সিলেটটুডে ডেস্ক

০১ মার্চ, ২০২১ ২২:২৯

স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম সেনানী খালেদা: ফখরুল

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে বিএনপির বছরব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ‘স্বাধীনতার অন্যতম সেনানী’ আখ্যা দেয়া হয়েছে।

রাজধানীর গুলশানের লেকসোর হোটেলে আড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।

এতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন যুক্তরাজ্যে অবস্থানকারী ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। অনুষ্ঠানের উদ্বোধনও করেন তিনি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি ছিলেন অনুষ্ঠান স্থলেই। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়।

স্বাগত বক্তব্যে ফখরুল বিশেষভাবে তুলে ধরেন দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কথা। তিনি বলেন, ‘আমাদের দলের চেয়ারপারসন স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম সেনানী, গণতন্ত্রের নিবেদিত প্রাণ, আপোষহীন নেত্রী, বাংলাদেশের আপামর জনগণের অত্যন্ত প্রিয়, গণতন্ত্রের মাতা, খালেদা জিয়া প্রায় দীর্ঘ তিন বছর কারাগারে।’

বিএনপি নেতার দাবি, স্বাধীনতার স্বপ্ন পূরণ হয়নি। দেশের সব রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণ করা হয়েছে, শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পেড়েছে, অর্থনীতি স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫০ বছরে জাতিকে বিভক্ত করা হয়েছে। জনগণের আশা আকাঙ্খা ভেঙে চুরমার করা হয়েছে। এমন একটি সমাজ, রাষ্ট্র গঠন করা হচ্ছে, সেখানে ন্যায়বিচার দু:স্প্রাপ্য। ভবিষ্যত প্রজন্মকে ভ্রান্ত ইতিহাস জানিয়ে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।

‘স্বাধীনতার চেতনা ভুলষ্ঠিত। একদলীয় শাসন ব্যবস্থা গণতন্ত্রের মোড়কে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চলছ।’

বিএনপি ভবিষ্যত প্রজন্মকে মুক্ত মানবিক রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখাতে চায় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর করতে চাই।’

অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আজকে জিয়াউর রহমানের খেতাব কেড়ে নেয়ার চেষ্টা হচ্ছে। কে প্রস্তাব করে, জামুকা। জামুকা…., যে এদের বিএনপি আমলে ২০০২ সালে সৃষ্টি।’

তিনি বলেন, ‘বাক স্বাধীনতা, গণতন্ত্র নাই, জবাবদিহিতা নাই। …স্বাধীনতার সূবর্ণ ফসল গণতন্ত্রকে যারা কেড়ে নিয়েছে, তাদের কোনো অধিকার নেই ক্ষমতায় থাকার। দেশের জনগণ তাদেরকে ক্ষমতায় বসায়নি।’

বিএনপির স্থানীয় কমিটির সদস্য গয়েশ্বর বলেন, ‘আজকে লেখার অধিকার হয়ত আছে, কিন্তু লিখলে জীবন দিতে হবে। লেখক মুশতাকের লেখার অধিকার ছিল, তিনিও লিখেছিলেন। কিন্তু তার জীবন রক্ষা হয়নি। তাতে জেলে খুন করা হয়েছে। …স্বাধীনতা সুবর্ণ জয়ন্তীতে আমাদের নামতে হবে লড়াই করার জন্য।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘এই সরকারের অধীনে আমরা আর থাকতে চাই না। এটা সরকার না। মনে রাখবেন, বাঘ বুড়ো হলেও থাবা কিন্তু বুড়ো হয় না।

স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে বিএনপির কর্মসূচি আছে মাস জুড়ে। এর মধ্যে দুটি কর্মসূচি এরই মধ্যে আলোচনার খোরাক জুগিয়েছে।

প্রথমবারের মতো দলটি ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালন করতে যাচ্ছে। ১৯৭১ সালের এই দিনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘এবারের সংগ্রাম, আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’

বিএনপি এতদিন এই দিনটিকে উপেক্ষা করলেও এবার সেদিন আলোচনা সভার আয়োজন করেছে। ২৫ মার্চ পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর অপারেশন সার্চ লাইট শুরু কালরাতেও আলোচনা সভা করবে তারা।

২০১৭ সাল থেকে দিনটিকে সরকার জাতীয় গণহত্যা দিবস হিসেবে পালন করে আসলেও এতদিন বিএনপি এই দিনটিকে উপেক্ষা করেছে।

তবে সুবর্ণজয়ন্তীর কর্মসূচি উদ্বোধনের দিন বিএনপি নেতারা এসব বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত