শাবি প্রতিনিধি

১২ মার্চ, ২০২০ ২০:২৭

অনশন ভেঙে আন্দোলন স্থগিত শাবির পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের

ফাইল ছবি

দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাসে আমরণ অনশন ভেঙে আন্দোলন স্থগিত করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) বিকালে বিভাগের শিক্ষকসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাসে চলমান আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।

অনশনে অংশ নেওয়া বিভাগের একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, কোষাধ্যক্ষ ও প্রক্টর স্যারসহ শিক্ষকদের সাথে আমাদের আলোচনা হয়েছে। বিভাগীয় প্রধান ও ছাত্র উপদেষ্টা পদত্যাগ করার কথা বলায় এবং আমাদের দাবিসমূহ মেনে নেয়ায় আশ্বাসে আমরা আন্দোলন বন্ধ করেছি।

পদত্যাগপত্র জমাদানের বিষয়টি নিশ্চিত করে অধ্যাপক ড. শামছুন্নাহার বেগম বলেন, এই সম্মানিত পদের দায়িত্ব আমার পক্ষে পালন করা সম্ভব নয়। তাই কর্তৃপক্ষের কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছি।

বিভাগীয় প্রধান পদত্যাগের কথা বললেও উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, এখন পর্যন্ত আমার কাছে পদত্যাগপত্র আসেনি। পদত্যাগপত্র আসলে তা বিবেচনা কলে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

ক্লাস-পরীক্ষা চালুর সাথে চারদফা দাবি যুক্ত করে গত ৪ মার্চ থেকে আন্দোলন করে আসছেন এ বিভাগের শিক্ষার্থীরা। ৪দফা দাবিগুলো হলো, ছাত্র উপদেষ্টার পদত্যাগ, বিভাগীয় প্রধান ও ছাত্র উপদেষ্টা ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর ক্লাস-পরীক্ষা না নেওয়া, শিক্ষার্থীদের দেওয়া তালিকা থেকে ছাত্র উপদেষ্টা নিয়োগ দেওয়া এবং বিভাগীয় প্রধানের জবাবদিহিতা।

এ বিষয়ে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবির মধ্যে ২টি দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। বিভাগের প্রধান ও ছাত্র উপদেষ্টা মুহাম্মদ ওমর ফারুক পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। একই সাথে বিভাগের শিক্ষকরা ক্লাস, পরীক্ষা বন্ধের ঘোষণা প্রত্যাহার করে সচল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিভাগটি।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের প্রস্তাবিত তালিকা থেকে পরবর্তী ছাত্র উপদেষ্টা নিয়োগ, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর ব্যাচের একাডেমিক কোন কার্যক্রমের সাথে বর্তমান বিভাগীয় প্রধানের কোন প্রকার সংশ্লিষ্টতা না থাকার দাবি দুটি দীর্ঘমেয়াদি হওয়ায় পরবর্তীতে এসব দাবি মেনে নেওয়ার কথা বলেছি।

গত ২৯ ফেব্রুয়ারি পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ৩০তম বছর উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত নৈশভোজ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভাগীয় প্রধানসহ কয়েকজন শিক্ষকের উপস্থিতিতে বহিরাগত একজন শিক্ষক দ্বারা বিভাগের এক স্বেচ্ছাসেবক শিক্ষার্থী লাঞ্চিত হয়। তবে শিক্ষকরা উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও বাইরের এই শিক্ষককে কোন বাধা প্রদান না করায় ক্ষুব্ধ হন শিক্ষার্থীরা। এর প্রেক্ষিতে ঘটনার জবাবদিহিতা ও ৪ দফা দাবি তোলেন শিক্ষার্থীরা

তবে গত বুধবার (৪ মার্চ) উপযুক্ত কোনো কারণ না দেখিয়ে বিভাগীয় প্রধানের স্বাক্ষরিত এক নোটিশের মাধ্যমে ক্লাস পরীক্ষা অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়। এরই প্রেক্ষিতে ক্লাস-পরীক্ষা চালু ও চার দফা দাবিতে আন্দোলন করেছিলেন শিক্ষার্থীরা।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত