স্পোর্টস ডেস্ক

২৮ এপ্রিল, ২০১৭ ২৩:০০

টেস্ট খেলতে অস্ট্রেলিয়া আসছে

অবশেষে বাংলাদেশে খেলতে আসছে অস্ট্রেলিয়া। সফরে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি ম্যাচ না থাকলেও আছে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। দুই বছর আগে যে সিরিজ হওয়ার কথা ছিল, তা হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।

এদিকে, বাংলাদেশ সফরে আসছে না পাকিস্তান ক্রিকেট দল। আর সফর বাতিলের ব্যাখ্যা চেয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) পাকিস্তানকে নোটিশ পাঠাবে বলে জানালেন সভাপতি নাজমুল হাসান।

বিসিবি সভাপতি বলেন, অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল বাংলাদেশ সফরে আসছে নিশ্চিত। তবে দিনক্ষণ ঠিক হয়নি এখনও।

শুক্রবার বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান বলেন, পাকিস্তান দল বাংলাদেশ সফর বাতিল করায় আমরা বিস্মিত। এর ব্যাখ্যা চেয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে নোটিশ পাঠাবে বিসিবি।

আগের দিন পিসিবি সভাপতি শাহরিয়ার খান বলেছিলেন, বাংলাদেশ সফরে আসছে না পাকিস্তান দল। নাজমুল হাসান বলেন, অস্ট্রেলিয়া দল বাংলাদেশ সফরে আসছে নিশ্চিত। কারণ দুবাইয়ে আইসিসির সভা শেষে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) প্রেসিডেন্ট ডেভিড পিভার আমাকে বলেন, সিরিজের প্রথম টেস্ট দেখতে সস্ত্রীক বাংলাদেশে আসছেন তিনি।

অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে এ সিরিজটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল ২ বছর আগে ২০১৫ সালের অক্টোবরে। কিন্তু নিরাপত্তার অজুহাতে শেষ পর্যন্ত সেই সফর স্থগিত করেছিল তারা। বাংলাদেশ সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও সফরে রাজী হয়নি অজি ক্রিকেট বোর্ড। শুধু তাই নয়, একই অজুহাতে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপেও দল পাঠায়নি অস্ট্রেলিয়া। যদিও কোনো দুর্ঘটনা ছাড়াই বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

এরপর গত বছরের শেষ দিকে বাংলাদেশে পূর্ণাঙ্গ সফরে আসে ইংল্যান্ড দল। নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে বাংলাদেশ বিশ্বকে দেখিয়ে দেয় নিজেদের সক্ষমতা। ইংল্যান্ডের তৎকালীন টেস্ট অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুক নিজে টুইট করে সব দেশকে বাংলাদেশে আসার আহ্বান জানান। ঐ সফরে ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে ইংল্যান্ড জিতে গেলেও টেস্ট সিরিজ ১-১ ব্যবধানে ড্র হয়।

এরপরই চলতি বছরের জানুয়ারিতে আবারও বাংলাদেশ সফরে আসার আগ্রহ দেখায় অস্ট্রেলিয়া। এরপর নিজেদের নিরাপত্তা দল পাঠায় বাংলাদেশে। নিরাপত্তা পর্যবেক্ষকরা সবুজ সংকেত দিলে আলোচনায় অগ্রগতি শুরু হয়।

সিরিজ প্রসঙ্গে নাজমুল হাসান আরও বলেন, "শুধু দুটি টেস্ট হবে। ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার একদিন কিংবা দুই দিন আগে প্রথম টেস্ট শেষ হবে। দ্বিতীয় টেস্ট কোরবানির ঈদের তৃতীয় দিন শুরু হবে। মাঝে ঈদের জন্য পাঁচ দিনের একটা বিরতি ছিল। ওরা ৫ দিন বসে থাকতে চায় না। আমরা বোর্ডে কথা বললাম, দুদিন ঈদের ছুটি হলে আমরা তৃতীয় দিনই ম্যাচ আয়োজন করতে রাজী আছি। আমরা সবাই থাকব। দরকার হলে ছুটি বাতিল হবে। এখন আমরা অত্যন্ত খুশি যে তারা আসছে।"

আপনার মন্তব্য

আলোচিত