স্পোর্টস ডেস্ক

৩০ ডিসেম্বর, ২০১৯ ২২:৫৯

বিপিএলের এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ডিসমিসালের রেকর্ড অনিকের

ইনিংসের চতুর্থ ওভারে ওয়াহাব রিয়াজের দারুণ ডেলিভারিতে লিটন দাস ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে। এনামুল হক বিজয়ের বদলি হিসেবে নেমে সেটাই ম্যাচে জাকের আলি অনিকের প্রথম ম্যাচ। এরপর এই উইকেটকিপার একে একে নিয়েছেন আরও পাঁচ ক্যাচ। বিপিএলের ইতিহাসে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ক্যাচ আর সর্বোচ্চ ডিসমিসালের রেকর্ড গড়েছেন ঢাকা প্লাটুনের এই কিপার।

উইকেটের পেছনে জাকেরের ছয় ক্যাচের চারটি ওয়াহাব রিয়াজের বলে। হাসান মাহমুদের ও লুইস রিসের বলে নেন বাকি দুই ক্যাচ।

বিপিএলে সর্বোচ্চ পাঁচ ডিসমিসাল ছিল আফগানিস্তানের মোহাম্মদ শেহজাদ ও পাকিস্তানের উমর আকমলের। ২০১৬ সালে রংপুর রাইডার্সের হয়ে বরিশাল বুলসের বিপক্ষে দুটি ক্যাচ আর ৩টি স্ট্যাম্পিং করেন শেহজাদ। একই বছর উমর রাজশাহী কিংসের হয়ে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে  ২ ক্যাচ ৩ স্ট্যাম্পিং করেছিলেন। তবে কেবল সর্বোচ্চ ক্যাচ নেওয়ায় এগিয়ে ছিলেন রনি তালুকদার। ২০১৫ সালে বরিশাল বুলসের হয়ে চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে ৪ ক্যাচ নিয়েছিলেন তিনি।

জাকের ছাড়িয়ে গেলেন এদের সবাইকে। সব ধরণের টি-টোয়েন্টিতেও সর্বোচ্চ ক্যাচ নেওয়ার রেকর্ড শ্রীলঙ্কা উপুল ফার্নান্দোর। শ্রীলঙ্কার ঘরোয়া ক্রিকেটে এক ম্যাচে ৭ ক্যাচ নিয়েছিলেন এই উইকেটকিপার।

ঢাকা প্লাটুনের আগের সব ম্যাচে নিয়মিত খেলা জাকের এদিন একাদশে ছিলেন না। উইকেটকিপার হিসেবে খেলা এনামুল পীঠে চোট পেলে নতুন নিয়ম অনুযায়ী বদলি উইকেটকিপার হিসেবে মাঠে নামেন তিনি।

জাকেরের ক্যাচে পরিণত হয়ে আউট হন লিটন, আফিফ হোসেন, অলক কাপালী, শোয়েব মালিক , নাহিদুল ইসলাম ও আন্দ্রে রাসেল।

এরমধ্যে হাসান মাহমুদের বলে ডানদিকে ঝাঁপিয়ে আন্দ্রে রাসেলের ক্যাচ ছিল দেখার মতো। দারুণ সুপ্রতিভার এই উইকেটকিপার পরিচয় দিয়েছেন তুখোড় বুদ্ধিরও। ওয়াহাবের বলে শোয়েব মালিকের গ্লাভস ছোঁয়ে গেলে জাকেরের হাতে জমা পড়লে শুরুতে আউট দেননি আম্পায়ার। জাকের অধিনায়ককে বুঝিয়ে রিভিউ নিয়ে আদায় করেন উইকেট।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত