রণেশ মৈত্র

২৬ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:১৯

বাংলাদেশের বাম আন্দোলন বর্তমানের নিরিখে-২

আগের দফায় শেষ করেছি এই বলে যে, বাংলাদেশের বাম আন্দোলন কোন এক রৈখিক পথ ধরে চলতে পারে না। চললে তাতে লাভ হবে না। পূর্বের দফায় বহু বিষয়ের উল্লেখ করেছি যার অন্যতম প্রধান অংশ আন্তর্জাতিক রাজনীতি উপমহাদেশে ও অন্যত্র মার্কিনী অবৈধ হস্তক্ষেপ এবং লুণ্ঠন যা আজও বিশ্বের নানা অঞ্চলে অব্যাহত আছে, উত্তর কোরিয়াকে তাঁবেদার বানানোর হুমকি চলছে চীনের নানা দোদুল্যমানতা স্বত্বেও চীন মার্কিন দ্বন্দ্ব, সমাজতন্ত্রের বিপর্যয়-পরবর্তী বর্তমানের পুঁজিবাদী রাশিয়ার সাথেও মার্কিন অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রভৃতি বৈশিষ্ট্য বিরোধী আন্দোলনের ক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্বলতা ছাড়াও হালে জঙ্গি বিরোধী সংগ্রামে তারাই যেন নেতৃত্বের ভূমিকায় রয়েছে এমন একটি বিভ্রান্তিকর ধারণা বিশ্বব্যাপী জনমনে সৃষ্টি প্রভৃতি।

বাংলাদেশের ক্ষেত্রে, হাজারো দুর্বলতা স্বত্বেও আমার বিবেচনায়, আপোষ ও সংগ্রামের নীতি চালাচ্ছে শেখ হাসিনার বর্তমান সরকার। আমেরিকার সাথে আপোষ করে একদিকে জামায়াতকে বৈধ সংগঠন হিসেবে কাজ করতে দিচ্ছে তেমনই আবার পাশ্চাত্য ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলির প্রকাশ্য বিরোধিতাকে অগ্রাহ্য করেই অত্যন্ত সাহসের সাথে যুদ্ধাপরাধী জামায়াতী চাঁইদের বিচার করে তাদের ফাঁসির রায়ও একের পর এক কার্যকর করে চলেছে।

আবার দেখা যায় জঙ্গি দমনের ক্ষেত্রে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের সহায়তাকে নিতেও সরকার কসুর করছে না। সর্বাপেক্ষা যে বিষয়টি বিশেষভাবে নজরে আসে বা বিবেচনায় রাখা উচিত তা হলো যে আমেরিকা বা বিশ্বব্যাংক তাদের প্রতিশ্রুত অনুদান বা ঋণ শেষ পর্যন্ত বহুল পরিমাণে জল ঘোলার পর দিতে অস্বীকার করায় নিজস্ব অর্থে পদ্মাসেতু নির্মাণ কাজ হাতে নিয়ে যে একটি দুঃসাহসী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থে তা অত্যন্ত প্রশংসাই। এই প্রকল্প সমাপ্ত হলে বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনীতি নতুন প্রাণচাঞ্চল্য পাবে, বেকারত্বও কিছু পরিমাণে হ্রাস পাবে এ ব্যাপারে সকলেই একমত। কুণ্ঠাহীনভাবে এর প্রশংসা করা প্রয়োজন এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এই ধারা যাতে বজায় রাখা হয় অপরাপর খাতে উন্নয়নের ক্ষেত্রেও সে দাবি জোরদার করে তোলা বামপন্থীদেরই কর্তব্য।

আমরা একটি কথা প্রায়শই বলি, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এবং জাতীয় পার্টি সবই লুটেরা ধনিক শ্রেণীর দল। স্লোগান হিসেবে কথাটাকে ভালই শুনায়। কিন্তু একটু গভীরে যদি ভাবা যায় তবে দেখা যায় জাতীয় ধনিক শ্রেণীর স্বার্থে এ যাবত বাংলাদেশে যতটুকু কাজ হয়েছে এবং হচ্ছে তার প্রায় সবটাই আওয়ামী লীগের আমলেই । তবে এ কথাও ঠিক, উৎপাদনশীল খাতে বাজেটে বড্ড কম বরাদ্দ করা হয় এবং তার ফলে যে পরিমাণ উন্নয়ন হওয়া সম্ভব , যে পরিমাণ বেকার যুবক-যুবতীর কর্মসংস্থান হওয়া সম্ভব-তা হচ্ছে না। এ সকল দাবিতে আমাদের যুবসমাজের পক্ষ থেকে কোন আন্দোলনও দৃশ্যমান নয়। সৃষ্ট রাজনীতি বিমুখতাও অন্তরায় হিসেবে কাজ করছে এটাও লক্ষণীয়।

বলছিলাম, লুটেরা ধনিক প্রসঙ্গে। আসলে বাংলাদেশে যেহেতু উৎপাদনশীল খাতটি ভয়াবহভাবে দুর্বল এবং ঐ খাতে খাটালে লাভের মুখ দেখতে অনেক সময় লেগে যায় তাই দ্রুত মুনাফা অর্জনের মোহে এখানকার পুঁজিপতিদের একাংশ চোরাপথে অর্থ উপার্জনের সহজ পথটি বেছে নিয়েছে অনেকেই। এক্ষেত্রে সরকারের করণীয় শিল্পে পুঁজি বিনিয়োগের পথে যে সকল প্রতিবন্ধকতা যার প্রধান হোতা আমলারা সেই আমলাতান্ত্রিক সময়ক্ষেপণগুলি বন্ধকরা এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারী কাজগুলি সহজতর করা। ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমেই এবং দেশপ্রেমিক রাজনীতিকদের শক্তিবৃদ্ধি/ক্ষমতা-বৃদ্ধির মাধ্যমে তার সমাধান বহুলাংশে করা যেতে পারে। স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ এবং সেগুলিতে যথার্থ নির্বাচিত প্রতিনিধিদের ক্ষমতা আমলাদের চাইতে বেশী এমন ব্যবস্থা করলে আমরা ঈপ্সিত সাফল্য পেতে পারি।

এ সকল দাবিতে আন্দোলন গড়ে তুলতে একমাত্র বাম শক্তিগুলোই এগিয়ে আসতে পারেন এবং এটা তাঁদেরই করণীয়। গতানুগতিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ সংবাদপত্রে বিবৃতির মাধ্যমে অথবা মানববন্ধনের মাধ্যমে করার মধ্যে সীমিত থাকলে ফলাফল যা হওয়ার তাই হচ্ছে। ব্যাপক জনতার মধ্যে বিবৃতি, মানববন্ধন বা সেমিনার সিম্পোজিয়াম জাতীয় গৃহাভ্যন্তরে বসে পালিত কর্মসূচী ব্যাপক জনতার মধ্যে দাগ কাটতে অক্ষম। তাই দ্রুত সকল বামশক্তিকে ঐক্যবদ্ধ এবং প্রকৃতভাবে প্রত্যন্ত এলাকা পর্যন্ত জনসভার আয়োজন পুনরায় শুরু করা প্রয়োজন। ফেসবুকের প্রচার মাধ্যম মানুষের নজরে আদৌ পড়ে না।

একটি কথা বলে রাখা ভালো যে জটিল পরিস্থিতির মধ্যে আমাদের দেশ নিপতিত হয়েছে তা থেকে প্রগতি, আধুনিকতা ও সার্বিক সমৃদ্ধির পথে দেশের গতি ফেরাতে হলে সকল বামপন্থী শক্তির ঐক্যের কোন বিকল্প নেই। একথা সকল বামপন্থী শক্তিই স্বীকার করেন, দলিলপত্রেও লেখেন কিন্তু কোন এক অজ্ঞাত কারণে তাকেও কাজে রূপান্তরিত করতে নিষ্ঠার সাথে কার্যকরভাবে কেউই অগ্রসর হচ্ছেন না। মানুষের মধ্যেও যেন এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়ছে তাও যেন আমরা উপলব্ধি করতে পারছি না।

কমিউনিস্ট পার্টি শুধু বাসদের সাথে ঐক্য করেছেন বেশ কয়েক বছর হলো, যদিও তারা বৃহত্তর বাম ঐক্যের কথা প্রায়শই বলেন, তা স্বত্ত্বেও অন্যদের সাথে কেন ঐক্য হচ্ছে না তার কোনো ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। তাতে কি জনতার পর্যায়ে বামশক্তির প্রভাব বৃদ্ধি ঘটেছে? না ঘটে থাকলে তার কারণ যে আরও সকল বাম ও গণতান্ত্রিক দলসহ ঐক্যবদ্ধ না হওয়ার মধ্যে নিহিত তা যত দ্রুত উপলব্ধ হবে ততই মঙ্গল - ততই তাঁরা শাসক গোষ্ঠীর উপর প্রভাব সৃষ্টিতেও সমর্থ হবেন। প্রভাব সৃষ্টির এই ক্ষমতা যতটা বৃদ্ধি পাবে দেশের ততটাই কল্যাণ সাধিত হবে। কিন্তু আবারও বলি, তার জন্যে অবশ্য প্রয়োজন অতি দ্রুত সকল বাম, প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক শক্তির কার্যকর ঐক্য ও সংগ্রাম।

যে বামপন্থী দলগুলি ১৪ দলে সমবেত হয়েছেন তাঁরা একটা মহা-অপরাধ করে বসেছেন; এমনটা আমি ভাবি না। তবে সাথে সাথে একথাটাও জোর দিয়েই বলতে চাই এই ঐক্য বামশক্তির বিকাশে বা এমন কি ঐ দলগুলির সংগঠন বৃদ্ধিতে আজও সমর্থ হয় নি তা ভবিষ্যতে হবে এমন কোন সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে না।

আবার ১৪ দলীয় বামেরা সাম্প্রদায়িকতা - জঙ্গিবাদ ও মার্কিন প্রভাব আওয়ামী লীগের উপর থেকে কমাতে পেরেছেন বা পারছেন এমনটাও না। সাথে সাথে এটাও সত্য যে ১০ দলে তাঁরা যোগ না দিলে শাসকদলটির উপর প্রতিক্রিয়ার প্রভাব আরও বৃদ্ধি পেত এমনটাও কেউই মনে করে না। আওয়ামী লীগ এত বেশী প্রভাবশালী ও শক্তিশালী দল যে ঐ অতিশয় দুর্বল কয়েকটি বাম দল তাদের সাথে ১৪ দলে যোগ না দিলে ভোটের বা অন্য কোন বিবেচনায় তাদের তেমন একটা ক্ষতি হতো না।

তবে এ কথা সত্য যে আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তিতে একটা লাভ হয়েছে। তারা বলতে পারছেন যে তারা প্রকৃতই ঐক্যকামী - তাই তারা ঐ ক্ষুদ্র বাম দলগুলিকে নিয়েও ১৪ দলীয় ঐক্য গঠন করেছে। কিন্তু সে ঐক্য যে এমন নয় যে অন্যরা যা বলছেন সেগুলো মেনে নেওয়া হচ্ছে। বস্তুত: আওয়ামী লীগই সব সেখানে।

এবারে আবারও ভাবা যাক আওয়ামী লীগ সম্পর্কে। বস্তুত: আওয়ামী লীগের বহুত পরিমাণে দক্ষিণমুখী পশ্চাদবরণ ঘটেছে। তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে “বিসমিল্লাহ্‌” “রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম” এর সংযোজন এবং জামায়াতে ইসলামী ও ধর্মাশ্রয়ী বাহাত্তরের সংবিধানের চার মূলনীতির বিপরীতে অবস্থান গ্রহণ;

দ্বিতীয়ত: বঙ্গবন্ধু বা মুক্তিযুদ্ধোত্তর আমলের চাইতে বর্তমানে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ ও অগণতান্ত্রিক মুসলিম বিশ্বের সাথে ঘনিষ্ঠসম্পর্ক স্থাপন;

তৃতীয়ত: সৌদি আরবের সাথে সামরিক জোটে অংশগ্রহণ তার সুস্পষ্ট প্রমাণ;

চতুর্থত: ভারতের সাথে সম্পর্কের উন্নয়ন হতে হবে উভয়ের পারস্পরিক স্বার্থে এবং সমতার ভিত্তিতে। এই ক্ষেত্রে ব্যাপক ব্যত্যয় ঘটেছে। তবে ছিটমহল এবং আরও কতিপয় ক্ষেত্রে ভারতের সাথে সম্পর্কের প্রশংসনীয় উন্নতি ঘটেছে। ভারত এগিয়ে এলে দু’দেশের সম্পর্কের আরও লক্ষণীয় উন্নতি ঘটার সম্ভাবনা আছে। তবে উভয় দেশেই এই দুটি দেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটাতে তৎপর রয়েছে উভয় দেশের প্রতিক্রিয়াশীল সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীগুলির। আওয়ামী লীগ এই সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীগুলির গায়ে হাত না দিয়ে দেশ দুটির সম্পর্কোন্নয়ন চায়। যা বাস্তবে অসম্ভব। এ লক্ষ্যে উভয় দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময়, বুদ্ধিজীবী বিনিময় শিক্ষার্থী বিনিময় এবং ক্ষমতা ভিত্তিক বাণিজ্যিক সম্পর্কের বৃদ্ধি যত ঘটবে ততই সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীগুলি পিছু হটতে থাকবে, তবে সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে গণআন্দোলনের তীব্রতাই এ ব্যাপারে হবে নিয়ামক শক্তি। আওয়ামী লীগের দোদুল্যমানতাকে খেয়ালে রেখেই এ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

পঞ্চমত: মুক্তিযুদ্ধের বৃহত্তম দল হিসেবে আওয়ামী লীগ যতই ডানপন্থী রাজনীতির দিকে হেলতে থাকুক না কেন, উগ্র ডানপন্থী দলে পরিণত হওয়া তার পক্ষে বাস্তবে নানা কারণেই সম্ভব না। এ বিষয়টিও বিবেচনায় রাখতে হবে। বিবেচনায় আরও রাখতে হবে, যে যুব সমাজ এ দেশকে প্রগতির দিকে অগ্রসর করে নিতে পারে সেই মধ্যবিত্ত যুব সমাজের একটি বড় অংশ আজও আওয়ামী লীগের প্রভাবাধীন। প্রকৃত প্রগতিবাদী যুব আন্দোলনে ব্যাপক যুব সমাজকে যতদিন না কার্যকর ও সংগঠিত ভাবে সামিল করা না যাবে ততদিন এদেশে বাম প্রগতিশীল শক্তির আকাঙ্ক্ষিত বিকাশ ঘটবে না। তাই সেদিকে সর্বাধিক লক্ষ্য দেওয়া দরকার তবে সকল সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠে।

ষষ্ঠত: একই বক্তব্য ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্র সংগঠন নিয়ে। দলীয় সংকীর্ণতা, ক্যাম্পাসে অস্ত্রের ঝনঝনানি - কালো টাকার দৌরাত্ম্য, রাতারাতি বড়লোক হওয়ার প্রবণতা আমাদের দেশে শক্তিশালী বাম আন্দোলনের সুষ্ঠু বামপন্থী ছাত্র-আন্দোলন সংগঠন গড়ে উঠতে পারছে না। এর অবশ্যম্ভাবী পরিণতিতে প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক আন্দোলনে, খেতমজুর আন্দোলনে, শ্রমিক আন্দোলনে ও মূল রাজনৈতিক বামপন্থী দলগুলিতেও নতুন প্রাণের সঞ্চার ঘটছে না। গুটিকয়েক বৃদ্ধ আধাবৃদ্ধ নেতারাই শুধু বাম আন্দোলনে দৃশ্যমান তাঁদের পেছনে তরুণ কর্মী বা তরুণ মুখের উপস্থিতির নিদারুণ অভাব। এই অভাব কত দ্রুত দূর করা যায় তার জন্য আদর্শ-ভিত্তিক নানা পন্থার উদ্ভাবন জরুরী।

সপ্তমত: নারী আন্দোলন হতে পারতো এবং এখনও হতে পারে একটি বৃহৎ বামপন্থী আন্দোলনের অমূল্য সম্পদ। কিন্তু তা আজ গুটিয়ে গেছে। প্রথমত: এই সংগঠনেও দেখা যায় কম বয়সী কর্মী নেই বয়স্ক মহিলারাই সংগঠনের তাবৎ কাজ করছেন। নারী অধিকার, নারী পুরুষের বৈষম্য দূরীকরণ, নারীর মানবাধিকার, নারী নির্যাতনের কার্যকর প্রতিরোধ, নারীর অর্থনৈতিক মুক্তি এহেন বিস্তর যৌক্তিক দাবি রয়েছে আমাদের নারী সমাজের সামনে। এ ছাড়াও রয়েছে ধর্মীয় বৈষম্যহীন নারীর সমুচিত উত্তরাধিকার আইন ও সংসদে সম-সংখ্যক আসন এবং সকল আসনে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতার অধিকার প্রবর্তন ও চাকুরীর ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক ভাবে কমপক্ষে সরকারী বেসরকারি এবং সামরিক বে-সামরিক সকল ক্ষেত্রে সমসংখ্যক নিয়োগের প্রশ্ন। সরকার কিছুটা এগোলেও পিছিয়েছে কম নয়। হেফাজতদের তেঁতুল মাওলানার ১৩ দফা দাবি প্রকাশ্যে না মানলেও কার্যত যেন তা মেনে নিয়েই এ সরকার চটকদারী নারী মুক্তির ছবি সারা বিশ্বে দেখিয়ে অনেক সার্টিফিকেটও আনছে। নারী আন্দোলন মৌলিকভাবে এনজিও ধরণের হওয়ায় তারা আর অগ্রসর হতে পারছেন না- যদিও নারীর অগ্রগতিতে বাংলাদেশের এনজিও-দের অবদানও অস্বীকার করা যাবে না।
[আগামী পর্বে সমাপ্য]

রণেশ মৈত্র : সভাপতিমন্ডলীর সদস্য, ঐক্য ন্যাপ। ইমেইল : [email protected]

  • এ বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত