সিলেটটুডে ডেস্ক

১২ জুন, ২০২০ ১৯:৫০

এক সপ্তাহে এক লাখে বেশি রোগী বেড়েছে দক্ষিণ এশিয়ায়

দক্ষিণ এশিয়ায় গত এক সপ্তাহে এক লাখের বেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী বেড়েছে। দেশগুলোর সরকারি হিসাব অনুসারে এই এক সপ্তাহে মারা গেছেন তিন হাজার মানুষ।

করোনাভাইরাসের তথ্য সরবরাহকারী ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস ডট ইনফো, দেশগুলোর গণমাধ্যমের খবর অনুসারে, ৫ জুন এই অঞ্চলে করোনা রোগী ছিল চার লাখ। বৃহস্পতিবার এই সংখ্যা পাঁচ লাখ ছাড়িয়েছে। এই অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি রোগী রয়েছে ভারতে। দেশটিতে করোনা রোগী রয়েছেন ২ লাখ ৮৮ হাজারের বেশি। এ পর্যন্ত ৮ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন এই ভাইরাসে। দেশটিতে সংক্রমণের নতুন রেকর্ড হচ্ছে প্রায় প্রতিদিন।

বিজ্ঞাপন

ভারতে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে গত মার্চে গোটা দেশ লকডাউন করেছিল সরকার। এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, ৩১ মে লকডাউন তুলে নেওয়া হয়। এ ছাড়া অভ্যন্তরীণ ট্রেন ও বাস চলাচলও শুরু হয়েছে। সংক্রমিত রোগীর সংখ্যার ভিত্তিতে বিভিন্ন এলাকা চিহ্নিত করে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এতে কোনো সুফল এখনো পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া লকডাউনের ফলে বিভিন্ন এলাকায় আটকে পড়া শ্রমিকদের ঘরে ফেরার ব্যবস্থা করার পর দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে সংক্রমণ বেড়েছে।

ভারত ছাড়াও পাকিস্তানে লাগামহীন বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। দেশটিতে মোট রোগী রয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজারের বেশি। এ পর্যন্ত মারা গেছেন প্রায় আড়াই হাজার মানুষ। আর সুস্থ হয়েছেন ৩৮ হাজারের বেশি রোগী। দেশটির সংক্রমণ বাড়তে থাকলেও বিভিন্ন প্রদেশে লকডাউন শিথিল করা হয়েছে। অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচলও শুরু হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, এই লকডাউন শিথিল করার সময় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, সংক্রমণ বাড়লে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এমন কোনো পদক্ষেপ এখনো দেশটিতে দেখা যায়নি।

রোগীর সংখ্যার দিক থেকে পাকিস্তানের পরেই রয়েছে বাংলাদেশ। এরপর রয়েছে আফগানিস্তান, নেপাল, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা ও ভুটান। হিন্দুস্তান টাইমস–এর খবরে বলা হয়েছে, নেপালে সম্প্রতি সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। এরপরও কাঠমান্ডু উপত্যকাসহ অপেক্ষাকৃত কম ঝুঁকিপূর্ণ কয়েকটি এলাকায় লকডাউন শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রোধে ২৪ মার্চ সরকার দেশজুড়ে লকডাউন কার্যকর করে। ৩০ মে সপ্তমবারের মতো ১৪ জুন পর্যন্ত লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল। দেশটিতে কোভিড-১৯ রোগে এ পর্যন্ত ৪ হাজার ৩৬০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ১৫ জন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত