অনলাইন ডেস্ক

২৪ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০২:০৮

আরও কিছু ব্যবহারকারীর তথ্য দিলো ফেসবুক

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক তাদের সর্বশেষ ‘গভার্নমেন্ট রিকোয়েস্ট রিপোর্ট’ এ জানিয়েছে চলতি বছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন) অনুরোধের ২০ শতাংশ তথ্য তারা সরকারকে দিয়েছে। এ সময়ে মোট ১০টি অনুরোধের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে নয়জন ব্যবহারকারীর তথ্য চাওয়া হয়েছিল।

বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এই ষান্মাষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ধর্মাবমাননা ও তথ্য-প্রযুক্তি আইনে ভঙ্গের যুক্তি দেখিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থার (বিটিআরসি) অনুরোধ পাওয়ার পর জানুয়ারি-জুন সময়ে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ দুটি ‘কনটেন্ট’ দেখার সুযোগ বন্ধ করেছে। সংশ্লিষ্ট ব্যবহারকারীর নাম বা কনটেন্ট সম্পর্কে কোনো তথ্য ফেসবুকের প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়নি।

ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন দেশের সরকার ও সংস্থাকে ব‌্যবহারকারীদের কতোটা তথ‌্য দিচ্ছে তা বছরে দুই বার প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করা হচ্ছে ২০১৩ সাল থেকে। কিন্তু বাংলাদেশ সরকারের এ ধরনের অনুরোধ ২০১৫ সালের দ্বিতীয়ার্ধে প্রথমবার ফেসবুকের সাড়া পায়। ওই বছর জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে ১২টি অনুরোধের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ৩১ জন ব্যবহারকারীর তথ্য চাওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে ১৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ তথ্য ফেসবুক কর্তৃপক্ষ সরকারকে দেয়। পাশাপাশি চারটি ‘কনটেন্ট’ দেখার সুযোগ বন্ধ করা হয় বলে ওই সময়ের প্রতিবেদনে জানানো হয়।

তার আগে ২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৫ সালের জুন পর্যন্ত আড়াই বছরে মোট ৩৭ জন ব্যবহারকারীর তথ্য চেয়ে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কোনো সাড়া পায়নি বাংলাদেশ সরকার।

সরকারি হিসেবে বাংলাদেশে ফেসবুক ব‌্যবহারকারীর সংখ‌্যা প্রায় তিন কোটি। আর বিশ্বে এই সংখ্যা ১৭৯ কোটির বেশি, যা পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার এক চতুর্থাংশ।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, চলতি বছরের প্রথমার্ধে সারা বিশ্বে সরকারিভাবে ফেসবুক ব্যবহারকারীর তথ্য চাওয়ার হার গতবছরের শেষ ছয় মাসের তুলনায় ২৭ শতাংশ বেড়েছে।

গতবছর জুলাই- ডিসেম্বর সময়ে বিভিন্ন দেশের সরকার ৪৬ হাজার ৭৬৩ জন ব্যবহারকারীর তথ্য চেয়েছিল, পরের ছয় মাসে সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫৬ হাজার ২২৯টি। আগের মতই এ তালিকায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত