স্পোর্টস ডেস্ক

২৩ ডিসেম্বর, ২০১৯ ১৫:৩৭

ঢাকাকে ১৬১ রানের লক্ষ্য দিয়েছে কুমিল্লা

নিয়মিত বিরতিতে টপঅর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান হারিয়ে চাপে পড়েছিল কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। তবে থেকে গিয়েছিলেন ভানুকা রাজাপাকশে। শুরু থেকেই ব্যাটে রানের ফোয়ারা ছোটালেন তিনি। মাঝপথ থেকে শেষ পর্যন্ত তাকে যোগ্য সহযোদ্ধার সমর্থন দিলেন ইয়াসির আলি। তাতে লড়াকু পুঁজি পেল কুমিল্লা। ঢাকা প্লাটুনকে ১৬১ রানের টার্গেট দিয়েছে তারা।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং নেন ঢাকা প্লাটুন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। ফলে আগে ব্যাট করতে নামে দাসুন শানাকার কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স।

তবে শুরুটা শুভ হয়নি তাদের। ভূমিকাতেই মেহেদি হাসানের বলে ক্লিন বোল্ড হয়ে ফেরেন সৌম্য সরকার।

পরে সাব্বির রহমানকে নিয়ে খেলা ধরার চেষ্টা করেন ভানুকা রাজাপাকশে। তবে সমর্থন জোগাতে পারেননি অফফর্মে থাকা সাব্বির। একই বোলারের বলে ফেরত আসেন তিনি। এরপর ডেভিড মালানকে নিয়ে দলকে টেনে তোলার প্রচেষ্টা চালান রাজাপাকশে। কিন্তু সঙ্গ দিতে পারেননি মালান। শাদাব খানের শিকার হন তিনি।

নিয়মিত বিরতিতে টপঅর্ডারের ৩ ব্যাটসম্যান হারিয়ে চাপে পড়ে কুমিল্লা। ফলে রানের চাকাও স্লো হয়ে যায় তাদের। এ অবস্থায় ইয়াসির আলিকে নিয়ে টুক টুক করে এগিয়ে যান রাজাপাকশে। অপর প্রান্ত থেকে পান দারুণ সহযোগিতা। একপর্যায়ে দুর্দান্ত খেলতে থাকেন দুজনই।

পথিমধ্যে ফিফটি তুলে নেন রাজাপাকশে। পরে স্ট্রোকের ফুলঝুরি ছোটাতে থাকেন তিনি। ঢাকা বোলারদের রীতিমতো তুলোধুনো করেন বাঁহাতি ওপেনার । ধীরে ধীরে এগিয়ে যান সেঞ্চুরির পথে। মাঝে মধ্যে ঝলক দেখান ইয়াসির। ফলে লড়াকু পুঁজির পথে ছোটে কুমিল্লা।

তবে শেষ অবধি ৩ অংকের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করতে পারেননি রাজাপাকশে। ৬৫ বলে ৭ ছক্কার বিপরীতে ৪ চারে অনবদ্য ৯৬ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন তিনি। অন্যদিকে ২৭ বলে ২ চারে ৩০ রান করে অপরাজিত থাকেন ইয়াসির। দুজনের ব্যাটে চড়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ১৬০ রানের পুঁজি গড়ে কুমিল্লা। ঢাকার হয়ে মেহেদি নেন সর্বোচ্চ ২ উইকেট।

এখন পর্যন্ত ৪টি করে ম্যাচ খেলেছে কুমিল্লা-ঢাকা। ২টি করে জয় পেয়েছে উভয় দলই। তবে নেট রানরেটে এগিয়ে থাকায় পয়েন্ট টেবিলে ৪ নম্বরে আছে কুমিল্লা। আর ৫ নম্বরে রয়েছে ঢাকা।

কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স একাদশ: ভানুকা রাজাপাকশে, সৌম্য সরকার, সাব্বির রহমান, ডেভিড মালান, ইয়াসির আলি রাব্বি, দাসুন শানাকা (অধিনায়ক), মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন (উইকেটরক্ষক), রবিউল ইসলাম রবি, সুমন খান, মুজিব-উর রহমান ও আল -আমিন হোসেন।

ঢাকা প্লাটুন একাদশ: তামিম ইকবাল, এনামুল হক বিজয় (উইকেটরক্ষক), মুমিনুল হক, জাকের আলী, আসিফ আলী, মেহেদী হাসান, শহীদ আফ্রিদি, শাদাব খান, মাশরাফি বিন মুর্তজা (অধিনায়ক), ওয়াহাব রিয়াজ ও হাসান মাহমুদ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত