স্পোর্টস ডেস্ক

২৩ ডিসেম্বর, ২০১৯ ২৩:৩৩

পাকিস্তানের মাটিতেই বাংলাদেশকে টেস্ট খেলতে হবে: পিসিবি

পাকিস্তানের মাটিতেই বাংলাদেশকে টেস্ট খেলতে হবে এমনই মন্তব্য করেছেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) সভাপতি এহসান মানি। নিরপেক্ষ ভেন্যুতে টেস্ট খেলার বাংলাদেশের প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছেন তিনি।

আসছে জানুয়ারিতে পাকিস্তানের মাটিতে দুটি টেস্ট ও তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলার কথা বাংলাদেশের। তবে বাংলাদেশে ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) পাকিস্তানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে আগ্রহ দেখালেও টেস্ট খেলতে চায় নিরপেক্ষ ভেন্যুতে। কিন্তু পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) নিজেদের মাটিতে টেস্ট সিরিজ আয়োজনের সিদ্ধান্তে অনড়।

শুধু বাংলাদেশ নয় সব দেশকেই পাকিস্তানের হোম টেস্টগুলো এখন থেকে পাকিস্তানে খেলতে হবে বলে দৃঢ় কণ্ঠে জানিয়েছেন পিসিবি সভাপতি এহসান মানি।

২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কা দলের টিম বাসে সন্ত্রাসী হামলার পর পাকিস্তান থেকে ক্রিকেট নির্বাসিত হয়ে পড়ে। সেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই সোমবার ঘরের মাঠে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শেষ করল পাকিস্তান। এর আগে সংক্ষিপ্ত সংস্করণের ক্রিকেটও আয়োজন করেছে পিসিবি। তবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সফল টেস্ট সিরিজ আয়োজন অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী করেছে পিসিবিকে।

এদিন লঙ্কানদের বিপক্ষে সিরিজ শেষে পিসিবি সভাপতি এহসান মানি বলেছেন, ‘পাকিস্তানের ঘরের টেস্ট কোথায় হবে এ নিয়ে কারো কোনো ভ্রান্ত ধারণা থাকা উচিত নয়। বাংলাদেশ হোক বা অন্য যে কোনো দলের বিপক্ষে, পাকিস্তানের সব ম্যাচ পাকিস্তানেই হবে।’

এদিকে বাংলাদেশ এখনো পাকিস্তানকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না জানালেও যতটা কম সময় সম্ভব পাকিস্তানে অবস্থান করতে চায়। তবে পিসিবি সভাপতি বলছেন, ‘আমি এখনো আশা করি বিসিবি বিষয়টি বিবেচনা করবে এবং মেনে নেবে। তাদের পাকিস্তান সফরে না আসার কোনো কারণ নেই।’

বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানে টেস্ট খেলতে না গেলে পাকিস্তান অনিরাপদ এটা বিসিবিকে প্রমাণ করতে হবে বলে কড়া ভাষায় বলেন এহসান মানি, ‘আমি দীর্ঘদিন আইসিসির সঙ্গে ছিলাম। আমি জানি এটা কীভাবে কাজ করে। তাদেরকে প্রমাণ করতে হবে পাকিস্তান নিরাপদ নয়। আমরা মনে করি আমরা নিরাপদ এবং বিশ্বকেও আমরা দেখিয়েছি সেটি।’

এই মুহূর্তে ভারতের চেয়ে পাকিস্তানকে নিরাপদ দাবি করছেন এহসান মানি, ‘দেখুন ক্রাইস্টচার্চে (বাংলাদেশ দলের নিউজিল্যান্ড সফরে ক্রাইস্টচার্চ ট্র্যাজেডি) কী হয়েছিল, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডেও কী হয়। পুরো বিশ্বেই কী হচ্ছে দেখুন। নিরাপত্তার দিক থেকে পাকিস্তানের চেয়ে ভারত এখন বেশি ঝামেলায় আছে। আমি কোনো খেলোয়াড়ের নিরাপত্তা ঝুঁকি নেব না। যারা এখানে আসার ব্যাপারে চিন্তিত, তাদের সব কথা আমরা শুনব। কিন্তু ওদের প্রমাণ করতে হবে এখানে আসা নিরাপদ নয়।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত