ইয়াকুব শাহরিয়ার

২৬ জানুয়ারি, ২০২২ ২২:২১

ভিসির আঁকড়ে ধরা পদ ও চাষাভুষা প্রসঙ্গ

আমাদের সমাজটা বিগড়ে গেছে বলে আমরা অনেক চিল্লাচিল্লি করি। ক্রমশ দিন ফুরিয়ে যাবার পর এমন দেখতে হবে বলে কখনো কখনো মাটিতে আসন পেতে বসেও থাকি। মাঝে মাঝে অজানার উদ্দেশে একটা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলি—বিগড়ে যাওয়া সমাজটা রক্ষা করবে কে? আধুনিকতার এ যুগে আমরা আসলে কাদের ছায়াতলে আশ্রয় নিয়ে বখে যাওয়া সমাজটাকে পুনরুদ্ধার করবো? এখানে আমি বা আমরা একেবারে অসহায়ের চরিত্রে উপনীত হয়ে এমন প্রশ্ন মুখে আওড়াই। আর এতেই আমাদের সীমাবদ্ধ থাকতে হয়। তখন কোনো নেতা, মহানেতা, জন-মহাজনেরা আমাদের এ প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার বোধ করেন না। এমনকি মুখ দিয়ে টুঁ শব্দটিও উচ্চারণ করেন না। তাই প্রশ্ন করবার পর উত্তরহীন হয়ে অনেকক্ষেত্রেই আমি, আমরা বা আমাদের মতো নিরীহ প্রাণিরা চুপ করে থাকতে হয়। মানাতে হয়; মানিয়ে নিতে হয়। আমাদের নিজ হাতে গড়া সমাজকে মানতে বাধ্য করতে হয়। কেন মানতে হয়—এমন প্রশ্নের উত্তর এ লেখায় না হয় না-ই খুঁজলাম। তবু একটি আলেখ্য ইচ্ছে থাকে যে সমাজটা যদি একটু বাঁচাতে পারি! তাই হয়তো এক অলিক ভরসায় ফসলি ক্ষেতে কোমর উল্টে সকাল-সন্ধ্যা পড়ে থাকা আমাদের ঋষিতুল্য অভিভাবকরা চান আমরা লেখাপড়া করি। আর ভঙুর সমাজটাকে একটু তুলে ধরি সভ্যতার দিকে। ভালোবাসার মলাটে সুন্দর একটি সমাজ নির্মাণ করি এমনটাই চান আমার ‘চাষাভুষা’ পিতা। তাই জন্যে তাঁদের নিদারুণ কষ্টের যে পাঠ আছে তা লিখে প্রকাশ করার নয় কিংবা এমন দুঃসাধ্য কাজ কে করেছে কোন কালে? অনেক কিছুই হয়তো লিখে প্রকাশ যায় কিন্তু একজন আমাকে মানুষ করতে অথবা আপনাকে একজন তথাকথিত শিক্ষিত করে তুলতে এ দেশের চাষাভুষাদের নিদারুণ কষ্টের অথচ গৌরবের ইতিহাস কাগজে কলমে লিখে রাখার নয়। এ ইতিহাস শুধু গৌরবের আর বুক ভরা অহংকারের। সেই অহংকার যখন তাচ্ছিল্যের বিষয় হয়ে দাঁড়ায় তখন আমাদের অস্তিত্ব লুটায় যুগের পদতলে। আর তা যদি হয় একজন উঁচু শ্রেণির শিক্ষিত মানুষ দ্বারা তখন মন চায় কষে চপেটাঘাত করি ওইসব তথাকথিত শিক্ষিতের গালে!

২.
আমি গ্রামের ছেলে। আমার হাওরে কোনো জমি নেই, চাষবাসের সাথে আমাদের তেমন কোনো ঘনিষ্ঠতা নেই। তবে শুনেছি আমার পূর্বপুরুষ সকলেই চাষা ছিলেন, রাখাল ছিলেন, কৃষিমজুর ছিলেন। তাঁরা কষ্টেসৃষ্টে আমার দাদা-বাপকে মানুষ করেছিলেন বলে আজ আমরা তৈরি হয়েছি। যদিও বর্তমানে আমাদের পেশা কৃষি নয় তবু আমরা পরোক্ষভাবে কৃষির সাথে সম্পর্কিত। শুধু আমি না বোধকরি এদেশের প্রতিটা মানুষ কৃষির সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত। আর কৃষিপ্রধান দেশ হিসেবে এমনটা হওয়াও স্বাভাবিক।

যারা প্রজাতন্ত্রের চাকর আছেন, সরকারি চাকরি বলে মহাজনি ভাব নেন তাদের কথায় এবার আসা যাক। তারা প্রথমত মানুষ কথাটা একেবারেই ভুলে গেলে চলবে না এবং এ লেখা যে প্রত্যেক শিক্ষিতদের আঘাত করার জন্য লেখা হয়েছে তাও কিন্তু নয়। লেখাটি তাদের জন্য যারা এখনো চাষাভুষার সন্তান হতে পারেননি। শিক্ষিত হওয়ার আগে মানুষ হতে হয় বলে অনেক বিজ্ঞজনরাই বাণী দিয়ে থাকেন। সত্যিকার্থে আমরা ক’জনইবা মানুষ হতে পেরেছি।

আমি একটি কলেজের প্রভাষক। ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয় পড়াই। ক্লাসে যখন প্রবেশ করি তখন থেকে বেরিয়ে আসা পর্যন্ত আমার একটা লক্ষ থাকে পাঠ পড়ানোর ফাঁকে ফাঁকে শিক্ষার্থীদের একটু নৈতিক শিক্ষা দেওয়ার। তাদের মস্তিষ্কে এটা ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করি যে তারা চাষাভুষার সন্তান। তাদের সকলের মা, বাবা, পরিবার, সমাজ ও দেশের প্রতি একটা দায়িত্ব আছে সেটা বুঝানোর চেষ্টা করি। চেষ্টা করি তাদেরকে এটা বুঝানোর যে, তাদেরকে শিক্ষিত হওয়ার আগে মানুষ হতে হবে। মানুষ হওয়া খুব জরুরি। এখন আর কেউ মানুষ হওয়ার জন্য লেখাপড়া করেন না। লেখাপড়া করেন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, বৈমানিক, বড় চাকুরিজীবী কিংবা শিক্ষক হতে। যেমন শিক্ষক হয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. লায়লা আশরাফুন। তিনি এতোটাই উন্মাদ হয়েছেন যে, উত্তম আর অধমের তফাৎটাই বুঝেন না। নিজেকে মহাপণ্ডিত জাহির করতে এই দেশের সবচেয়ে সম্মানিত শ্রেণির লোকদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ ও অসম্মানজনক কথাবার্তা বলেছেন।

৩.
চাষাভুষা আসলে কারা? তাদের কাজ কী? তাদের দ্বারা আমাদের সমাজ তথা দেশের কতটুকু উপকার হচ্ছে ওই শিক্ষক কি তা জানেন? তিনি কি চাষাদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে ওয়াকিবহাল? না-কি তিনি জানেনই না যে, ঘটনাক্রমে তিনি যে মাত্রার শিক্ষক হয়েছেন সে মাত্রার শিক্ষকের চেয়ে আমার দেশের মাঠের চাষাভুষার মান-মর্যাদা অনেক উপরে? তিনি না হয় চাষাভুষা কেউ নন, তার পূর্বপুরুষ কেউ কি কখনো চাষাভুষা ছিলেন না? না-কি চাষাভুষার সংজ্ঞাই তিনি জানেন না? তার কথাবার্তায় একটা কথা কোনোভাবেই মাথায় আসে না যে, তিনি আসলে কোন শিক্ষায় শিক্ষিত? দেশের সবচেয়ে উঁচু শ্রেণির যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে তার মধ্যে শাবি অন্যতম। দেশের সবচেয়ে বড় ডিগ্রি নিয়ে এতো হীনম্মন্য শিক্ষিত শ্রেণির মানুষ কীভাবে এমন মহৎ পেশায় আসলেন? তারা এতোদিন ধরে শিক্ষার্থীদের কী শিক্ষা দিচ্ছেন? উন্নত, মানবিকতা আর মানুষ হওয়া শিক্ষা পাওয়ার যে পাদপীঠ সে পূণ্যভূমে তিনি আসলে কী ভাষা-শব্দের চর্চা করছেন? শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনের প্রতিবাদ বাক্যকে ‘অশালীন গালিগালাজ’ আখ্যায়িত করে একজন পদলোভী, অমানুষ, বেহায়া ভিসির প্রেসক্রিপশন নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়লেন। তাও এটা আপনার নিত্যনৈমিত্তিক কাজ নয়। সম্ভবত শিক্ষক হওয়ার পর প্রথম রাস্তায় নেমেছেন। আর কদাচিৎ রাস্তায় নেমে কী নোংরাভাবেই না চাষাভুষা বলে আপনার অস্তিত্বকেই আপনিই অপমান করলেন!

না জানি ক্লাসে, ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে কিংবা বাড়িতে বাসার কাজের লোকেদের সাথে কোন ভাষায় কথা বলেন। আমি অবাক হই এই ভেবে কী করে আপনারা শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি না মেনে কিংবা ভিসিকে মানতে বাধ্য না করে ভিসির পক্ষ নিয়ে রাস্তায় নামেন, কোন বিবেকে? শিক্ষার্থীদেরকে কি কখনো আপনাদের সন্তান মানতে পারেননি? তাদের যৌক্তিক আন্দোলনকে নিজের সন্তানের দাবি বা আন্দোলন মানতে পারেন নি? যদি পারতেন তাহলে কীভাবে প্রতিবাদী হয়ে রাস্তায় নামেন? বই পড়ে শিক্ষা অর্জন হয় বটে প্রকৃত শিক্ষিত হতে হলে শিক্ষার সাথে মানবিকতা বা কৃতজ্ঞতাবোধের একটা মিশেল রক্তের সাথে থাকতে হয়। যেটা ড. লায়লা শিখতে পারেননি, পূর্বপুরুষের পেশাকেও অসম্মান করেছেন। অসম্মান করেছেন বাংলাদেশের অস্তিত্ব যাঁদের হাতে—সেইসব চাষাভুষাদের। এর জন্য প্রকাশ্যে দেশের সকল চাষাদের কাছে এমনকি চাষাভুষা শব্দের কাছে তাকে ক্ষমা চাওয়া উচিৎ।

৪.
ভয়ঙ্কর একটা ঘটনা শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটছে। ঘটনা চলমান। ভিসির আচরণ ভালো না। শিক্ষার্থীদেরকে কনভিন্স ক্ষমতা তিনি রাখেন না। যদি এই ক্ষমতাটুকু তার থাকতো ঘটনা এতদূর গড়ায় না। শিক্ষার্থীদের কথা শুনে তাদের আশ্বাস দিতে পারতেন। কমিটি গঠন করে তদন্ত করে সমাধানও করতে পারতেন। তা তিনি করেননি। গায়ের জোর আর খুঁটির জোর দেখিয়েছেন। সেটা দেশবাসী পরবর্তীতে বুঝেছেন। শিক্ষামন্ত্রী তাৎক্ষণিক সিলেটে না আসা, ভিসির পালে হাওয়া দিয়ে কথা বলায় আমরা সাধারণরা বিষয়টি নিয়ে এইটুকু অন্তত বুঝেছি- ‘পাঁঠা নাচে খুঁটির জোরে’ প্রবাদবাক্যটি আবারও সত্যতায় প্রমাণিত হয়েছে। নিরীহ শিক্ষার্থীর উপর গুলি, তারপর অনশন। কী ভয়ঙ্কর অবস্থা! একে একে অনশনরত সব শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলো, মরতে বসলো তবু ভিসির পদ নড়ে না। ক্ষমতার কী মোহ! কত বড় বেহায়া ভিসি। কতটুকু নির্লজ্জ ভিসি। শিক্ষকতা পেশার আর মান রাখলো না। এরপর আবার কী হলো? শিক্ষার্থীদের চিকিৎসায় বাধা দেওয়া হলো, টাকাপয়সা লেনদেন করতে দেওয়া হচ্ছে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের তুলে নিয়ে যাচ্ছে। কী একটা অবস্থা! অসুস্থতার মুখে শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশন প্রত্যাহার করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের আন্দোলন চলুক।

দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা একেবারে টালমাটাল। কোন দিকে যাবে শিক্ষার হাল সে কথা খোদ সরকারও বলতে পারবে কি না সন্দেহ আছে। আমরা যারা আমজনতা সরকারের দিকে চেয়ে আছি তাদের দৃষ্টি আরও ঘোলা হয়ে আসছে। করোনা ভাইরাসের কারণে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও সরকার কার্যত কোনো ব্যবস্থাও নিতে পারছে না। এমন একটা পরিস্থিতিতে ভিসি ফরিদ উদ্দিন শিক্ষার্থীদের উস্কে দিলেন। আগুনে ঘি ঢালার মতো করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীদের উপলক্ষ করে এক বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসেন। এজন্য তিনি অবশ্য জাবি শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। তার এ ক্ষমা চাওয়ায় এটাও প্রমাণ করে যে তিনি ক্ষমতার ভারে একেবারেই ন্যুব্জ হয়ে আছেন। শরীর-মন লোড নিচ্ছে না তাই আবুলতাবুল বলা বা করা শুরু করেছেন। যা তার পতনের বীজ রোপণ করেছে ক্রমাগত।

৫.
খুবই শান্তিপ্রিয় আন্দোলন হচ্ছে। পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ; তারপর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন। সবগুলোতে ছাত্রদের অবদানের কথা এদেশের ইতিহাসের পাতায় জ্বল জ্বল করে জ্বলছে। ছাত্রদের কোনো আন্দোলনই এদেশে বৃথা যায়নি। কারণ ছাত্ররা যে আন্দোলনে যোগ দেয় বুঝেশুনেই যোগ দেয়। এ আন্দোলনও যৌক্তিক। এখানে শিক্ষার্থীদের অধিকারের কথা বলা হয়েছে। একসাথে সব দাবি পূরণ করা সম্ভব না থাকলে খণ্ড খণ্ডভাবে তাদের দাবি পূরণ করা যেতে পারতো। কিন্তু তা করা হলো না। পুলিশ দিয়ে তাদের পেটানো হলো, গুলি করা হলো। এসব অতিরিক্ত করা হয়েছে। ছাত্ররা তা মানতে পারেননি। আন্দোলনে নেমেছেন। যৌক্তিক আন্দোলন। দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমনকি সাধারণ মানুষজনও তাদের আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়েছেন। প্রতিবাদমুখর হয়ে উঠছেন ভিসির পদত্যাগের দাবিতে।

ভিসি ফরিদ উদ্দিনের এখনো সময় আছে পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর। যৌক্তিক আন্দোলনের মুখে তিনি এ পদে আর থাকতে পারেন না। অনেক আগেই তিনি এ পদের জন্য অনুপযুক্ত হয়েছেন। যে ভিসিকে শিক্ষার্থীরা অপসরণ চায় সে ভিসি নিলাজ হয়ে ক্যাম্পাসে থাকবেনই বা কী করে। যদিও তিনি এখন অসম্মানিতভাবে ভিসির চেয়ার দখল করে আছেন তবু তিনি একজন উচ্চশিক্ষিত মানুষ। তার উচিৎ শিক্ষা মান বিবেচনায় আত্মসম্মান বোধ নিয়ে সরে যাওয়া।

সরকারও দেখছি বিষয়টি নিয়ে ভিসিপন্থী। আমরা চাই একজন ভিসির জন্য সরকারের বড় বড় অর্জন যেনো ম্লান না হয়। এক ভিসি গেলে আরও ভিসি আনা যাবে তবে একবার যদি ছাত্র আন্দোলন গণআন্দোলনে রূপ নেয় তাহলে সে ঢেউ আটকানোর ক্ষমতা লৌকিক কারো নেই। সে আগুনে ঘি ঢালার জন্য স্বাধীনতা, উন্নয়নবিরোধী শক্তিরা তো ওঁত পেতে বসে আছে। তাই শিক্ষার্থীদের দাবি মানতে ভিসিকে বাধ্য করতে হবে। শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এ জল ঘোলা হওয়ার আগেই যেনো সিলেটে এসে এ সংকট নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেন এ কামনা করি। তিনি চাইলে এতোদিনে সিলেটে আসতে পারতেন। সকালে হেলিকপ্টারযোগে এসে সমস্যার সমাধান করে সন্ধ্যার আগে ঢাকা পৌঁছতে পারতেন। তাতে তিনি নন্দিত হতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি। কেন করেননি তিনিই ভালো জানেন।

লায়লা ম্যাম সম্পর্কে দু’চারটি কথা বলে আজকে ইতি টানবো। আপনাকে জ্ঞান দেওয়ার দরকার মনে করছি না। যথেষ্ট জ্ঞান আপনার আছে। চাষাভুষা শব্দের ব্যবহার ও প্রয়োগ জেনে কথা বলতে হবে। এভাবে নিজের অস্তিত্বকে অস্বীকার করা যাবে না। যা করেছেন তারজন্য ক্ষমা চেয়ে নিন। শাবির আন্দোলন সফলতা লাভ করুক। সাস্টিয়ানদের জন্য শুভ কামনা। বিজয় হবেই।

ইয়াকুব শাহরিয়ার: শিক্ষক ও সাংবাদিক

আপনার মন্তব্য

আলোচিত