০৯ নভেম্বর, ২০২৫ ২২:৩৬
ছাত্রলীগের সাথে সম্পৃক্ততার কারণে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক শিক্ষার্থীকে মারধর করা হয়েছে। রোববার বিকেলে মারধরের পর ওই শিক্ষার্থীকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে আরও কিছু শিক্ষার্থী।
মারধারকারীরা একটি রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনের কর্মী বলে জানা গেছে।
মারধরের শিকার সোমিক সাজিদ (২৪) ওসমানী মেডিকেল কলেজের ৪র্থ বর্ষরে শিক্ষার্থী। তিনি বর্তমানে কতোয়ালি থানা পুলিশের হেফাজতে আছেন। তবে তার বিরুদ্ধে কোন মামলা নেই বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এ ব্যাপারে সিলেট কতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান সিলেটটুডেকে বলেন, সোমিককে ওসমানী মেডিকেলের কিছু শিক্ষার্থী পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। এর আগে তাকে কিছু মারধর করা হয়।
তিনি বলেন, সোমিকের বিরুদ্ধে কোন মামলা নেই। তিনি ছাত্রলীগের সাথে সম্পৃক্ত কী না তাও জানি না। বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি। তদন্তের পর সোমিকের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আপাতত তিনি আমেদের হেফাজতে রয়েছেন।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আওয়ামী লীগের পক্ষে অবস্থান করার অভিযগে এনে গত বছরের ৫ আগস্টের পর সোমিক সাজিদকে ৫ বছরের জন্য বহিষ্কার করেছিলো কলেজ কর্তৃপক্ষ। এই বহিস্কারাদেশ পুণরায় বিবেচনা করে শাস্তি কমানোর জন্য তিনি কলেজ কর্তপক্ষের কাছে আবেদন করেছিলেন।
রোববার কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে ছিল। শাস্তি কমানোর আবেদনের বিষয়ে শুনানিতে অংশ নিতে কলেজ ক্যাম্পাসে আসেন সোমিক। এসময় তাকে ব্যাপক মারধর করে কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী।
সোমিকের সহপাঠীদের অভিযোগ, কলেজ কর্তপেক্ষের সামনেই সৌমিককে মারধর করা হয়। এসময় কলেজের কয়েকজন শিক্ষক মারধরকারীদের আটকানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। মারধরে আহত সৌমিকের চিকিৎসার ব্যবস্থা না করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে ওসমানী মেডিকলে কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. জিয়াউর রহমানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
সোমিক গাজিপুরের কাপাসিয়া থানার খুদাদিয়া গ্রামের নুরুল ইসলাম ও কামরুননাহারের ছেলে। বর্তমানে তিনি নগরীর কাজলশাহ এলাকার ই ব্লকের বাসিন্দা।
আপনার মন্তব্য