আতাহার টিটো

১৪ জুলাই, ২০১৬ ১৫:০০

নিঃশ্বাসের সাথে রাজনীতি চলে না, বাঁচাও সুন্দরবন!

ভোটের আগে রাজনীতিজীবী ভোটভিখিরি, ভোটের পর হয়ে যায় রাজা। বড়ই হাস্যকর!

ভাবনা এমন নিজেরাই সব, জনগণ আস্তাকুঁড়ে ফেলে দেয়া ডাস্টবিনের ময়লা! এ ধরণের চিন্তা-ভাবনা কোনভাবেই আধুনিক এবং সুস্থধারার বলতে পারিনা, অবশ্যই তা অসুস্থ, নোংরা, অমানবিক ও বর্বর.... এ যেন বিবেক, চেতনা এবং মেরুদণ্ড বিক্রির উৎসব শুরু হয়েছে!

যে দেশে জনগণের অধিকার এবং মুখের ভাষার মূল্য নেই, সেখানে গণতন্ত্র জীবিত আছে কোনভাবেই তা বলা চলেনা। তো এই বিংশ শতাব্দীতে রাজা-প্রজা মানবার টাইম আছে নাকি?

বলি, "দাম দিয়ে কেনা বাংলা, কারো দয়ায় পাওয়া নয়...."

মনে রাখবার আছে, আমরা একা নই এবং সুন্দরবন সর্বপ্রাণের.... অধিকার নিঃশ্বাস নিয়ে বাঁচবার.... শুধুমাত্র অধিকার নয়, নিশ্চয় নিঃশ্বাস প্রাণক্ষমতার এবং শক্তির.... প্রাণভরে নিঃশ্বাস নেওয়া-ছাড়া, অবশ্যই তা প্রাণশক্তির ও প্রাকৃতিক, খুবই যুক্তিসঙ্গত.... নিঃশ্বাস আমার প্রাণক্ষমতার.... আমার জীবন ক্ষমতা লুণ্ঠিত হতে দেবনা.... দম ছাড়া প্রাণ কেমনে বাঁচে, দম ছাড়া প্রাণ?!

নিঃশ্বাস কেড়ে নেবার রাজনীতি, ঘৃণার এবং পরিত্যাজ্য। রাজনীতি হোক, মানুষ-মানবতা-সর্বপ্রাণ-সত্য ও সুন্দরের।

সুন্দরবন'ই জীবন,সুন্দরবনকে বাঁচিয়ে, নিজে বাঁচো। বাঁচো প্রাণখুলে সর্বোচ্চ অধিকারে।

জাগো বাহে, জাগো সংগ্রামী, জাগো হে প্রাণ, শক্তিতে জেগে উঠে বাঁচাও সুন্দরবন.... রাজনীতির তন্ত্র মন্ত্র বুঝিনা, আওয়াজ একটাই, ঐ কয়লা চিতায় সুন্দরবন পুড়িয়ে সর্বপ্রাণ মরতে দেবনা!

আমরা একা নই…. আমরা সাধারণ মানুষ, আমরাই বাংলাদেশ…. জীব-বৈচিত্র্য রক্ষার একমাত্র অবলম্বন সুন্দরবন, যার কোন বিকল্প নাই…. হাতে গোনা গুটি কয়েক স্বার্থান্বেষী-মেরুদণ্ডহীন-ক্রীতদাস ছাড়া।

বাংলাদেশে এমন কোন মানুষ নাই যে প্রকৃতি কে অবজ্ঞা করে, মনে-প্রাণে সুন্দরবনকে ভালবাসেনা এবং তা বাঁচিয়ে রাখতে চায়না….।

সুন্দরবন তোমার-আমার-সর্বপ্রাণের, কঠিন দুর্যোগ মোকাবেলার এবং নিঃশ্বাস নিয়ে বাঁচবার একমাত্র উৎস…. বাঁচা মরার প্রশ্ন যেখানে জড়িত, নিশ্চয় তা রক্ষার দায়িত্ব তোমার-আমার-সকলের….।

সবার উপরে জীবন, তারপরেই না রাজনীতি…. অবশ্যই রাজনীতি হতে হবে, মানুষ-মানবতা-প্রকৃতি-সত্য-সুন্দর ও সর্বপ্রাণ মঙ্গলের…. চির সত্য।

নিঃশ্বাসের সাথে অন্তত রাজনীতি চলেনা…. সর্বদা মনে রাখবার আছে, ঐ কয়লা বনে হবে মৃত্যু চাষ…. সর্বপ্রাণের সর্বনাশ….।

দারুণ প্রাণশক্তি নিয়ে, মানুষে মানুষে প্রেম-ভালবাসা-আত্মার টান ও মানবতা জাগাবো বলে- “গীটার হাতে নিয়েছিলাম ছাত্ররাজনীতি ছেড়ে, তাই বলে রাজপথ ছাড়িনাই….”

চুক্তি হয়েছে বলে এখানেই শেষ নয়…. রাজনীতির তন্ত্র-মন্ত্র বুঝিনা, ঐ কয়লাচিতায় সুন্দরবন পুড়তে দেবনা…. রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প সম্পূর্ণরূপে বাতিল করে, সুন্দরবন ধ্বংসের ষড়যন্ত্র থেকে সরে না এলে, অবশ্যই দেখা হবে সংগ্রামী রাজপথে।

প্রাণে প্রাণ মিলিয়ে চিৎকারে যতদুর আওয়াজ যায়, সুন্দরবন রক্ষায় সর্বপ্রাণ বাঁচানোর সত্যের মিছিলে….

সুন্দরবন ধ্বংস্ব করে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র চাইনা।

আতাহার টিটো : সঙ্গীত শিল্পী।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত