সিলেটটুডে ডেস্ক

০৯ জুন, ২০১৬ ১৬:১৭

‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শুধু ভাঙা রেকর্ড বাজান’

প্রতিটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের অবৈধ ও ব্যর্থ সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একটাই ভাঙা রেকর্ড বাজান, ‘এটা একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ বলে অভিমত প্রকাশ করে বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান ও ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শীর্ষনেতা জেবেল রহমান গাণি বলেছেন, ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের পক্ষে মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন অসম্ভব।

তিনি চট্টগ্রামে পুলিশ সুপারের স্ত্রী, নাটোরে এক খ্রিস্টান ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন খুনের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়ে বলেছেন, এ সকল হত্যাকাণ্ড বর্বর ও কাপুরুষোচিত ও অমানবিক পশুপ্রবৃত্তির শামিল। দেশে যে ভাবে ‘সিরিয়াল কিলিং’ শুরু হয়েছে তাতে মনে হচ্ছে দেশবাসী যেন এক নিরাপত্তাহীন অন্ধকার গুহায় বসবাস করছে।

জেবেল রহমান গাণি বৃহস্পতিবার (৯ জুন) সকালে নয়াপল্টনস্থ যাদু মিয়া মিলনায়তনে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ‘র ঢাকা মহানগরীর সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখছিলেন। নগর আহ্বায়ক সৈয়দ শাহজাহান সাজু‘র সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া, যুগ্ম মহাসচিব স্বপন কুমার সাহা, মো. নুরুল আমান চৌধুরী, নগর সদস্য সচিব মো. শহীদুননবী ডাবলু, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আনছার রহমান শিকদার, অধ্যক্ষ মো. নজরুল ইসলাম, মো. আক্তার হোসেন, জিল্লুর রহমান পলাশ প্রমুখ।

জেবেল রহমান গাণি বলেছেন, জনগণের স্বার্থের কথা বিবেচনা না করে শুধু ক্ষমতায় টিকে থাকতে দেশটাকে পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করতে গিয়ে সরকার ইতোমধ্যে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। দেশের এমন কঠিন ও জটিল পরিস্থিতিতে জনগণের নিজস্ব গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তুলে মুক্তিযুদ্ধে জনগণের আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

এম. গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া বলেছেন, দেশে এখন ক্ষমতা একচেটিয়া করার ব্যবস্থা পোক্ত করা হচ্ছে। দেশের মানুষ এখন শঙ্কিত। তাদের ভোটের অধিকার হরণ থেকে শুরু করে সব গণতান্ত্রিক ক্ষেত্রে সরকার কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে। দেশের সংবিধান প্রধানমন্ত্রী কেন্দ্রিক হওয়ায় তা স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করছে।

তিনি বলেন, চারিদিকে ভয়, শঙ্কা আর আতঙ্ক নিয়েই দেশের মানুষ এখন অনিশ্চিত জীবনযাপন করছে। ভ্রুক্ষেপহীন সরকার বন্য প্রতিহিংসার আক্রোশে জঙ্গিদের তৎপরতা দমন করার পরিবর্তে বিরোধী দলের ওপর দায় চাপিয়েই দায়িত্বের সমাপ্তি ঘটালেও নিজেরা নিষ্কলঙ্ক হতে পারছে না।

সরকার দুষ্কৃতকারীদের গ্রেপ্তারের পরিবর্তে ‘বিভ্রান্তমূলক’ তথ্য ছড়িয়ে নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করার অপচেষ্টা করছে বলে দাবি করে তিনি বলেন,‘আর এই সুযোগে জঙ্গিরা আরও বেশি শক্তিশালী হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। জঙ্গিরা প্রকাশ্য দিবালোকে নির্ভয়ে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করছে, অথচ ক্ষমতাবিলাসী সরকার নিশ্চিন্তে এগুলোকে আমলেই নিচ্ছে না।

সভাপতির বক্তব্যে সৈয়দ শাহজাহান সাজু বলেছেন, গণতন্ত্রকে স্থায়ী করতে কোনো দলেরই তেমন ভূমিকা নেই। যে কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে অসহায় অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। দেশের মানুষ অসহায় অবস্থায় যখন রাষ্ট্রের সহায়তা চাচ্ছে, তখন তাদের নিরাপত্তা দেওয়ার নামে অধিকার হরণ করা হচ্ছে। ফলে দেশে ক্ষমতার ভারসাম্য বলে কিছু নেই। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে একটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত