২৬ মে, ২০২০ ০৩:০০
১৯৭৫ সালে ক্রিকেট বিশ্বকাপের গোড়াপত্তন হওয়ার পর এখন পর্যন্ত মোট ১২টি আসর হয়েছে। এই ৪৪ বছরের ইতিহাসে অনেকে যেমন ভালো নৈপুণ্যে প্রদর্শনের মাধ্যমে মধুর স্মৃতি তৈরি করেছেন অন্যদিকে অনেকে ব্যক্তিগত বাজে খেলার জন্য দলকে ডুবিয়েছেন চরম হতাশার সাগরে ।
বিশ্বকাপ ক্রিকেটপ্রেমী ও খেলোয়াড়দের জন্য সবসময়ই খুবই বিশেষ একটি উপলক্ষ। বিশ্বকাপ নামক সোনার হরিণের প্রত্যাশা সবাই করলেও কেবলমাত্র একটি দল এই মর্যাদা অর্জন করতে পারে।
আমরা আজকে বিশ্বকাপ ইতিহাসের এমনই কিছু ঘটনার স্মৃতিচারণ করব যেগুলো স্থায়ীভাবে ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে জায়গা করে নিয়েছে।
সুপার ওভারে ইংল্যান্ডের ভাগ্যবদল
২০১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে নিউজিল্যান্ড ও ট্রফির মাঝখানে বাধা হয়ে অবস্থান করছিলেন বেন স্টোকস। তার লড়াকু মানসিকতাই ইংল্যান্ডকে সুপার ওভারের মাধ্যমে ইতিহাস সৃষ্টি করার ক্ষেত্রে টনিক হিসাবে কাজ করছিল। নিঃসন্দেহ এটিই ক্রিকেট বিশ্বকাপের ইতিহাসের সবচেয়ে নাটকীয় ফাইনাল ছিল। যার প্রতিটি মুহূর্ত দর্শকরা উপভোগ করেছেন।
নির্ধারিত ৫০ ওভারে নিউজিল্যান্ড ২৪১ রানের রান করতে পেরেছিল। যদিও লক্ষ্যটা আধুনিক ক্রিকেটের বিচারে খুব বড় ছিল না। কিন্তু প্রতিপক্ষ যেখানে নিউ জিল্যান্ড সেখানে খুব স্বাভাবিকভাবেই ইংল্যান্ডের জন্য একটি মোটেও সহজ কাজ ছিল না। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইংল্যান্ডের টপ অর্ডার খুব বেশি সুবিধা না করতে পারলেও মিডলঅর্ডারে বেন স্টোকস ও জস বাটলারের ১১০ রানের পার্টনারশিপে খেলায় ঘুরে আসে। কিন্তু জস বাটলার আউট হওয়ার পর লোয়ার মিডলঅর্ডারের ব্যর্থতায় শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ডও নির্ধারিত ওভারে ২৪১ রানে অলআউট হয়ে যায়। যার ফলে নিয়মমাফিক ভাবে খেলা সুপারওভারে গড়ায়।
বিজ্ঞাপন
সুপার ওভারে বেন স্টোকস ও জস বাটলারের জুটিতে ১৬ রানের টার্গেট দেয়। জবাবে নিউ জিল্যান্ড ১৫ রান করতে সক্ষম হয়। নির্ধারিত ৫০ ওভারের মধ্যে ইংল্যান্ড বাউন্ডারি বেশি মারায় তাদের ওয়ার্ল্ড কাপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ঘোষণা করা হয়। মুহূর্তটা আসলেই খুব রোমাঞ্চকর ছিল।
নিউ জিল্যান্ডের কিংবদন্তি ভাষ্যকার ইয়ান স্মিথ শ্রুতিমধুর শব্দ চয়নের মাধ্যমে ওই মুহূর্তটাকে স্মরণীয় করে রেখেছেন। তিনি বলেন “Absoulte ecstasy for England and agony for New Zeland” - যার অর্থ ইংল্যান্ডের জন্য অত্যন্ত আনন্দের একটি উপলক্ষ অন্যদিকে নিউ জিল্যান্ডের জন্য একটি চরম যন্ত্রণাদায়ক মুহূর্ত।
উড়ন্ত জন্টি রোডসের দুরন্ত রান আউট
১৯৯২ বিশ্বকাপ ছিল সাউথ আফ্রিকার ইতিহাসের প্রথম বিশ্বকাপ এবং সেই বিশ্বকাপের মাধ্যমে তারা দীর্ঘ নির্বাসনের পর ক্রিকেটে ফিরে এসেছিল।
গ্রুপ পর্বের এই ম্যাচটিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে সাউথ আফ্রিকা নির্ধারিত ৫০ ওভারে এন্ড্রু হাডসনের অর্ধশতকের উপর ভিত্তি করে ২১১ রান করেছিল। জবাবে পাকিস্তানের দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের দ্রুত আউট হয়ে যাওয়ার পর ইনজামামুল হকের ইনিংসে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছিল পাকিস্তান।