ক্রীড়া প্রতিবেদক

০৯ জুন, ২০১৫ ২৩:৩৪

একাদশে মাত্র এক পেসার!

অধিনায়ক মুশফিক আর কোচ হাথুরুসিংহে ফতুল্লার পিচ দেখে এসে ধাঁধায় পড়লেন। এমন পিচ নাকি একদমই অচেনা তাদের। আবার পরক্ষণেই সিদ্ধান্তে এলেন এই পিচে পেসারদের জন্য নেই কিছুই।
তাছাড়া প্রচণ্ড তাপদাহে বল করতেও সমস্যা হবে রুবেল-শহীদদের। সেকারণে নাকি এক পেসার নিয়ে টেস্ট খেলতে নামবে বাংলাদেশ! পাওয়া গেল এমন বিচিত্র ইঙ্গিত। সেটা হলে একাদশে দেখা যাবে ৪ স্পিনার।

সাকিব তো আছেনই, তাইজুল, জুবায়েরের সঙ্গে হাত ঘুরাবেন হঠাৎ করে পার্ট টাইম অফ স্পিনার থেকে ফুল টাইম অফ স্পিনার বনে যাওয়া শুভাগত। আর নতুন বল সামলাবেন কেবল রুবেল সাথে হাত ঘুরাতে পারা সৌম্যকে দিয়েও কয়েক ওভার বল করানো হতে পারে।

মাত্র এক পেসার নিয়ে টেস্ট খেলতে নামার ঝুঁকি পৃথিবীর কোন টেস্ট খেলুড়ে দেশকেই নিতে দেখা যায় না। কিন্তু বাংলাদেশে যেন পেসাররা সৎ ভাই। এখনে পিচ তৈরিতে পেসারদের কথা বিবেচনাই করা হয় না।

ঘরোয়া ক্রিকেটেও নেই পেসারদের পারফর্ম করার জায়গা। থাকতে হয় বলে একাদশে থাকেন, অবস্থা অনেকটা এমনই। কিন্তু টেস্ট ম্যাচে ভালো ফল করতে হলে পেসারদের আগ্রাসনের বিকল্প কি আছে?

পৃথিবীর সবচেয়ে স্পিন বান্ধব পিচেও দরকার হয় পেসারদের আগ্রাসন। অনেক সময় উইকেট না পেলেও পেসারদের আগ্রাসনের কারণেই  সেট  ব্যাটসম্যানের আত্মবিশ্বাস হতে পারে নড়বড়ে। বাংলাদেশ টিম ম্যানেজম্যান্ট যেন এসবের তুরাই কেয়ার করেন।

স্পিনে ভারতীয়রা বরাবরই বিশ্বসেরা। ভারতকে বিপাকে ফেলতে পারে কেবল পেস। কিন্তু ফতুল্লার পিচ নাকি কেবল স্পিনারদেরই স্বর্গ! কথাবার্তা এবং হাবভাবে বোঝাগেল বাংলাদেশের জেতার কোন পরিকল্পনাই নেই। ড্র করতে পারাটাই একমাত্র লক্ষ্য।
ইতিহাস বলে কেবল ড্র করার মানসিকতায় নেতিবাচক ক্রিকেট খেলতে গেলে উল্টো হারতে হয়।

মুশফিক কিপিং করবেন না আগেই জানানো হয়েছিল। কাল তাই অভিষেক হচ্ছে লিটন দাসের। কিপিং না করায় মুশফিক খেলবেন ৪ নম্বর পজিশনে। এক পেসার খেলালে অভিজ্ঞতা বিবেচনায় এগিয়ে থাকবেন রুবেল হোসেন। আর
দুই পেসার যদি নামানো হয় শেষ পর্যন্ত তবে শহীদ যোগ দেবেন রুবেলের সাথে সেক্ষেত্রে জুবায়ের কিংবা শুভাগত যেকোন একজনকে বসে থাকতে হবে বাইরে।

ফতুল্লা টেস্টের সম্ভাব্য একাদশ: তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, লিটন দাস, সৌম্য সরকার, শুভাগত হোম, তাইজুল ইসলাম, জুবায়ের হোসেন, রুবেল হোসেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত