সিলেটটুডে স্পোর্টস ডেস্ক

১১ জুলাই, ২০১৫ ০২:১৫

অভিষেকে হ্যাটট্রিক: তাইজুলের পাশে রাবাদা

এর আগে ওয়ানডে ক্রিকেটে অভিষেক ম্যাচে হ্যাটট্রিকের রেকর্ড ছিল কেবল বাংলাদেশের স্পিনার তাইজুল ইসলামের, প্রতিপক্ষ ছিল জিম্বাবুয়ে। এবার বাংলাদেশের বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচে হ্যাটট্রিক করে তাইজুলের পাশে গিয়ে দাঁড়ালেন কাগিসো রাবাদা। ভেন্যু ঐ একই; মিরপুরের শের-ই-বাংলা স্টেডিয়াম।

ওয়ানডে ইতিহাসের যে এলিট ক্লাবের জন্ম দিয়েছিলেন তাইজুল, সেই ক্লাবের দ্বিতীয় সদস্য এখন দক্ষিণ আফ্রিকার ডান হাতি ফাস্ট বোলার রাবাদা। ২০ বছর বয়সী এই খেলোয়াড় ম্যাচের চতুর্থ ওভারেই হ্যাটট্রিক করে বাংলাদেশের মেরুদণ্ডটা দিয়েছেন ভেঙে। ওয়ানডে অভিষেকে হ্যাটট্রিক করা প্রথম বোলার হিসেবে রেকর্ড করেছিলেন তাইজুল। তার সাথে এবার যোগ দিলেন রাবাদা।

চার ওভারের খেলা চলছে। তামিম ইকবাল তখনো রান করতে পারেননি। হাসফাস করছিলেন। অফ স্টাম্পের ওপর দেয়া বলটা ঠিক বুঝে উঠতে পারলেন না তামিম। ডাক নিয়ে বিদায় তার। ওভারের চতুর্থ বলে তামিমকে শিকার করে পঞ্চম বলেই লিটন দাসকে পেয়ে গেলেন রাবাদা। ফ্লিক করেছিলেন লিটন। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকানদের হাত থেকে ক্যাচ ফস্কায় না।

এরপর মাহমুদ উল্লা আসেন। ভারত সিরিজ খেলতে পারেন নি ইনজুরির কারণে। এবার প্রথম বলেই রাবাদার হ্যাটট্রিক শিকার তিনি। ইতিহাস গড়ে রাবাদা তখন উড়ছেন। ওয়ানডে ইতিহাসে এটি ৩৮তম হ্যাটট্রিক। তিন ব্যাটসম্যানই ফিরেছেন ডাক নিয়ে।

একই দিনে আরেকটি অনন্য রেকর্ডের মালিক হয়েছেন রাবাদা। ওয়ানডে অভিষেকে সেরা বোলিং ফিগারের মালিক এখন তিনি। ৮ ওভারে ৩ মেইডেনে ১৬ রানে ৬ উইকেট নিয়েছেন তিনি। অভিষেকে ৫ উইকেট নেয়া বোলার তাকে নিয়ে ১৩জন।

কিন্তু অভিষেকে ৬ উইকেট নেয়ার ঘটনা এর আগে ঘটেছে মাত্র একবার। ২০০৩ সারে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডান হাতি পেসার ফিডেল এডওয়ার্ডস নিয়েছিলেন ৬ উইকেট। তার ২২ রানে ৬ উইকেটই এতদিন ছিলো সেরা। সেই রেকর্ডও ভেঙ্গে ফেললেন রাবাদা।

দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে সেরা বোলিংও ওখন রাবাদার। আগেরটি ছিলো মাখায়া এনটিনির। ২২ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। অ্যালান ডোনাল্ড ২৩ রানে নিয়েছিলেন ৬ উইকেট।

রাবাদার অভিষেকে হ্যাটট্রিকের দিনে উঠে আসে ২২ বছর বয়সী তাইজুল ইসলামের নাম। কারণ, ওয়ানডেতে অভিষেকে হ্যাটট্রিকের ইতিহাসটা শুরুই হয়েছে এই বাংলাদেশী বাঁ হাতি স্পিনারের হাত ধরে। ১ ডিসেম্বর ২০১৪। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই মিরপুরেই পঞ্চম ও শেষ ওয়ানডে। ওই ম্যাচে তাইজুলের অসাধারণ পারফরম্যান্সে ছিলো জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করায় বড় ভূমিকাও।

এর আগে সেপ্টেম্বরে তার টেস্ট অভিষেক হয়েছে। রাবাদার কাছাকাছি ঘটনা তার জীবনেও। রাবাদার যেমন গেলো নভেম্বরেই হয়েছে টি টোয়েন্টি অভিষেক। তো এক পর্যায়ে ওই ম্যাচে জিম্বাবুয়ে ৫ উইকেটে ১২০ রান তুলে ফেলে। এই সময় ওভারের প্রথম বলে সলোমন মাইরকে তুলে নেন তাইজুল। নাটক তখনো শুরু হয়নি। ওই ওভারেরই শেষ বলে তাইজুল তুলে নেন তিনাশে পানিয়াঙ্গারাকে।

এরপরের ওভারে ফিরে আসেন। জন নিয়াম্বু ও তেন্দাই চাতারাকে আউট করেন। হয় তার হ্যাটট্রিক। ওয়ানডে ইতিহাসে অভিষেকে হ্যাটট্রিকের নতুন দিগন্তের সূচনা করেন তাইজুল। তাইজুলের সেই আঘাতে ১২৮ রানেই অল আউট হয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। হারে ৫ উইকেটে। ৭ ওভারে ১১ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নেন তাইজুল।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত