২১ জুন, ২০২৩ ২১:২৪
ছবি: সংগৃহীত
রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনের এএইচএম খায়রুজামান লিটন নির্বাচিত হয়েছেন।
বুধবার (২১ জুন) ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ হয় এই নির্বাচনে।
সন্ধ্যায় রাজশাহী জেলা শিল্পকলা অ্যাকাডেমিতে বেসরকারিভাবে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন।
এনিয়ে টানা দ্বিতীয়বার এবং মোট তৃতীয়বারের মতো রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, জাতীয় নেতা ও স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচএম কামারুজ্জামানের ছেলে লিটন ২০০৮ সালে প্রথমবার রাজশাহী সিটির মেয়র নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে ৮৭ হাজারেরও বেশি ভোট পেয়ে দ্বিতীয়বার নগরপিতা হন তিনি।
বুধবার অনুষ্ঠিত সিটি নির্বাচনের ১৫৫ কেন্দ্রের মধ্যে সবকটি কেন্দ্রের বেসরকারি ফলাফল শেষে দেখা যায়, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লিটন এক লাখ ৫৯ হাজার ৭৯৭ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।
বুধবারের নির্বাচনে মেয়র পদে জাকের পার্টির অ্যাডভোকেট লতিফ আনোয়ার গোলাপ ফুল প্রতীকে পেয়েছেন ১১ হাজার ৫৮৪ভোট। এছাড়া লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম স্বপন পেয়েছে ৯ হাজার ৪৫৭ ভোট।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মাওলানা মুরশিদ আলম নানান অভিযোগ তুলে গত ১২ জুন নির্বাচন বর্জন করেলেও তার প্রতীকে পড়েছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩ হাজার ৩৯৩ ভোট। যদিও এক সংবাদ সম্মেলনে নিজের ভোট না দেওয়ার কথা জানান।
রাজশাহী সিটিতে এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৭১ হাজার ১৬৭ জন, নারী ১ লাখ ৮০ হাজার ৮০৯ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) ভোটার সংখ্যা ছয়জন। এবার নতুন ভোটার ছিলেন ৩১ হাজার ২২৩ জন।
বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে। রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবন থেকে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে সরাসরি ভোটগ্রহণ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে ইসি। তাদের চোখে অনিয়ম বলতে কেবল রাজশাহীর একটি কেন্দ্রেই ঘটেছে। সেখানে ভোটকেন্দ্রের গোপন কক্ষে একাধিকবার প্রবেশ করতে দেখা যায় এক নারীকে। সঙ্গে সঙ্গে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। পুলিশের হাতে তুলে দিয়ে তাকে তিন দিনের জন্য জেলে পাঠানো হয়েছে।
আপনার মন্তব্য