অনলাইন ডেস্ক

২৮ মার্চ, ২০১৬ ০৩:০৩

ঘুম ভাঙতেই যে কাজগুলো না করাই ভালো!

ঘুম ভাঙার পর সতেজ থাকতে চাইলে সাতটি বদভ্যাস এড়িয়ে চলতে হবে। এগুলো হলো-
 
অ্যালার্ম বন্ধ করে দেয়া
অ্যালার্ম বাজতেই ঘুম ভেঙে যায়। কিন্তু চোখ খোলার শক্তি নেই। এ অবস্থায় আরো পাঁচ-দশ মিনিট ঘুমানোর জন্য অনেকেই অ্যালার্মের ‘স্নুজ’ বোতামে চাপ দিয়ে থাকেন। বিশেষজ্ঞ টিমোথি মর্গেনথেলারের মতে, এই অভ্যাস মোটেও স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। কারণ, এর মধ্য দিয়ে ঘুমের যে চক্র নতুন করে শুরু হয়, তা পাঁচ-দশ মিনিটে শেষ হয় না। ফলে ঘুম থেকে ওঠার পর অলসতা থেকেই যায়।
 
জড়োসড়ো হয়ে শোয়া
ঘুম ভাঙার পর অনেকেই আরো কিছুক্ষণ শুয়ে থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুয়ে থাকলে সমস্যা নেই। কিন্তু জড়োসড়ো হয়ে শোয়া যাবে না। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানী অ্যামি কাডির মতে, হাত-পা ছড়িয়ে আড়মোড়া ভাঙলে আত্মবিশ্বাস চলে আসে। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা ঘুম থেকে জেগেই দুই হাত মাথার দিকে ইংরেজি ‘ভি’ আকৃতির করে তুলে দেয়, তারা তাৎক্ষণিক আরাম পায়।
 
ই-মেইল দেখা
স্মার্টফোনটা মাথার কাছে থাকলে ঘুম ভাঙার পর ই-মেইলের ইনবক্সে ঢুঁ মারা অনেকের অভ্যাস। ‘নেভার চেক ই-মেইল ইন দ্য মর্নিং’ বইয়ের লেখিকা জুলি মর্গেনস্টেন বলেন, ঘুম থেকে উঠেই যদি ই-মেইল দেখেন, তবে গোটা দিনের ঝক্কি পুষিয়ে ওঠা দুষ্কর। সুন্দর একটা দিনের শুরুটা নস্যাৎ করে দিতে পারে ই-মেইলের নানা ধরনের বক্তব্য।
 
বিছানা অগোছাল রাখা
ঘুমানোর আগে কেবল বিছানা গোছালে হবে না। ঘুম থেকে ওঠার পরও একই কাজ করা উচিত। ‘দ্য পাওয়ারফুল হ্যাবিট’ বইয়ের লেখক চার্লস ডাহিগের মতে, বিছানা ছাড়ার আগে তা গুছিয়ে রাখলে মনটা তাৎক্ষণিক সতেজ হয়ে যায়। দিনের বাকি সময় এই সজীবতা ছড়িয়ে থাকে মনে। দিনের শুরুতেই উৎপাদনশীলতা বেড়ে যায়। তৈরি হয় গোছাল মানসিকতা।
 
এক কাপ কফি
যদি ভেবে থাকেন এক কাপ কফিতে সকালটা সুন্দর হবে, তবে মারাত্মক ভুল করবেন। কফি তাৎক্ষণিক চাঙ্গাভাব আনে; কিন্তু কিছু সময় গেলেই অবসাদ চলে আসে। কারণ এই পানীয় কর্টিসল নামের হরমোনের ক্ষরণ ঘটায়। এটি ‘স্ট্রেস হরমোন’ নামে পরিচিত। কফি যদি খেতেই হয় তবে তা খেতে হবে সকাল সাড়ে নয়টার পর।
 
অন্ধকারে তৈরি হওয়া
সকালটা অন্ধকারে কাটাবেন না। আমেরিকার ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশনের বিশেষজ্ঞ নাটালি ডটোভিচ জানান, দেহের অভ্যন্তরের ঘড়িটা সকালে আলো দেখতে চায়। এ জন্য অন্ধকার তার জন্য স্পর্শকাতর হয়ে ওঠে। অন্ধকারে গোসল বা অন্যান্য কাজ করলে দেহ তা মানিয়ে নিতে পারে না। ফলে আরো অলসতা ভর করে।
 
একযোগে কয়েকটি কাজ করা
ঘুম থেকে উঠেই একসঙ্গে কয়েকটি কাজ করাকে সমর্থন করেন না গবেষকরা। কারণ, কোন কাজটা গুরুত্বপূর্ণ তা অনেক সময় মাথায় থাকে না। ফলে সব কাজই কোনো রকমে সম্পন্ন হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। একসঙ্গে একাধিক কাজ করলে মস্তিষ্কের ইচ্ছাশক্তিও কমে আসে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত