
২০ মার্চ, ২০১৫ ১৬:৪১
খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা পাকিস্তানকে রীতিমত ওড়িয়েই দিলো অস্ট্রেলিয়া। ছয় উইকেটের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত হয়ে পাকিস্তানের নিশ্চিত হলো গেলো ইসলামাবাদের টিকিট।
শুক্রবার (২০ মার্চ) অ্যাডিলেইড ওভালে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে এক বল বাকি থাকতে ২১৩ রানে অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান।
জবাব দিতে নেমে তৃতীয় ওভারে অ্যারন ফিঞ্চকে ফিরিয়ে দেন সোহেল খান। নবম ওভারে ডেভিড ওয়ার্নারকে বিদায় করেন ওয়াহাব রিয়াজ। পরের ওভারে মাইকেল ক্লার্ককে বিদায় করেন তিনি। ২৭তম ওভারে স্টিভেন স্মিথকে ফেরান এহসান আদিল।
এরপর ওয়াটসন (৬৪*) আর ম্যাক্সওয়েলের (৪৪*) ঝড়ো ব্যাটিংয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় অস্ট্রেলিয়া। হাতে তখনও তাদের বাকি ১৬ ওভার।
পাকিস্তানকে ৬ উইকেটে হারিয়ে দাপটের সাথে সেমিফাইনালে পা রাখল ৪ বারের বিশ্বসেরা ও এবারের আসরের স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া। সেমিফাইনালে তাঁদের প্রতিপক্ষ বাংলাদেশের সাথে কোয়ার্টার ফাইনালে বিতর্কিত ম্যাচে জয়ী ভারত।
২৪ রানে দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের বিদায়ে শুরুটা ভালো হয়নি পাকিস্তানের। পঞ্চম ওভারে মিচেল স্ট্যার্কের বলে স্লিপে শেন ওয়াটসনের দারুণ ক্যাচে পরিণত হয়ে বিদায় নেন আগের ম্যাচে শতক করা সরফরাজ আহমেদ।
পরের ওভার অন্য উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান আহমেদ শেহজাদকে বিদায় করেন অস্ট্রেলিয়ার সফলতম বোলার জস হ্যাজেলউড। প্যাট কামিন্সের বদলে দলে ফেরা এই পেসার ৩৫ রানে ৪ উইকেট নেন।
তৃতীয় উইকেটে হারিস সোহেল ও মিসবাহ-উল-হকের দৃঢ়তায় প্রতিরোধ গড়ে পাকিস্তান। এক সময়ে পাকিস্তানের সংগ্রহ ছিল ২ উইকেটে ৯৭ রান। বড় স্কোরের সম্ভাবনা জাগালেও শেষ পর্যন্ত কোনোমতে দুইশ’ পার হয় তাদের সংগ্রহ।
গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের বলে ছক্কা হাকাতে গিয়ে মিসবাহর বিদায়ে ভাঙে ৭৩ রানের জুটি। অধিনায়কের বিদায়ের পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় পাকিস্তান। দলটি শেষ ৮ উইকেট হারায় ১১৬ রানে।
সোহেল, শোয়েব মাকসুদ, শহিদ আফ্রিদি, উমর আকমল আউট হন উইকেটে থিতু হয়ে। মিসবাহ, আকমল ও আফ্রিদি ফিরে যান ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়ে। তিনটি ক্যাচই তালুবন্দি করেন অ্যারন ফিঞ্চ।
৬ উইকেটে ১৮৮ রান করা পাকিস্তান আড়াইশর কাছাকাছি যেতে তাকিয়ে ছিল মাকসুদ, ওয়াহাব রিয়াজের দিকে। হতাশ করেছেন দুই জনই। তাদের বিদায়ের পর পাকিস্তানের সংগ্রহ দুইশ’ পার হওয়া নিয়েই সংশয় জেগেছিল।
আপনার মন্তব্য