স্পোর্টস ডেস্ক

২৩ নভেম্বর, ২০২২ ১৩:৪৩

চার বারের বিশ্বসেরা জার্মানির মুখোমুখি জাপান

শিরোপা ধরে রাখার অভিযানে নেমে গ্রুপপর্ব থেকেই বিদায়। ২০১৮ বিশ্বকাপের সেই ভরাডুবি জার্মান ফুটবলের ভিত নাড়িয়ে দিয়েছিল এতটাই যে, ৪ বছর পর আরেক বিশ্বকাপ যাত্রার শুরুতে এশিয়ার দল জাপানও ভাবিয়ে তুলেছে জার্মানিকে।

ভাবনার যথেষ্ট কারণও আছে। দোহার খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আজ জাপানের মুখোমুখি হওয়ার আগে মঙ্গলবার আক্রমণভাগের অন্যতম ভরসা লেরয় সানের হাঁটুর চোট বড় ধাক্কা হয়ে এসেছে জার্মানির জন্য। প্রথম ম্যাচে খেলা হচ্ছে না বায়ার্ন মিউনিখ তারকার।

চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের সাম্প্রতিক ফর্মও সুবিধার নয়। রাশিয়া বিশ্বকাপ থেকে শূন্য হাতে ফেরার পর গত বছর ইউরোর শেষ ষোলো থেকে বিদায়। উয়েফা নেশন্স লিগেও ঘুম ভাঙেনি ডাই মানশাফটদের।

এছাড়া কাতার বিশ্বকাপে সবচেয়ে কঠিন গ্রুপে পড়েছে হান্সি ফ্লিকের দল। ‘ই’ গ্রুপে রয়েছে আরেক সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন স্পেন। প্রথম ম্যাচে পা হড়কালে তাই জটিল হয়ে যেতে পারে জার্মানির শেষ ষোলোর সমীকরণ।

২০১৮ বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচে মেক্সিকোর কাছে হারার পর শেষ ম্যাচে এশিয়ার দল দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে হেরে বিদায় নিশ্চিত হয়েছিল জার্মানির। কাতার বিশ্বকাপে সেই ভুল করতে চায় না তারা। জাপান দলের আটজন খেলেন জার্মানির শীর্ষ লিগে। অভিজ্ঞতা ও শক্তিমত্তায় প্রতিপক্ষের চেয়ে অনেক এগিয়ে থাকলেও তাই প্রথম ম্যাচ নিয়ে খুবই সতর্ক জার্মানি দলের পরিচালক অলিভার বিয়েরহফ, ‘জাপানের বিপক্ষে কঠিন লড়াইয়ের জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। প্রথম মিনিট থেকে মনোযোগ ধরে রাখতে হবে। ভুল করা চলবে না।’

জাপান দলে নুয়ার মুলারের মতো বড় তারকা না থাকলেও জার্মানিকে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ দেখছেন না ফরোয়ার্ড তাকুমা আসানো, ‘এটা ঠিক যে এশিয়ার দলগুলো এখনো ইউরোপ ও লাতিন আমেরিকার মানে পৌঁছতে পারেনি। কিন্তু বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্টে যে কোনো কিছুই সম্ভব।

দল হিসাবে খেলতে পারলে জার্মানিকে হারানো অসম্ভব নয়।’ আর্সেনালে খেলা জাপানি ডিফেন্ডার তাকেহিরো তোমিয়াসুর কণ্ঠেও অভিন্ন সুর, ‘জার্মানিকে খুব বেশি সমীহ করার কোনো কারণ দেখছি না আমি।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত