স্পোর্টস ডেস্ক

১৯ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০৩:১৯

১৭ বছর পর রিয়াল-বার্সার গোলশূন্য ড্র

বছরের শেষ এল ক্লাসিকোতে রিয়াল মাদ্রিদ কিংবা বার্সেলোনা কেউ হারেনি, জেতেওনি কেউ। গোলের সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি দুই দল; আবার গোললাইন থেকেও নিজেদের দলকে রক্ষা করেছেন পিকে ও রামোস।

বুধবার রাতে কাম্প নউতে গোলশূন্য ড্র হয় ম্যাচটি। ১৭ বছর পর রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনার ম্যাচ এমন গোলশূন্য ড্র হলো। সর্বশেষ গোলশূন্য ড্র হয়েছিল ২০০২ সালে।

এই ড্রয়ে পয়েন্ট তালিকায় অদলবদল হয়নি। ১৭ ম্যাচে ৩৬ পয়েন্টে সমান অবস্থানে থাকলেও গোল ব্যবধানে রিয়ালকে টপকে শীর্ষে আছে বার্সা।

চোটজর্জর রিয়াল মাদ্রিদের খেলা দেখে বুঝার উপায়ই ছিল না এদেন হ্যাজার্ডসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় ছাড়াই মাঠে নেমেছে। একের পর এক আক্রমণ করে ব্যতিব্যস্ত রেখেছে বার্সার রক্ষণকে।

স্বাগতিকদের রক্ষণে ভয় ধরিয়ে দেওয়া একের পর এক আক্রমণের পরও গোল পায়নি রিয়াল মাদ্রিদ। বেশ কিছু ভালো সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি বার্সেলোনাও।

লক্ষ্যে প্রথম শট নেয় রিয়াল। করিম বেনজেমার দুর্বল শট সহজেই নিয়ন্ত্রণে নেন মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেন।

বার্সেলোনার জার্মান গোলরক্ষক মার্ক আন্দ্রে টের স্টেগান বারবার পরীক্ষার মুখোমুখি হয়েছেন। পরীক্ষায় উতরেও গেছেন বেশ কয়বার। নিজে দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছেন। কিংবা ডিফেন্ডারদের সুবাদে রক্ষা পেয়েছেন।

ম্যাচের ১৭তম মিনিটে বার্সেলোনার জেরার্ড পিকে গোললাইন থেকে বল ফিরিয়ে দলকে রক্ষা করেন। কর্নার থেকে উড়ে আসা বলে হেড করেছিলেন রিয়ালের ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার কাসেমিরো। প্রথমার্ধে রিয়ালকেও এমন অবস্থা থেকে রক্ষা করেন সার্জিও রামোস।

২৫তম মিনিটে বেনজেমার শট পা দিয়ে ঠেকিয়ে দেন টের স্টেগেন। পরমুহূর্তে ঝাঁপিয়ে আটকান কাসেমিরোর দূরপাল্লার শট।

খেলার ধারার বিপরীতে ৩১তম মিনিটে সুযোগ এসে যায় বার্সেলোনার সামনে। থিবো কর্তোয়া ঝাঁপিয়ে একটি আক্রমণ কোনোমতে ঠেকালে বল পেয়ে যান মেসি। তার শট গোললাইনের সামনে থেকে ফিরিয়ে দেন নিজের ৪৩তম ক্লাসিকোতে খেলা সার্জিও রামোস।

৬০তম মিনিটে খেলার ধারার বিপরীতে সুযোগ পেয়ে যান মেসি। অঁতোয়ান গ্রিজমানের চমৎকার পাসটা নিয়ন্ত্রণেই নিতে পারেননি তিনি। পরমুহূর্তে লুইস সুয়ারেসের শট ফিরিয়ে দেন রামোস।

৬৮তম মিনিটে পর প্রতি-আক্রমণ থেকে সুযোগ আসে গ্যারেথ বেলের সামনে। খুব কাছ থেকে শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি ওয়েলস ফরোয়ার্ড।

৭২তম মিনিটে বল জালে পাঠিয়েছিলেন বেল। ভিএআরের সহায়তা নিয়ে গোল দেননি রেফারি। দুই মিনিট পর ডি-বক্সের ভেতর থেকে অনেক ওপর দিয়ে মেরে সুযোগ হাতছাড়া করেন সুয়ারেস।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত