান নিজেই শিক্ষককে কান ধরে উঠবস করে শাস্তি দিচ্ছিলেন।


এদিকে এলাকাবাসীরা বলছেন বাইতুল আতিক জামে মসজিদের মাইকে কারা যেন ঘোষণা দেয় শিক্ষক ধর্ম নিয়ে কথা বলেছেন। তবে মসজিদের মাইক ব্যবহার করে কারা এই ঘোষণা দিল তা জানেন না মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনও।

আরও পড়ুন- শিক্ষক শ্যামলকান্তির অপমানের বিচার চাইলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

এই বিদ্যালয়ের ইসলাম ধর্ম শিক্ষার শিক্ষক বলেন, "শ্যামল স্যার ধর্ম নিয়ে কখনো কোন উগ্র কথা বলেন নি"।

এই ঘটনার তিনদিন পর বন্দর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আকম নুরুল আমিনকে প্রধান করে ৩ সদস্যের ওই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অপর দুই সদস্য হচ্ছেন উপজেলা প্রকৌশলী ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা। এই ঘটনায় দেশব্যাপী তুমুল সমালোচনার ঝড় বইছে। পুলিশ এই ঘটনায় ফৌজদারি অপরাধ খুঁজে না পাওয়ার কথা বললেও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন-দণ্ডবিধিতে এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

ভিডিও : ‘স্যার ধর্ম নিয়ে কোন কটূক্তি করেননি’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত