ক্রীড়া প্রতিবেদক

০২ জানুয়ারি, ২০২০ ১৬:৩৮

বিপিএলের সিলেট পর্বেও দর্শক খরা

তৃতীয় ভেন্যু হিসেবে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চলমান বঙ্গবন্ধু বিপিএলের ২৯তম ম্যাচে রংপুর রেঞ্জার্স ও রাজশাহী রয়্যালসের ম্যাচের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে টুর্নামেন্টের সিলেট পর্ব। কিন্তু বিপিএলের সপ্তম আসরের সিলেট পর্ব শুরু হলেও দর্শকদের মধ্যে তেমন কোনো আগ্রহ নেই। বৃহস্পতিবার সিলেটে প্রথম ম্যাচে টস হওয়ার পর থেকে ম্যাচ শেষ হওয়ার আগে পর্যন্ত গ্যালারির বেশিরভাগ অংশই ছিলো ফাঁকা।

এই সিলেটেই বিপিএলের বিগত আসরগুলোতে দর্শকদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। মাঠের খেলা শুরুর আগ থেকেই ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে বাড়তি উৎসাহ দৃশ্যমান ছিল। এমনকি খেলা শুরুর আগে থেকেই গ্যালারি থাকতো পরিপূর্ণ।

শুধু মাঠেই নয় একই চিত্র দেখা গেছে বিপিএলের টিকিট বিক্রিতে। বুধবার সকালে থেকে সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়াম ও সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে শুরু হয় টিকিট বিক্রি।  টিকিট সংগ্রহ করতে ক্রেতাদের ডাকা হচ্ছে মাইকে। কিন্তু ক্রেতা নেই টিকিট নেয়ার। স্টেডিয়ামের পাশের কাউন্টার ফাঁকা ছিল সকাল থেকে। এদিকে বেলা গড়ানোর সাথে সাথে যদিও কিছু ক্রেতা মিলেছে। তবে তাদের বেশিরভাগেরই কণ্ঠে ছিল অভিযোগ। অনেকে আবার ফিরেছেন খালি হাতে। আক্ষেপ নিজেদের মনের মতো খেলোয়াড় দেখতে পাচ্ছেন না এবারের বিপিএলে।

এদিকে গতকালের মতো আজ বৃহস্পতিবার ম্যাচ শুরুর আগেও সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের বাইরের টিকিট কাউন্টার থেকে দর্শকদের টানতে মাইকিং করা হয়েছিল। কিন্তু স্টেডিয়াম এলাকায় দর্শক চোখে পড়েনি খুব একটা। টিকিট বুথে ছিল না কোনো ভিড়।



এছাড়াও বিপিএলে দর্শক সমাগম না হওয়ার পেছনে আরও একটি কারণ হলো- আগের আসরগুলোতে ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকরা বেশ কিছু সৌজন্য টিকিট পেতেন। বিপিএলের এবারের আসরে নেই কোনো ফ্রাঞ্চাইজি, নেই সৌজন্য টিকিটেরও ব্যবস্থাও। এসব কারণেই হয়ত বিপিএল দর্শক টানতে পারছে না।


এ ব্যাপারে সিলেট বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সদস্য ও বিপিএলের সিলেট পর্বের মিডিয়া ম্যানেজার ফরহাদ কোরেশী বলেন, শুধু সিলেটেই নয়, এবার ঢাকা-চট্টগ্রামেও দর্শকের উপস্থিতি একেবারেই কম। এর কারণ হিসেবে তিনি মনে করেন, এবারের বিপিএলে ভালো বিদেশি খেলোয়াড়ের সংখ্যা কম। এদিকে বছরের শেষ ও শুরুর সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তেমন পড়াশুনার চাপ না থাকায় অনেকেই শহর ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে ঘুরতে যান। এছাড়া এবছর শীত একটু বেশি পড়ায় সিলেটে দর্শক কম হতে পারে বলেও তিনি মনে করেন।

সিলেটে বিপিএল নিয়ে প্রচার প্রচারণা কম হচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা আমাদের পক্ষ থেকে প্রচার প্রচারণার তেমন কোন ঘাটতি রাখিনি। আমরা সিলেট শহরের প্রধান প্রধান সড়কের পাঁচটি মোড়ে পাঁচটি বড় বড় বিলবোর্ড লাগিয়েছি। প্রতিদিন আমরা সিলেট ক্যাবল সিস্টেম প্রাইভেট লিমিটেডের (এসসিএস) প্রত্যেকটি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন দিচ্ছি। এমনকি আমরা খবরের কাগজেও বিজ্ঞাপন দিচ্ছি। বঙ্গবন্ধু বিপিএলে সিলেটে প্রচার-প্রচারণার কোনও ঘাটতি নেই বলেও দাবি করেন তিনি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত