সিলেটটুডে ডেস্ক

১৫ জুন, ২০১৬ ১৫:৫৪

‘আমরা মরেছি, এবং মেরেছি’: ৭২ থেকে ৭৫ সম্পর্কে বাদল

"এগেইন আই উইল গো টু মাই পার্লামেন্ট। আমরা ৭২ থেকে ৭৫ পর্যন্ত সরকারের বিরোধিতা করেছি, প্রচণ্ড বিরোধিতা করেছি, রক্তাক্ত বিরোধিতা করেছি। সেই বিরোধিতায় আমরা সরকারের পতনও চেয়েছি। সেই চাওয়ার প্রক্রিয়ায় আমরা মরেছি এবং মেরেছি। এই যে বাহাত্তর থেকে পঁচাত্তর, দ্য পলিটিকস অব জেএসডি ও অন্যদের পলিটিকস, হুইচ ইজ রাইট, হুইচ ইজ রং। এটা ইতিহাসকে সিদ্ধান্ত নিতে দেন। আমি এর বাইরে কোনও মন্তব্য করবো না।"  

যুক্তরাজ্যস্থ বেসরকারি বাংলা টেলিভিশন 'চ্যানেল-এস' কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জাসদের গণবাহিনী বিষয়ে বিভক্ত জাসদের একাংশের নেতা মঈন উদ্দিন খান বাদল এমনটিই বলেন।

মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে দেশে অস্থিতিশিল পরিবেশ ও গুপ্ত হত্যা ঘটিয়ে  বঙ্গবন্ধুর সরকারের বিরোধীতা করার অভিযোগ আছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) এর বিরুদ্ধে। এই নিয়ে নানান সময়ে আওয়ামীলীগ নেতারা কথা বলেন। সম্প্রতি আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রসাশনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম জাসদকে 'হঠকারি' সংগঠন আখ্যা এই দল থেকে মন্ত্রী করার প্রায়শ্চিত করতে হবে বলার পর নতুন করে রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তাপ শুরু হয়।

বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের ক্ষেত্র প্রস্তুত করার অভিযোগ সম্পর্কে ইনু বিরোধী এই জাসদ নেতা বলেন, "ক্ষেত্র প্রস্তুতের কথা যদি বলেন, আমি তো নিজের মুখে স্বীকৃতি দিচ্ছি, আমরা বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক পতন চেয়েছি এবং খুব তারস্বরে বলছি, যে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে তার সঙ্গে জাতীয় সামাজতান্ত্রিক দলের কোনও দেনা পাওনা নাই। "

বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর ক্ষমতার নাটাই পাওয়া জিয়াউর রহমানকে সামনে নিয়ে আসার কোন পরিকল্পনা জাসদের ছিল না, জিয়ার সাথে ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল তাহেরের। বলেন তিনি।  জিয়াকে সিলেকশন করা তাহের ভুল ছিল তা তিনি জীবন দিয়ে খেসারত দিয়েছেন। বলেন বাদল।

কোন প্রেক্ষিতে মুক্তিযুদ্ধের ঠিক পর পরই গণবাহিনীর মত আক্রমনাত্মক বাহিনী তৈরি করতে হল এমন প্রশ্নের জবাবে বর্ষীয়ান এই রাজনীতিক বলেন, "আমাদের কেন মনে হলো সেই জায়গাটাই তো আপনাকে বলছিলাম, গবেষণা করুন ইতিহাসের খাতায় খোঁজ নেন। আমাদেরও ২০ হাজার কর্মী বাংলাদেশের প্রত্যেক জায়গায় রক্ত দিয়েছে। বাংলাদেশের মাটি চাপ দিলে, আমাদেরও রক্ত বেরিয়ে আসবে। "

৭২ থেকে ৭৫ সময়ে জাসদের গণবাহিনী  হাতে যে হত্যাকাণ্ডগুলো ঘটেছে তার বিচার না হওয়া প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়া চট্টগ্রামের এই রাজনৈতিক নেতা বলেন,  " আমি বলেছি, হত্যাকাণ্ড হয়েছে, আমার বাংলাটা পরিষ্কার করে শুনেছেন কিনা জানি না। আমরা মরেছি, আমরা মেরেছি। সব ব্যাপারেই যদি পুনর্বার ওপেন করতে চান...। যদি কখনও সেটা ইতিহাসে ওপেন করেন, নো প্রোবলেম। সেটা ওপেন হতেই পারে, সব বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।"

গত ২২ ফেব্রুয়ারি  সাংবাদিক তানভীর আহমেদ এই সাক্ষাতকার গ্রহণ করেন।

সূত্র: চ্যানেল এস ও বাংলা ট্রিবিউন



আপনার মন্তব্য

আলোচিত