স্পোর্টস ডেস্ক

১০ জুলাই, ২০১৫ ২১:০০

রাবাদার তোপে ছিন্নভিন্ন বাংলাদেশ

আগের সিরিজেই এক অভিষিক্তের সাফল্যে হেসেছিলো বাংলাদেশ। এই সিরিজে আরেক অভিষিক্তের হিংস্র উল্লাসের সাথে পরিচিত হলো বাংলাদেশ। তবে দূর্ভাগ্য হলো- এবারের অভিষিক্ত বোলার বাংলাদেশের নন। দক্ষিণ আফ্রিকার। রাবাদা।

রাবাদার বোলিং তোপেই আজ প্রথম ওয়ানডেতে ১৬০ রানে গুটিয়ে গেলো বাংলাদেশের ব্যাটিং। আরো ভালো করে বললে বিশ্বকাপের পর থেকে ওয়ানডেতে উড়তে থাকা বাংলাদেশকে যেনো মাটিতে নামিয়ে আনলেন রাবাদা।

এর আগে হ্যাটট্রিক করে বাংলাদেশের টপ অর্ডার ছত্রখান করে দিয়েছিলেন ‘চামিন্দা’। সাবেক শ্রীলঙ্কান পেসারের পর এবার​ রাবাদা। ২০০৩ বিশ্বকাপের এক যুগ পর আবারও বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডেতে হ্যাটট্রিক করল কেউ। দক্ষিণ আফ্রিকার ২০ বছর বয়সী এক বিস্ময়। ওয়ানডে অভিষেকের দিনেই দুটো বিশ্ব রেকর্ড নিজের পাশে লেখালেন—অভিষেকে হ্যাট​ট্রিক আর অভিষেকে সেরা বোলিং।

রাবাদার আলোকিত অভিষেকের দিনে বাংলাদেশ গুটিয়ে গেল মাত্র ১৬০ রানে। আট ব্যাটসম্যান খেলিয়েও ৪০ ওভারে নেমে আসা ম্যাচের পুরোটাও খেলতে পারল না মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। ২১ বল আগেই অলআউট। সর্বোচ্চ ৪৮ করেছেন সাকিব। আটে নেমে ৩১ করেছেন নাসির। সৌম্য ২৭ আর মুশফিক ২৪। বাংলাদেশের সাত ব্যাটসম্যানই দুই অঙ্কে যেতে পারেননি। এর মধ্যে চারজনের নামের পাশে শূন্য। মুস্তাফিজ অবশ্য নটআউট ছিলেন।

এই মুস্তাফিজ এখন বল হাতে কিছু একটা করলে বাংলাদেশের লজ্জা কিছুটা কমবে। অভিষেকের পর থেকে জাদু দেখানো এই বাঁ হাতি পেসার অবশ্য টি-টোয়েন্টি সিরিজে নিষ্প্রভ ছিলেন। তবে মুস্তাফিজের কীর্তিও ছাপিয়ে যেতেই বোধ হয় আবির্ভাব হয়েছে রাবাদার!

তাঁর প্রথম রেকর্ডটা এল নিজের দ্বিতীয় আর ইনিংসের চতুর্থ ওভারে। শেষ তিন বলে তিন উইকেট। প্রথমে তামিম। এর পর লিটন আর। মাহমুদউল্লাহ। তিনটা আউটও তিন রকম। তামিম বোল্ড, লিটন ক্যাচ আর মাহমুদউল্লাহ এলবিডব্লু। পারফেক্ট হ্যাটট্রিক! অভিষেকে টানা তিন বলে উইকেট তুলে নেওয়ার একমাত্র কীর্তিটা ছিল বাংলাদেশের তাইজুল ইসলামের। মিরপুরের এই মাঠেই। একজন সঙ্গীকে পেয়ে নিশ্চয়ই ভালো লাগছে না তাইজুলের। ভাগীদার বেড়েছে বলেই নয়, কীর্তিটা যে তাঁর দলের বিপক্ষেই।

তাইজুলের রেকর্ডটার বয়স আর কত? ছয় মাস। ফিদেল এডওয়ার্ডসের রেকর্ডটার বয়স প্রায় এক যুগ হতে চলল। তার পর অভিষেকে কেউ ৬ উইকেট পেল ওয়ানডেতে। ৮ ওভারে ১৬ রানে ৬ উইকেট!

 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত