তপন কুমার দাস

১৬ জুন, ২০১৬ ২২:৪৯

বড়লেখার ওসি, ছাত্রলীগের মানববন্ধন ও সাংবাদিকদের নৈতিকতাবোধ

বৃহস্পতিবার লেখাটি যখন লিখতে বসি তখন পর্যন্ত মৌলভীবাজারের বড়লেখায় থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে করা ছাত্রলীগের মানববন্ধন ও এর সংবাদ কভারেজ না করায় স্থানীয় সাংবাদিকদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নানা সমালোচনার রেশ কিছুটা কাটলেও সাধারণ মানুষের মন থেকে তা মুছে যায়নি।  

এবার আসি লেখার মূল উদ্দেশ্যে, গত ৮ জুন বড়লেখা উপজেলা ছাত্রলীগ ও সহযোগী সংগঠন থানার অফিসার ইনচার্জের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করে। মানববন্ধনের সংবাদটি স্থানীয় সাংবাদিকরা কভারেজ না করায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সাংবাদিকদের নিয়ে আপত্তিকর ভাষায় নানা মন্তব্য করা হয়। অনেকেই না জেনে নানা ধরণের অশালীন, ভুল শব্দ প্রয়োগের মাধ্যমে সাংবাদিকদের সম্পর্কে সমালোচনা করেছেন। আমার পারিবারিক সমস্যার কারণে গত ৫ জুন থেকে ১১ জুন পর্যন্ত সংবাদ সংগ্রহ করতে পারিনি। তাই এর নেপথ্য কারণ সম্পর্কেও জানা সম্ভব হয়নি।

সংবাদকর্মী হিসেবে সমাজের প্রতি, মানুষের প্রতি আমাদের কিছু দায়বদ্ধতা রয়েছে। এ দায়বদ্ধতা নিয়ে মহান পেশাতে নিয়োজিত থেকে সমাজের মানুষের জন্য, ভালো কিছু করার জন্য সদা সচেষ্ট থাকি। নীতিবোধ ও নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে এ পেশাকে কলঙ্কিত করতে চাই না। নৈতিকতা ও নীতিবোধের মধ্যে থেকে সমাজের অনিয়ম ও দুর্নীতির চিত্র জনসমক্ষে প্রকাশ করাই সাংবাদিকদের কাজ।

একজন রিপোর্টারের কাছে সকল খবরই আসবে। কোনো খবরকেই তিনি অগ্রাহ্য করবেন না। কিন্তু যখন সেই খবর পাঠকের পাতে তুলে দেবেন, তখন ভেবে দেখবেন এই খবরটি পাঠকের থালায় মুক্ত হবার পর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয় কিনা। যদি এমনটি হয় তবে সেটা হবে সংবাদ পরিবেশনে সমাজকে পরিশুদ্ধ করার বিপরীতে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করা।

আর এ জন্য সমাজ ও মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে প্রকৃত সত্য আড়াল করে হাজারো সংস্থা বাহবা কুড়ানোর জন্য একজন ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করে ব্যক্তি অথবা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে সমাজ ও মানুষের মনে ভুল ধারণা জন্ম দেয়ার চেয়ে অবলীলায় ক্রোড় ধিক্কার কুড়ানোই উত্তম বলে আমি মনে করি।

‘ঘুষ-দুর্নীতি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, চুরি, ডাকাতি বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ৮ জুন থানার অফিসার ইনচার্জের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ মানববন্ধন করে।’

এতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বড়লেখা উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি তানিমুল ইসলাম তানিমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন-উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সঞ্জয় দাস, ময়নুল ইসলাম, কামরান আহমদ, চম্পক দাস, ছালেক আহমদ, সাধারণ সম্পাদক শাহেদুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ আহমদ, হাফিজুর রহমান, কবির আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন আহমদ, জুনেদ আহমদ, রিফাত আহমদ, পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি ছিদ্রাতুল কাদের আবির, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর রাহের পারভেজ রিপন, ছামাদ আহমদ, সজিবুর রহমান, তুহিন আহমদ, ফয়ছল আহমদ, মান্নান আহমদ, জাকের আহমদ, শিমুল আহমদ প্রমুখ।

তবে মানববন্ধন নিয়ে ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলে তাদের বক্তব্য জানতে চাইলে এ ব্যাপারে কেউই মুখ খোলতে রাজি হননি। ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের এ মানববন্ধন নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের প্রতিক্রিয়া জানতে অনেকের সাথে কথা হয়। কিন্তু এ বিষয়ে কেউ বক্তব্য দিতে রাজি হননি।

ছাত্রলীগের মানববন্ধন ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ সার্বিক বিষয়ে অফিসার ইনচার্জ তাঁর বক্তব্যে জানিয়েছেন, যোগদানের পর থেকে বড়লেখা থানার আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কল্পে যারপরনাই আমি পরিশ্রম এবং কষ্ট করে যাচ্ছি। পেশাদারিত্বকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে মাননীয় হুইপ (মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন) স্যারের পরামর্শ ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে বড়লেখা থানা এলাকার চুরি, ডাকাতি ছিনতাইসহ অপরাধ প্রবণতা রোধকল্পে সার্বিক কার্যক্রম গ্রহণ করেছি। ২২০ জন নতুন ও পুরাতন ডাকাতের তালিকা করেছি। তালিকাভুক্ত ডাকাত অধ্যুষিত বড়লেখার ডাকাতি প্রবণ এলাকায় আমার কার্যকালে ৩টি ডাকাতি মালার আসামী গ্রেপ্তার মালামাল উদ্ধারসহ সার্বিক কার্যক্রম গৃহীত হয়েছে। দিনের বেলায় ও রাতে চুরির ঘটনায় চোর ফারুক, শেখ, মদু, রাজু, রুহুল, আবুল হোসেন, জুনেদসহ কমপক্ষে ৪০ জন চুরকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেছি। নারী শিক্ষা কলেজের প্রিন্সিপালের বাসায় চুরিসহ বিভিন্ন চুরি মামলার নগদ টাকা, মোবাইল, ল্যাপটপ, ট্যাব উদ্ধার করেছি। বড়লেখার বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে। আমার কার্যকালে উল্লেখযোগ্য হত্যা মামলার মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতা মজির উদ্দিন, আদিবাসী তরুণী মোনালিসা, চা শ্রমিক মিনতি মোন্ডা ও চা শ্রমিক হত্যাসহ সবগুলোতেই আসামী গ্রেপ্তার ও কার্যবিধি ১৬৪ ধরার জবানবন্দিসহ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।

গত ২২/০১/২০১৫ তারিখে বড়লেখা যোগদানের পূর্ব ও পর থেকে জামায়াত শিবিরসহ নাশকতা সৃষ্টিকারীরা প্রতিনিয়ত রাস্তায় ব্যারিকেড, টায়ারে অগ্নি সংযোগ, গাড়ি ভাংচুর, গাড়ি পুড়ানো ইত্যাদি নাশকতা মূলক কার্যক্রম চালিয়েছিল। বড়লেখা তখন বসবাসের প্রায় অযোগ্য। মানুষ তখন সার্বক্ষণিক ভীত সন্ত্রস্ত ও আতংকগ্রস্থ থাকতো। সেই ক্রান্তিকালে আমি দায়িত্বভার গ্রহণ করে আমার মেধা, দক্ষতা ও কঠিন পরিশ্রমের মাধ্যমে অতি দ্রুতই পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনেতে সক্ষম হই। ছাত্রলীগের মানববন্ধন সংক্রান্ত ব্যানারে লেখা কোন বিষই সত্য নয়। প্রকৃত ঘটনা গত ৬ জুন দিনগত রাতে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দোকানের সামনে গভীর রাত্রে আনুমানিক ১টায় ৬/৭ জন যুবক ছেলে একটি দোকানের মধ্যে ক্যারাম বোর্ড খেলছিল। রাত্রিকালের নিয়মিত টহলকালে বিষটি আমার দৃষ্টিগোচর হলে আমি সঙ্গীয় ফোর্সসহ গাড়ি থেকে নেমে ক্যারাম বোর্ডের দোকানের দিকে যাবার সময় সকল ছেলেরা দোকান থেকে প্রস্থান করে। আমি আমার সঙ্গীয় ফোর্সকে যথানিয়মে বিধি মোতাবেক ক্যারাম বোর্ডটি আমার গাড়িতে উঠাতে বলি। কিছু সময় পর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদুল ইসলাম আমাকে ক্যারাম বোর্ডটি রেখে দেওয়ার জন্য তদবির করে। সেই তদবির আমি গ্রাহ্য না করায় বিভিন্ন মিথ্যা, ভিত্তিহীন, অযৌক্তিক বানোয়াট, কথা দিয়ে ছাত্রলীগের অন্যান্য সদস্যদের জানিয়ে ইমোশনাল ব্ল্যাক-মেইল এর মাধ্যমে মানববন্ধনে উৎসাহিত করা হয়। এ বিষয়ে আমি মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী অনেক দায়িত্বশীল ছাত্রনেতার সাথে কথা বলেছি এবং তাদের বক্তব্য আমার কাছে সংরক্ষিত আছে। আমি আমার অবস্থান থেকে আমার কর্মস্থলে কারো সাথে ব্যক্তিগত শত্রুতা করতে পারি না। এখানে আমার কোন আত্মীয় নাই কোন শত্রুও নাই। ব্যক্তিগত পছন্দ অপছন্দ নাই। বিদায় পেশাগত দায়িত্বের বাইরে আমার কারো সাথে কোন বিরোধ নাই। আমি মানববন্ধনের বিষয় মাননীয় হুইপ শাহাব উদ্দিন স্যার, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম সুন্দর মহোদয়, পৌর সভার মেয়র কামরান চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার উদ্দিন ভাই, সদর ইউপি চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ ভাই, সাবেক ছাত্রনেতা সালেহ আহমদ জুয়েলভাইসহ অনেকের কাছেই এ বিষয়টি জানিয়েছি।  

পুলিশ সম্পর্কে প্রচলিত ধারণা ও আমাদের নৈতিকতাবোধ :
পুলিশ ছাড়াও আমাদের দেশের অনেক সরকারি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঘুষ খান, দুর্নীতি করেন। কিন্তু শ্রেণী হিসেবে পুলিশ সম্পর্কে মানুষের একটি বদ্ধমূল নেতিবাচক ধারণা সবসময় রয়েছে। সেই ধারণা এখন থেকে নয়, বহুকাল আগে থেকে। তবে ধারণাটি সম্পূর্ণ সঠিক নয় বলে যেমন সরকার প্রধানও মনে করেন। তেমনি সমাজের অনেক সুধিজনও তা মনে করেন।

আমাদের সমাজে সবসময় একজন নন্দ ঘোষের প্রয়োজন হয়। যত দোষ সব তার ঘাড়ে চাপিয়ে অন্যরা দাঁত কেলিয়ে হাসে। তেমনি পুলিশকেই এখন আমাদের রাষ্ট্রের নন্দ ঘোষের ভূমিকায় অভিনয় করতে বাধ্য করা হচ্ছে। কিন্তু আজও আমাদের পুলিশ বাহিনীতে বহু সদস্য আছেন, যাঁরা ন্যায়পরায়ণ ও সৎ জীবনযাপন করেন। যাঁরা মানুষের সঙ্গে, দুর্বলের সঙ্গে নিষ্ঠুর আচরণ একেবারেই সমর্থন করেন না। পুলিশ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের প্রচলিত ধারণার সঙ্গে আমার ধারণার মিল নেই।

পুলিশে যেমনি রয়েছে অসাধু অফিসার, এর বিপরীতে রয়েছে হাজারো সৎ, নির্ভীক ও নিষ্ঠাবান অফিসার। তবে তারা সবসময় পর্দার পেছনে থাকেন বলেই তাদের দেখা যায় না কিংবা তাদের সম্পর্কে আমরা জানি না। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে পুলিশের একটি অন্যায় কিংবা খারাপ কাজকে যতটা গুরুত্ব দিয়ে ফলাও করা হয়, ভালো কাজগুলোর ক্ষেত্রে তা হয় না।

অথচ একবারও কি আমরা ভেবে দেখি, জনসাধারণের জান ও মাল নিরাপদে রাখতে তারা কতটা পরিশ্রম করছেন। দিন নেই রাত নেই যখনই ডাক পড়ছে, বেরিয়ে যাচ্ছেন নিজ দায়িত্ব পালন করতে। তবে এমন অবস্থায়ও তাদের চোখ এড়িয়ে নানা অঘটন ঘটে চলছে। এর পেছনেও কারণ রয়েছে। অধিক জনবহুল এদেশে জনসংখ্যার তুলনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য সংখ্যা অপ্রতুল।

অনেকেরই অভিযোগ পুলিশ মানুষদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে। আমিও মানলাম করে। কিন্তু কেন? আচ্ছা আপনিই ভেবে দেখুন আপনি সারাদিনে কয়জনের সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। পাঁচ, দশ, পনেরো, বিশ...। আর একজন পুলিশ সদস্যকে কতো কি-না করতে হয়? বিশ্বাস হচ্ছে না। তাহলে একবার চেষ্টা করেই দেখুন। ধরুন আপনাকে কিছুই করতে হবে না। শুধু টানা ৬ ঘণ্টা আপনাকে বড়লেখা উত্তর চৌমুহনী কিংবা কোন চার রাস্তার মোড়ে দাড়িয়ে থাকতে হবে। এটাই আপনার চাকরি। নিজেকে প্রশ্ন করুন আপনি কি পারবেন? আর পারলেও তা কয়দিন? হাজারো গাড়ির মারাত্মক হাইড্রোলিক হর্ন, রিকশা’র টুং টাং ঘণ্টার শব্দ আর হাজার হাজার মানুষের চিৎকার চেঁচামেচি আর তাদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ কতটুকু কষ্টসাধ্য এটা শুধু তারাই জানে।

ধরুন আপনি চাকরি করেন। কর্তৃপক্ষের বেধে দেওয়া নির্দিষ্ট শ্রম ঘণ্টার বাইরে অতিরিক্ত কাজ করলে আপনি অবশ্যই বাড়তি পারিশ্রমিক নিয়ে থাকেন। এবং আপনার প্রতিষ্ঠানও তা দেয়। কিন্তু আপনি কি জানেন, পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা টানা ১৬-১৮ ঘণ্টা কাজ করলেও তাদের জন্য কোন অতিরিক্ত বাজেট নেই। অথচ একই পদ মর্যাদার অন্য আরেক ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তা এসি রুমে পায়ের ওপর পা তুলে আট ঘণ্টা ডিউটি করেই বিভিন্ন কায়দায় আয় করছেন দ্বিগুণ অর্থ।

আপনি যেখানেই চাকরি করেন না কেন ঈদ কিংবা পূজাতে আপনার ছুটি চাই-ই চাই। কিন্তু আপনি কি জানেন, ঈদ কিংবা পূজাতে কতজন পুলিশ সদস্য ছুটি পায়। সর্বোচ্চ ২৫ থেকে ৩৫ শতাংশ। ঈদের দিনে আপনি যখন নামাজ পড়ে পরিবার নিয়ে ঘুরতে বেড়িয়েছেন, তখন বাকি ৬৫-৭৫ শতাংশ পুলিশ সদস্য রাস্তার মোড়ে দাড়িয়ে আপনাকে পাহারা দিচ্ছে। একজনও কি ভেবে দেখেছেন তার মনের কষ্ট বা কেউ কি ওই দিনে রাস্তার পাশে দাড়িয়ে থাকা পুলিশ সদস্যটিকে আপন করে নিয়েছিলেন বা জানতে। মানুষ হিসেবে তো একজন আরেকজন মানুষের কাছে এতোটুকু আশা করতেই পারে। তাই না? আর যদি তা না হয়, তবে আপনি তার কাছ থেকে যে ভালো ব্যবহার আশা করছেন-কতটুকু যুক্তিসঙ্গত তা ভেবে দেখবেন।

কোন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মৌখিক অভিযোগ কিংবা পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর ডিপার্টমেন্ট সাথে সাথে ওই পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড কিংবা সাময়িক বরখাস্ত করে তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। ঘটনাটি সত্য না কি মিথ্যা এটা প্রথমে বিবেচনা করা হয় না। কিন্তু এরকম তাৎক্ষণিক উদ্যোগ আর কোন সরকারি প্রতিষ্ঠানে হয় কি না আমার জানা নেই।

সবশেষে বলতে চাই, আমার লেখার উদ্দেশ্য অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়া নয়। দোষ করলে শাস্তি পেতেই হবে। সে হোক রাষ্ট্রের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি কিংবা সাধারণ জনগণ। তবে এতে নিরপরাধ কোন ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করে সমাজ ও মানুষের কাছে তার সম্পর্কে ভুল ধারণার জন্ম দেওয়া ঠিক নয়। আমি আমার লেখনীর মাধ্যমে শুধুমাত্র আমাদের নিরাপত্তা তথা রাষ্ট্রের নিরাপত্তায় বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর ত্যাগ ও অক্লান্ত পরিশ্রম এবং আমাদের নৈতিকতাবোধের কথা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি মাত্র।


তপন কুমার দাস : সাংবাদিক।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত