কানাডা থেকে সিবিএনএ

১০ মার্চ, ২০১৬ ১৩:৪৭

উড়ন্ত বিমানে সুনামগঞ্জের গোপাল দেবের মৃত্যু, প্রবাসে শোকের ছায়া

মধ্যকাশে উড়ন্ত বিমানেই না ফেরার দেশে চলে গেলেন গোপাল চন্দ্র দেব। দেখা হলো না উত্তর আমেরিকায় বসবাসরত সন্তানদেরকে।

গত ৮ মার্চ ঢাকা থেকে ইত্তেহাদ এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে করে নিউইয়র্ক তাঁর সন্তানের বাসায় যাবার জন্য স্ত্রীসহ রওয়ানা হয়েছিলেন তিনি।

গোপাল চন্দ্র দেবের বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার মার্কুলীতে। তিনি ছিলেন একজন ব্যবসায়ি।

ঢাকা থেকে বিমানটি ছাড়ার কিছুক্ষণ পরই গোপাল দেব অসুস্থবোধ করলে বিমান কতৃপক্ষ আকাশ পথের মধ্যে নিকটতম দিল্লী বিমানবন্দরে জরুরী অবতরণ করলেও বাঁচানো যায়নি গোপাল চন্দ্র দেবকে। দেখা হয়নি অপেক্ষারত সন্তান নাতি-নাতনিদেরকে।

আকাশ পথেই বিমানের ভেতর হৃদযন্ত্রের ক্রীয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন গোপাল চন্দ্র দেব। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৭৪ বছর।

তাঁর বড় ছেলে একসময়ের দৈনিক সিলেটের ডাকে’র স্টাফ রিপোর্টার সাংবাদিক গোপেন দেব বর্তমানে সপরিবারে কানাডার মন্ট্রিয়লে বসবাস করছেন। তাঁর মেঝ ছেলে মিন্টু দেবও নিউইয়র্কে সপরিবারে নিয়ে বসবাস করেন। ছোট ছেলে নান্টু দেব দেশে ব্যবসা করেন। তাঁর মেঝছেলের মাধ্যমেই তিনি আমেরিকা যাচ্ছিলেন।

এর আগে ২০০৭ সালে তাঁরা মন্ট্রিয়লে এসে এক বছর থেকে গেছেন। গোপাল চন্দ্র দেব ও তাঁর স্ত্রী আরতী রানী দেব দু’জনই কানাডা ও আমেরিকার ইমিগ্রেন্ট।

মৃত্যুকালে স্ত্রী তিন ছেলে এক মেয়ে নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য বন্ধু-বান্ধব গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।

গোপাল চন্দ্র দেবের অপ্রত্যাশিত, অবিশ্বাস্য আকস্মিক মৃত্যু সংবাদ দেশে-বিদেশে বিশেষকরে কানাডা এবং নিউইয়র্কে পৌঁছলে প্রবাসীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। বড় ছেলে সাংবাদিক গোপেন দেব কানাডা প্রবাসীদের সুপরিচিত ব্যক্তিত্ব এবং মন্ট্রিয়ল কমিউনিটির অন্যতম প্রিয় মুখ।

গোপাল দেবের মৃত্যু সংবাদ মন্ট্রিয়লে পৌঁছলে তাঁর ছেলে গোপেন দেবের বাসায় শোক ও সমবেদনা জানাতে বিপুল সংখ্যাক প্রবাসীরা সমবেত হন। কমিউনিটি নেতা শক্তিব্রত হালদার মানু, পুলক তরাপদার সার্বক্ষণিক উপস্থিত থেকে দিল্লী বিমানবন্দর, বাংলাদেশ দূতাবাসসহ সবধরনে যোগাযোগে সহযোগিতা করছেন।

গতকাল রাতেই দিল্লীতে ভারত সরকারের তত্ত্বাবধানে মরদেহের ডাক্তারী পরীক্ষানিরীক্ষা পোষ্টমর্টেমসহ সবধরনে আইনী কার্যক্রম শেষ হয়েছে বলে জানা গেছে। আজ বিকাল ৫টায় মরদেহটি ঢাকায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছার কথা। সেখান থেকে সিলেটে নিজ বাসায় নেওয়ার পর পারিবারিক সিদ্ধান্তনুযায়ি শেষকৃত্যানুষ্ঠান এবং পরবর্তীতিতে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠিত হবে। 

বাংলাদেশ প্রেস এন্ড রাইটার্স ফোরাম কানাডার পক্ষ থেকে দীপক ধর অপু, গোপেন দেবকে সমবেদনা জানান। এছাড়া দেশদিগন্ত মিডিয়া পরিচালিত ‘কানাডা-বাংলাদেশ নিউজ এজেন্সি’ সিবিএনএ’ এর প্রধান নির্বাহী সদেরা সুজন, বাংলাদেশ হিন্দু এসোসিয়েশন অব ক্যুইবেক, বাংলাদেশ হিন্দু মন্দির, সনাতন ধর্ম টেম্পলসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন  সাংবাদিক গোপেন দেবের পিতার মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়ে উনার আত্মার শান্তি কামনা করেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত