০৮ জুন, ২০২০ ০২:২০
ছবি সৈয়দ হকের ফেসবুক টাইমলাইন থেকে নেওয়া
দীর্ঘদিন অসুস্থতার সঙ্গে লড়াই করে গত ৬ জুন মারা যান সিলেট আওয়ামী লীগের নিবেদিতপ্রাণ কর্মী মঞ্জু মিয়া।
আওয়ামী লীগের জন্য নিবেদিতপ্রাণ মঞ্জু মিয়ার মৃত্যুর পর তাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে চলছে নানা আলোচনা। জীবৎকালে মঞ্জু মিয়াকে মূল্যায়ন না করার অভিযোগ এনে ক্ষোভও প্রকাশ করছেন অনেকে।
মঞ্জু মিয়াকে নিয়ে রোববার ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে লেখক-সাংবাদিক আরিফ জেবতিক লিখেন-
মঞ্জু ভাই আমাদের কৈশোর তারুণ্যের কিংবদন্তি। সিলেট শহরের কোনো মিছিল মিটিং মাইকিং মঞ্জু ভাই ছাড়া হয়েছে বলে মনে পড়ে না। দিন নাই, রাত নাই, ঘর নাই, সংসার নেই-মঞ্জু ভাই মিছিল মিটিংয়ে ব্যস্ত আছেন। আর্মির প্যাঁদানি, পুলিশের দৌঁড়ানি, বিডিআরের লাঠির বাড়ি-মঞ্জু মিয়া কোর্ট পয়েন্টে মাইক হাতে স্লোগান দিচ্ছেন তো দিচ্ছেন, দিচ্ছেন তো দিচ্ছেন...। রিক্সায় মাইক বেঁধে শহরের অলিতে গলিতে জানিয়ে দিচ্ছেন,' ...উক্ত প্রতিবাদে আজ বিকাল ৩টায় কোর্ট পয়েন্টে এক বিরাট গণজমায়েত!'
চন্দ্রাহত সিদ্ধার্থ এক জোছনার রাতে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে বুদ্ধ হয়েছিলেন। মঞ্জু মিয়া আমাদের চোখের সামনে দেখা সিদ্ধার্থ, আওয়ামী লীগের প্রেম যার যৌবন কেড়ে নিয়েছিল।
আমার ধারনা ছিল, মঞ্জু ভাইয়ের দল যখন গত একযুগ ধরে ক্ষমতায়, মঞ্জু ভাই বোধহয় রাজপথ ছেড়ে ঘরে ফিরে চরম তৃপ্তিতে দিন কাটাচ্ছেন।
আজ জানলাম, শেষ জীবন চরম দারিদ্রে, চরম অসহায়ত্বে শ্বশুর বাড়িতে কাটিয়ে তিনি বিদায় নিলেন।
ইতিহাস মঞ্জু মিয়াকে মনে রাখবে না, কিন্তু সিলেটের রাজপথ, অলিগলি, কোর্ট পয়েন্টের চত্বরটা মঞ্জু ভাইয়ের জন্য আজ কাঁদবে, আজ কাঁদবেই।
বিদায় মঞ্জু ভাই। বিদায়।
আপনার মন্তব্য