সিলেটটুডে ডেস্ক

০৭ জুন, ২০২০ ২২:১৯

হাঁটু দিয়ে গলা চেপে ধরা নিষিদ্ধ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে

পুলিশ হাঁটু দিয়ে জর্জ ফ্লয়েডের গলা চেপে ধরায় দমবন্ধ হয়ে মারা যান তিনি। মৃত্যুর আগে বারবার আর্তি জানিয়েছিলেন, আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে। আমাকে ছেড়ে দাও। কিন্তু পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক শওভিন আর তার সহযোগীরা তাতে কান দেয়নি। ফলে প্রাণ হারান ওই কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকান।

তারই জেরে এখন যুক্তরাষ্ট্রসহ সারা পৃথিবী জুড়ে প্রতিবাদে ঝড় বইছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। হাঁটু দিয়ে গলা চেপে ধরার এই পুলিশি পদ্ধতি এবার নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে। এ ছাড়া ক্ষমতার অপব্যবহার হিসেবে যখন তখন পুলিশি হস্তক্ষেপের বিষয়টিও নিষিদ্ধ হচ্ছে। এই দুই বিষয়সহ পুলিশ বিভাগে বেশ কিছু সংস্কারের পক্ষে মত দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের বড় শহর মিনিয়াপলিস সিটি কাউন্সিল।

এসব সিদ্ধান্ত ক্যালিফোর্নিয়াতেও নেওয়া হচ্ছে বলে খবর প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজ। খবরে বলা হয়, গত শুক্রবার এক জরুরি বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্তগুলো পাস হয়েছে। তবে এগুলো কার্যকর হতে একজন বিচারকের অনুমোদন প্রয়োজন হবে।

পাস হওয়া সংস্কার প্রস্তাবে আরও রয়েছে, জনসমাবেশ নিয়ন্ত্রণ করতে টিয়ার গ্যাসসহ অন্য অস্ত্র ব্যবহারের জন্য মিনিয়াপলিস পুলিশ প্রধানের অনুমতি নিতে হবে।

পুলিশের নথি বিশ্লেষণ করে এনবিসি নিউজ জানিয়েছে, ২০১৫ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৪৪ বার মানুষের গলা চেপে ধরে অজ্ঞান করা হয়েছে। অনেক পুলিশ বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, এই সংখ্যা আরও বেশি হবে।

মিনিয়াপলিসের মেয়র জ্যাকব ফ্রে  এক বিবৃতিতে বলেছেন, জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর ঘটনায় ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এটিই যথেষ্ট নয়। এজন্য প্রয়োজন নির্বাচিত নেতাদের জবাবদিহিতা থেকে শুরু করে কাঠামোগত সংস্কার।

গত ২৫ মে মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপলিসে পুলিশি হেফাজতে হত্যার শিকার হন নিরস্ত্র কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড। একজন প্রত্যক্ষদর্শীর ধারণ করা ভিডিওতে দেখা গেছে, হাঁটু দিয়ে নিরস্ত্র ফ্লয়েডের গলা চেপে ধরে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন ডেরেক চাওভিন নামের এক পুলিশ অফিসার।

এই হত্যার প্রতিবাদে টানা ১১ দিন ধরে বিক্ষোভে উত্তাল রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বিভিন্ন দেশেও এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ হয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত