২২ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:২২
সিলেট অঞ্চল থেকে আওয়ামী লীগ তথা জাতীয় রাজনীতিতে এক সময় আলো ছড়াতেন আব্দুস সামাদ আজাদ, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, শাহ এম এস কিবরিয়া, হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর মতো তারকা নেতারা। অন্যদিকে ছিলেন বিএনপির সাইফুর রহমান।
এই প্রজন্ম চলে যাওয়ার পর সিলেটের রাজনীতিতে একটা বিশাল শূন্যতা তৈরি হয়েছে। এ শূন্যতা অপূরণীয়।
সদ্য সমাপ্ত আওয়ামী লীগের কাউন্সিল উত্তর নেতৃত্বের তালিকা দেখলে সিলেট অঞ্চলের মানুষের হতাশ হওয়া ছাড়া কিছু নেই। সিলেট আওয়ামী লীগের সঙ্গে বেশ দূরত্ব থাকা নুরুল ইসলাম নাহিদ একমাত্র সান্ত্বনা। এই শূন্যতা পূরণে নতুন কোনো সম্ভাবনাময়ী নেতৃত্বও নেই। সে মাপের যোগ্যতা বা উচ্চতাও কারোর নেই।
পরের প্রজন্মে নিশ্চিতভাবেই সুলতান মনসুর সিলেট অঞ্চলের নেতৃত্বের দাবিদার ছিলেন কিন্তু দলের আস্থা খুইয়ে তিনি আজ থেকেও নেই। আর দু'একজন যারা ছিলেন তারা লোভ, লালসা, দম্ভ ও অহংকারের রাজনীতিতে নিজেদের অকালেই হারিয়েছেন।
জাতীয় চার নেতার পরিবারের সবাই রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত হলেও তাদের সঙ্গের আব্দুস সামাদ আজাদের রাজনৈতিক উত্তরাধিকার আজিজুস সামাদ ডন আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে এখন পর্যন্ত অবহেলিত।
সিলেট আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের কাণ্ডারি বদর উদ্দিন আহমেদ কামরান দলের সুদিনেও সিলেট সিটির মানুষের মন জয় করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে পুরনো মুখ প্রায় সকলেই থেকে গেলে বা একটু অদলবদল হলেও সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব থেকে প্রমোশন ছাড়াই বাদ পড়লেন মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ। আলোচনা চলছে এখন কে দায়িত্ব পেতে পারেন সিলেট থেকে নতুন সাংগঠনিক সম্পাদকের?
যেই হোন না কেন জাতীয় রাজনীতিতে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তদের মতো আলো ছড়ানোর মতো কাউকে দেখি না।
আপনার মন্তব্য