১৮ জানুয়ারি, ২০২০ ২২:২৫
নতুন চ্যাম্পিয়ন পেয়েছে বঙ্গবন্ধু বিপিএল। জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত আসরে প্রথমবার শিরোপা জিতেছে রাজশাহী রয়্যালস। পুরো আসরে দারুণ পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন কিছু ক্রিকেটার। ক্রীড়া বিষয়ক সংবাদ মাধ্যম ইএসপিএন ক্রিকইনফো তাদের নিয়েই গড়েছে সেরা বিপিএল একাদশ।
মোহাম্মদ নাঈম: ৩৫৯ রান, স্ট্রাইক রেট-১১৫.৪৩, ফিফটি-দুটি।
ভারত সিরিজে টি-২০ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় মোহাম্মদ নাঈমের। তিন ম্যাচেই ভালো খেলেন তিনি। এক ম্যাচে খেলেন ৮১ রানের ইনিংস। বিপিএলে খেলেছেন ৭৫ ও ৫৫ রানের দুটি ভালো ইনিংস। আরও কিছু ম্যাচে দলের প্রয়োজনে দেখে-শুনে ইনিংস গড়েছেন তিনি।
লিটন দাস: ৪৫৫ রান, স্ট্রাইক রেট-১৩৪.২১, ফিফটি-তিনটি।
লিটন দাস নিজে বলেছেন, এখন তিনি আগের থেকে পরিণত। ফাইনালে এক পাশ ধরে রেখে খেলাই যেন তার প্রমাণ। পুরো টু্র্নামেন্টে লিটন এভাবে ম্যাচ টেম্পার বুঝে খেলেছেন। বিপিএলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় থেকে শেষ করেছেন।
রাইলি রুশো: ৪৯৫ রান, স্ট্রাইক রেট-১৫৫.১৭, ফিফটি-চারটি
টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিপিএলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হলেন রাইলি রুশো। রুশো এবং মুশফিকের ব্যাটে ভর করে খুলনা ফাইনাল পর্যন্ত খেলেছে। শেষ দিকে অবশ্য মেহেদি-শান্ত বড় অবদান রেখেছেন।
মুশফিকুর রহিম: ৪৯১ রান, স্ট্রাইক রেট-১৪৭.০০, ফিফটি-চারটি।
ফাইনাল জেতা হয়নি। দু'বার সেঞ্চুরির কাছে গিয়েও আশা পূরণ হয়নি। তা নিয়ে মুশফিকের খেদ না থেকে পারে না। কিন্তু মুশফিক দারুণ পারফরম্যান্স দেখিয়ে দলকে ফাইনালে এনেছেন। দারুণ এক বিপিএল কাটিয়েছেন তিনি।
ডেভিড ম্যালান: ৪৪৪ রান, স্ট্রাইক রেট-১৪৫.০৯, সেঞ্চুরি-একটি, ফিফটি-তিনটি।
ঝড়ো এক সেঞ্চুরি করেও দলকে জেতাতে পারেননি। কিন্তু কুমিল্লার হয়ে তো বটেই বিপিএলে দারুণ পারফরম্যান্স করেছেন ডেভিড ম্যালান। তার মতো কুমিল্লার আর দুই-একজন নিয়মিত হলে হয়তো গ্রুপ পর্বে বিদায় নিতে হতো না দলটির।
আন্দ্রে রাসেল: ২২৫ রান, স্ট্রাইক রেট-১৮০.০০, ফিফটি-একটি, উইকেট-১৪টি।
দলের যখনই প্রয়োজন হয়েছে পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন আন্দ্রে রাসেল। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে অতিমানবীয় এক ইনিংস খেলে দলকে ফাইনালে তুলেছেন। ফাইনালেও অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করেছেন। টুর্নামেন্ট সেরা ক্রিকেটার হয়েছেন। তাকে সেরা একাদশে না রেখে উপায় নেই।
মাহেদি হাসান: ২৫৩ রান, স্ট্রাইক রেট-১৩৬.০২, ফিফটি-তিনটি, উইকেট-১২।
বঙ্গবন্ধু বিপিএলে ঢাকার নতুন আবিষ্কার স্পিন অলরাউন্ডার মাহেদি হাসান। ঢাকা ফাইনালে উঠলে আন্দ্রে রাসেলের জায়গায় টুর্নামেন্ট সেরা হয়ে যেতে পারতেন। রাসেলের চেয়ে বেশি রান, প্রায় সমান উইকেট এবং নিয়ন্ত্রিত বোলিং অন্তত তাই বলে।
মোহাম্মদ আমির: ২০ উইকেট।
খুলনার ফাইনালে তুলতে ব্যাটিংয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন মুশফিক-রুশো। বোলিংয়ে বড় অবদান মোহাম্মদ আমিরের। কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত করার ম্যাচে ১৭ রানে ৬ উইকেট নিয়ে বিপিএল সেরা বোলিং করেন তিনি।
মুজিব উর রহমান: ১৫ উইকেট।
বিপিএলের একমাত্র বোলার হিসেবে ছয়ের নিচে ওভার প্রতি রান রেখেছেন তিনি। নতুন বলে প্রতিপক্ষের শুধু রান চেপে দেননি। তুলে নিয়েছেন উইকেটও। আফগান তরুণ অফ স্পিনারের স্পিন জাল বুঝে ওঠতে পারেননি দেশি-বিদেশি ব্যাটসম্যানরা।
মেহেদি হাসান রানা: ১৮ উইকেট।
আন্তর্জাতিক অঙ্গন তো বেশ দূরে। এখনও ঘরোয়া অঙ্গনেও সেভাবে পরিচিতি পাননি মেহেদি রানা। কিন্তু এবারের বিপিএলে তিনি ঘরোয়া ক্রিকেটারদের মধ্যে সব আলো কেড়েছেন। বাঁ-হাতি এই পেসার তার ভেরিয়েশন দিয়ে দারুণ বোলিং করেছেন। নিয়েছেন ১৮ উইকেট।
মুস্তাফিজুর রহমান: ২০ উইকেট।
সেরা নির্ধারণ করতে পরিসংখ্যান গুরুত্বপূর্ণ। মুস্তাফিজ ২০ উইকেট নিয়েছেন। রান দিয়েছেন ওভারপ্রতি সাত করে। কিন্তু ফিজ ভক্তদের কাছে ফ্লপ মুস্তাফিজ। শুরুর দিকে ছিলেন বিবর্ণ। কিন্তু শেষ দিকে স্বরূপে ফিরে সেরা উইকেট সংগ্রহের তালিকায় নাম তুলেছেন। ভক্তরা যাই ভাবুক সেরা একাদশ থেকে ফিজকে বাদ দেওয়া কঠিন।
আপনার মন্তব্য