ক্রীড়া প্রতিবেদক

০৩ জানুয়ারি, ২০২০ ১৮:৪১

খুলনাকে হারিয়ে শীর্ষে ঢাকা

ম্যাচের একটা সময়ে যখন খুলনা টাইগার্সের হার নিশ্চিত, ঠিক সে সময় হাল ধরেন দলের নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহীম। তার ব্যাটে ভর করে এগিয়ে চলা খুলনার ইনিংস একটা সময় দেখাতে থাকে জয়ের স্বপ্ন। দুর্দান্ত ব্যাটিং করে খুলনাকে জয়ের বেশ কাছাকাছিই নিয়ে এসেছিলেন অধিনায়ক মুশফিক। ঝড় তুলেছিলেন সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত ঢাকার দেয়া লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারলো না খুলনা। শেষ পর্যন্ত ১২ রানের হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে তার দল খুলনা টাইগার্সকে। আর খুলানকে হারিয়ে টেবিলের শীর্ষে উঠে গেছে মাশরাফি বিন মুর্তজার ঢাকা প্লাটুন।

এদিন প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৭২ রান করে ঢাকা। জবাবে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৬০ রান তুলতে পারে খুলনা।

ঢাকার দেয়া ১৭৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে কার্যত একাই লড়েছেন মুশফিক। মাঝে সঙ্গী পেয়েছিলেন নাজিবুল্লাহ জাদরানকে। তার সাথে ৪৭ বলে ৫৬ জুটি গড়েন মুশফিক। কিন্তু ব্যক্তিগত ৩১ রানে আউট হয়ে যান জাদরান।

এরপরও চেষ্টা চালিয়ে যান মুশফিক। রোবি ফ্রাইলিঙ্কের (৬) সঙ্গে ১৪ বলে ২৫ ও শহিদুল ইসলামের (৬) সঙ্গে ১১ বলে ২৪ রানের জুটি গড়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান তিনি।

কিন্তু ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে হাসান মাহমুদকে তুলে মারতে গিয়ে শাদাব খানের তালুবন্দি হয়ে যান মুশফিক। তাতেই শেষ হয়ে যায় খুলনার জয়ের স্বপ্ন। তার আগে ৩ ছক্কা ও ৫ চারে সাজিয়ে ২৮ বলে ৫২ রান করে ঢাকার বুকে কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।

ম্যাচের শুরুতে প্রথমে টসে জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন টাইগার্স ক্যাপ্টেন মুশফিকুর রহিম। সিলেট পর্বের শুক্রবাররে প্রথম ম্যাচে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা ভালো করেন ঢাকার দুই ওপেনার তামিম ও বিজয়। ৪৫ রানের জুটি গড়ার পর তামিম ২৫ রান করে ক্যাচ আউট হন। তামিমের বিদায়ের ১ ওভার পরেই বিজয় ১৫ রান করে এলবিডব্লিউ আউট হন। পরপর দুই উইকেট হারিয়ে চাপের মুখে পড়ে ঢাকা।

দলের বিপর্যয়ের মুখে হাল ধরেন মমিনুল হক। আরিফুল হককে নিয়ে এগিয়ে যান তিনি। পথিমধ্যে চাপ কাটিয়ে ওঠেন তারা। ক্রিজে সেট হয়ে গিয়েছিলেন এ জুটি। তাতে ঢাকার রানের চাকাও ঘুরছিল দ্রুতগতিতে। তবে হঠাৎ পথচ্যুত হন মুমিনুল। আমিরের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি। ফেরার আগে ৩৬ বলে ৩ চারে ৩৮ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস খেলেন তিনি। শেষের দিকে আরিফুল হকের ৩৭ ও আসিফ আলীর ১৩ বলে খেলা ৩৯ রানের ক্যামিওতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৭২ রান তোলে ঢাকা।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত