সিলেটটুডে ডেস্ক

১৭ জুন, ২০২০ ২১:৪২

যাত্রী সঙ্কটে ফের বন্ধ হচ্ছে দুটি আন্তঃনগর ট্রেন

করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে ৬৭ দিন বন্ধ থাকার পর ৩১ মে থেকে সীমিত পরিসরে চালু হয়েছে যাত্রীবাহী রেলসেবা। সম্প্রতি তৃতীয় দফায় আরও কিছু যাত্রীবাহী ট্রেন চালানোর উদ্যোগও নেয়া হয়। কিন্তু তার আগেই যাত্রী স্বল্পতায় বন্ধ করতে হচ্ছে দুটি আন্তঃনগর ট্রেন। আগামী ২১ ও ২২ জুন থেকে ট্রেন দুটি যাত্রী পরিবহন বন্ধ রাখবে।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ১৬ জুন থেকে সারাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার নির্ধারণ করে রেড, ইয়েলো ও গ্রিন জোন ঘোষণা করা হয়েছে। এ কারণে পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও আপাতত যাত্রীবাহী ট্রেন চালানোর উভয় অঞ্চলের প্রস্তাব বাতিল করা হয়। জোন বিভাজনের আগেই নোয়াখালী জেলা লকডাউন থাকায় ঢাকা-নোয়াখালী-ঢাকা রুটের উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেন ঢাকা-লাকসাম-ঢাকা পর্যন্ত যাত্রী পরিবহন করছিল। তবে ১৬ জুন থেকে রেড জোনের আওতা বাড়ানোর পরিপ্রেক্ষিতে যাত্রী কমে যাওয়ায় যাত্রীবাহী ট্রেন সেবার পরিধিও কমিয়ে আনা হচ্ছে।

আজ বুধবার বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালকের কার্যালয় থেকে জারি করা এক নির্দেশনায় জানানো হয়, ২০ ও ২১ জুন একটি মাত্র সার্ভিস পরিচালনার পর সোনার বাংলা ও উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের সার্ভিস বন্ধ রাখা হবে। মূলত ঢাকা স্টেশনের ওয়ার্কিং ফ্যাসিলিটি অক্ষুণ্ণ রাখার স্বার্থে বিভিন্ন গন্তব্য থেকে আসার পর ফিরতি গন্তব্যে ট্রেনগুলো চলাচল করবে না।

রেলওয়ের উপ-পরিচালক/ট্রাফিক ট্রান্সপোর্টেশন কালিকান্ত ঘোষ স্বাক্ষরিত ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ার পর নোয়াখালী জেলা লকডাউন হলে উপকূল এক্সপ্রেস (৭১১/৭১২)  ট্রেন দুটি লাকসাম পর্যন্ত যাত্রী পরিবহন করছে। এতে যাত্রী সংখ্যা কমে যাওয়া ছাড়াও কর্তব্যরত অনবোর্ড স্টাফদের লাকসাম স্টেশনে বিশ্রাম নিতে সমস্যা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, গত ৩১ জুন সারাদেশের বিভিন্ন রুটে ৮ জোড়া যাত্রীবাহী ট্রেন সার্ভিস চালু করে রেলওয়ে। এরপর ৩ জুন থেকে আরও ১১ জোড়া ট্রেন চলাচল শুরু হয়। ভাইরাস সংক্রমণ রোধে শুধু অনলাইনে বিক্রি হচ্ছে ট্রেনের টিকিট। এছাড়া নিরাপত্তার স্বার্থে যাত্রী ধারণক্ষমতার ৫০ শতাংশ টিকিট বিক্রি করছে রেলওয়ে। সম্প্রতি আরও ৮ জোড়া ট্রেন চালানোর জন্য প্রস্তাব দেয়া হলেও নতুন করে জোনভিত্তিক লকডাউন ঘোষণা করায় তা প্রত্যাহার করা হয়েছে।

খবর : বণিক বার্তা

আপনার মন্তব্য

আলোচিত