
০৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১৩:৩১
অন্তর্বর্তী সরকার দুটি নতুন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের অনুমোদন দিয়েছে। লাইসেন্স পেয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দুই নেতা। বিষয়টি নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।
একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, শুনেছি এনসিপির দুই নেতার নামে দুটি গণমাধ্যমের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যাদের নামে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, তাদের আমি চিনি। নিজেদের সংসারই ঠিকভাবে চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা, সেখানে টেলিভিশন পরিচালনা করবেন কীভাবে?
নুরুল হক নুর আরও বলেন, আমি একটি দলের প্রধান, কিন্তু ৫ আগস্টের পর থেকে আমি যেখানে ছিলাম, এখনো সেখানেই আছি। যাদের কথা বলা হচ্ছে, তারা একসময় আমার সহকর্মী ছিলেন। কেউ ছোট একটি পত্রিকায় কাজ করেন, কারও খুব বেশি আয়ও নেই। মূলধারার গণমাধ্যমেও তারা কেউ কাজ করেন না। তাই কীভাবে, কোথা থেকে তাদের এই সুযোগ দেওয়া হলো-তা আমার অজানা। বিষয়টি আমাকে বিস্মিত করেছে।
তিনি আরও বলেন, এই ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকাণ্ডে যে অস্বচ্ছতা ও পক্ষপাতমূলক আচরণ আছে, সেটাই স্পষ্ট হয়েছে। ওয়ান-ইলেভেনের সময় সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে শুরুতে যে কঠোর অবস্থান নিয়েছিল, মানুষকে শৃঙ্খলায় আনতে যেসব পদক্ষেপ নিয়েছিল-এই সরকারে আমরা তার কিছুই দেখিনি। বরং পুরোনো ধাঁচে ভাগ-বাটোয়ারা, নিয়ন্ত্রণ, স্বজনপ্রীতি আর প্রতিষ্ঠান দখলের চিত্রই চোখে পড়ছে। আমরা এই সরকার থেকে এমনটি প্রত্যাশা করিনি। যারা এখন ক্ষমতায় আছেন, তাদেরই এর দায় নিতে হবে।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার অন্তর্বর্তী সরকার ‘নেক্সট টিভি’ ও ‘লাইভ টিভি’ নামে দুটি নতুন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের অনুমোদন দেয়। নেক্সট টিভির লাইসেন্স পেয়েছেন এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক মো. আরিফুর রহমান তুহিন। তিনি ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য হিসেবে যোগ দেন। এর আগে একটি ইংরেজি দৈনিকে স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কাজ করেছেন।
অন্যদিকে, লাইভ টিভির লাইসেন্স পেয়েছেন আরিফুর রহমান নামের আরেক ব্যক্তি। তিনি প্রায় ছয় বছর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে পড়াশোনা শেষ করেন। ছাত্রজীবনে একটি ইংরেজি দৈনিকের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক ছিলেন। পরে তিনি জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য হিসেবে যুক্ত থাকলেও এনসিপিতে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেননি।
আপনার মন্তব্য