সিলেটটুডে ডেস্ক

০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ২১:৫১

জনগণের আওয়াজ স্তব্ধ করে আবারও ক্ষমতায় আসতে চায় আ.লীগ: ফখরুল

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আজ প্রবল বৃষ্টির মধ্যেও লাখো জনতার উপস্থিতিতে জনগণ সরকারকে না বলে দিয়েছে। দেশের মানুষ এ সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। এরা ক্ষমতায় টিকে থাকতে সকল অনৈতিক কাজ করে যাচ্ছে। এ সরকার জনগণের সবধরনের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। জনগণের আওয়াজ স্তব্ধ করে আবারও এরা ক্ষমতায় আসতে চায়।’

শনিবার বিকেলে বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে সামনে সরকার পতনের একদফা দাবিতে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের আয়োজনে গণমিছিল শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে ঢাকা কমলাপুর স্টেশন থেকে পীরজঙ্গী মাজার হয়ে আরামবাগ, ফকিরাপুল হয়ে নয়াপল্টনে এসে মহানগর দক্ষিণের গণমিছিল শেষ হয়। অপরদিকে রামপুরা ডেল্টা হাসপাতাল থেকে শুরু হয়ে গণমিছিলটি হাজীপাড়া, মালিবাগ চৌধুরীপাড়া, মৌচাক, শান্তিনগর হয়ে নয়াপল্টন বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয় উত্তরের মিছিল।

তিনি বলেন, আজ সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে আটক রেখে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। অবিলম্বে তাকে মুক্তি দিতে হবে। সকল নেতাকর্মীদের মুক্তি দিতে হবে। সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজ খালেদা জিয়াকে আটকে রেখে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। অবিলম্বে তাকে মুক্তি দিতে হবে। সব নেতাকর্মীদের মুক্তি দিতে হবে। সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।’

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘আসুন সবাই ঐক্যবদ্ধ হই। সরকার জোর করে ক্ষমতায় আসতে চাইবে। সবাইকে সতর্ক থাকবে হবে। নেতাকর্মীদের বুকে সাহস নিয়ে রাজপথে নামতে হবে। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সংসদ বিলুপ্ত করে জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে।’

মির্জা ফখরুল বক্তব্য দেওয়ার শুরুতে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হলে বক্তব্য সংক্ষেপ করেন তিনি। বক্তব্য শেষে তিনি স্লোগান ধরেন, ‘সব রাজনৈতিক দল একহও, একহও।’

ঢাকা মহানগর উত্তরের আহবায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে সদস্যসচিব আমিনুল হকের পরিচালনায় গণমিছিল পরবর্তী সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বেগম সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান প্রমুখ।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘খালেদা জিয়া এখনো মুক্তি পাননি। তাকে তিলে তিলে মেরে ফেলার চেষ্টা চলছে। খালেদা জিয়া যদি বিদেশে না যেতে পারে তাহলে সরকারের কাউকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে দেওয়া হবে না। কর্মীরা আজ কোথায়? আজও কেন আন্দোলন সফল করতে পারছি না। আজ যদি সবাই শপথ নিয়ে মাঠে থাকি, পুলিশের সাধ্য নেই আমাদের ঘরে ফেরাবে। কর্মীরা যদি নির্ভয়ে রাজপথে নামে তাহলে শেখ হাসিনার গদি ছেড়ে দেওয়া ছাড়া কোনো পথ থাকবে না।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান বলেন, ‘বর্তমান সরকারের সময় আর নেই। আজ দ্রব্যমূল্যে ঊর্ধ্বগতির কারণে মানুষ পেট ভরে খেতে পারছে না। আর প্রধানমন্ত্রী নিজের অবৈধ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে রাষ্ট্রের অর্থ খরচ করে বিদেশ ভ্রমণ করছেন।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত