সিলেটটুডে ডেস্ক

০৭ অক্টোবর, ২০১৫ ১৭:২৫

গোলাম আযম আর জামালপুরের রাজাকারদের স্ট্যাটাস এক নয়

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযম এবং জামালপুরের ৮ রাজাকারের মামলার স্ট্যাটাস (আসামির অপরাধ ভিন্নতা) এক নয় বলে মন্তব্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল বিচারপতি।

বুধবার মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি চলাকালে ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ার উল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালে বিচারপতি শাহিনুর ইসলাম এ মন্তব্য করেন।

এর আগে মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর তাপস কান্তি বল এবং তাকে সাহায্য করেন প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ।

শুনানি চলাকালে প্রসিকিউটর তাপস কান্তি বল একাত্তরের ২২ এপ্রিল থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত জামালপুরের শান্তি কমিটি দ্বারা ১০ হাজার মানুষকে হত্যার অভিযোগ (১নং অভিযোগ) তুলে ধরেন।

কিন্তু কোথায়, কখন এই ১০ হাজার মানুষ হত্যার ঘটনা ঘটেছে তা তদন্ত প্রতিবেদনে স্পষ্টভাবে (ধারাবাহিকভাবে) কেন উল্লেখ নেই সে বিষয়টি প্রসিকিউটর তাপস কান্তি বলের কাছে জানতে চান ট্রাইব্যুনালের সদস্য বিচারপতি শাহিনুর ইসলাম।

এসময় প্রসিকিউটর তাপস কান্তি বল নেতৃত্ব দেয়ার অভিযোগে যেমন গোলাম আযম দণ্ডপ্রাপ্ত হয়েছেন ঠিক সেই ভাবে জামালপুরে শান্তি কমিটি গঠন করার কারণে এই হত্যাযজ্ঞ পরিচালিত হয়েছে বলে তা হবহু তুলে ধরা হয়নি বলে ট্রাইব্যুনালকে জানান।

পাশাপাশি জামালপুরের মামলাটিতে কেস রেফারেন্স হিসেবে গোলাম আযমের মামলাটিও উপস্থাপন করেন প্রসিকিউটর তাপস কান্তি বল।

তিনি বলেন, ‘জামালপুরে যদি তখন শান্তি কমিটি গঠন না হতো তাহলে এই হত্যাযজ্ঞ পরিচালিত হতো না। তাই নেতৃত্ব দেয়ার অভিযোগে এই মামলার আসামিরা ওই ১০ হাজার মানুষকে হত্যার দায়ভার বহন করবেন।’

এসময় ট্রাইব্যুনালের সদস্য বিচারপতি শাহিনুর ইসলাম ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং ‘গোলাম আযমের মামলার সঙ্গে এই মামলার স্ট্যাটাস এক নয়’ বলে মন্তব্য করেন।

মামলার ১নং অভিযোগে অস্পষ্টভাবে ১০ হাজার মানুষকে হত্যার অভিযোগ দাখিল করা সত্ত্বেও আবার কেন ৫নং অভিযোগে একটি হত্যার ঘটনাকে আলাদাভাবে দাখিল করা হয়েছে এই নিয়েও প্রসিকিউটরের সঙ্গে ট্রাইব্যুনালের সদস্য বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের ব্যাপক তর্ক-বিতর্ক চলতে থাকে।

তবে মামলা পরিচালনার সময় কোনো বিষয়বস্তু না বুঝলে অন্যের (অন্যান্য বিজ্ঞ প্রসিকিউটর) সাহায্য নিতে প্রসিকিউটর তাপস কান্তি বলকে পরামর্শ দেন সদস্য বিচারপতি মোহাম্মাদ সোহরাওয়ার্দি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত