সিলেটটুডে ডেস্ক

০৮ নভেম্বর, ২০১৯ ১৩:৫৬

ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ : সেন্টমার্টিনে আটকা দেড় হাজার পর্যটক

ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’-এর প্রভাবে সমুদ্র উত্তাল থাকায় টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে। এর ফলে সেন্টমার্টিন দ্বীপে ভ্রমণে এসে আটকা পড়েছেন দেড় হাজার পর্যটক।

শুক্রবার (৮ নভেম্বর) সকাল থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ কারণে এক হাজারের বেশি পর্যটক টেকনাফে এসেও সেন্টমার্টিন দ্বীপে না যেতে পারেননি।

এদিকে পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে ৪ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেওয়া হয়েছে। এ কারণে জাহাজ চলাচল বন্ধের এ সিদ্ধান্ত নেয় জেলা প্রশাসক।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) টেকনাফ অঞ্চলের সমন্বয় কর্মকর্তা আমজাদ হোসেন জানান, কক্সবাজারসহ দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোতে ৪ নম্বর সতর্ক সংকেতের কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে এই রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। দ্বীপে বেড়াতে এসে আটকা পড়া পর্যটকেরা নিরাপদে রয়েছে। এই রুটে তিনটি জাহাজ চলাচল করে। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে আটকে পড়া পর্যটকদের ফিরিয়ে আনা হবে।

জাহাজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে টেকনাফের দমদমিয়া জেটিঘাট থেকে আড়াই হাজারের মতো পর্যটক সেন্টমার্টিন বেড়াতে যায়। প্রায় এক হাজারের মতো পর্যটক রাতে দ্বীপে অবস্থান করে। এর আগের কয়েকদিনে যাওয়া আরও ৫ শতাধিক পর্যটক দ্বীপে অবস্থান করছিলেন। এছাড়া শুক্রবার সকালে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পর্যটকেরা এসে টেকনাফের দমদমিয়া জেটিঘাটে ভিড় করছিলেন। তবে জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় এক হাজারের বেশি পর্যটক কক্সবাজারে চলে যান। অনেকে টেকনাফের হোটেলে অবস্থান করছেন।

সেন্টমার্টিন পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আজমীর ইলাহি বলেন, দ্বীপে আটকা পড়া পর্যটকদের খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। কোনো পর্যটক যাতে হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, সমুদ্র উত্তাল থাকায় দুর্ঘটনা এড়াতে টেকনাফ থেকে পর্যটকবাহী কোনো জাহাজ সেন্টমার্টিনে যেতে দেওয়া হয়নি। যেসব পর্যটক টিকিট কেটেছিলেন তাদের টাকা ফেরত দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভ্রমণে এসে দ্বীপে আটকা পড়া পর্যটকেরা যাতে নিরাপদে রাত্রিযাপন করতে পারে সেজন্য সেখানকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সর্তক থাকতে বলা হয়েছে।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর আহম্মদ বলেন, দ্বীপে বেড়াতে এসে দেড় হাজার পর্যটক আটকা পড়েছে। তাদের কাছ থেকে কেউ যাতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় না করে সেজন্য হোটেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বৈরী আবহাওয়ায় কোনো পর্যটক যাতে সমুদ্রে গোসল করতে না নামেন, সে বিষয়ে বীচ কর্মীদের সর্তক করা হয়েছে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ আরও শক্তিশালী হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। এ কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব ধরনের নৌযানকে অতিসত্বর নিরাপদ আশ্রয় নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই কারণে দেশের সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৪ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত