ঋতশ্রী দে

১৬ নভেম্বর, ২০২১ ০০:২৬

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব: অনুকরণীয় এক মহীয়সী

বাংলাদেশ যদি স্বাধীন না হতো তাহলে শাপলা আমাদের জাতীয় ফুল হতো না, বাংলাদেশ যদি স্বাধীন না হতো তাহলে দোয়েল আমাদের জাতীয় পাখি হতো না, বাংলাদেশ যদি স্বাধীন না হতো তাহলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি সুন্দরবন আমাদের জাতীয় বন হতো না, বাংলাদেশ যদি স্বাধীন না হতো তাহলে লালন সাঁইঝির গান আমাদের গর্বের ধন হিসেবে বিশ্বের বুকে প্রকাশ পেতো না, বাংলাদেশ যদি স্বাধীন না হতো  তাহলে বাঙালির চেতনায় থাকা রবীন্দ্রনাথ নজরুলকে আমরা নতুন প্রজন্ম গর্বের সাথে ধারণ করতে পারতাম না। বাংলাদেশ স্বাধীন না হলে লাল সবুজ পতাকা বাঙালির জাতীয় চেতনার প্রতীক হতো না। বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশ আজ স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে সগৌরবে নিজের স্থান করে নিয়েছে।

বাংলাদেশ তৃতীয় বিশ্বের প্রথম দেশ, যে দেশ সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করেছে। এই স্বাধীনতা ও বাংলাদেশের অস্তিত্বের সাথে এক অবিচ্ছেদ্য নাম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যার অসামান্য নেতৃত্বের কারণে আমরা লাভ করেছি আমাদের স্বাধীনতা ও আমাদের মানচিত্র। শেখ মুজিবুর রহমান শুধুমাত্র একজন রাজনীতিবিদের নাম নয়, শেখ মুজিবুর রহমান এক সাহসের নাম। শেখ মুজিবুর রহমান এক আবেগের নাম। শেখ মুজিবুর রহমান এক লড়াইয়ের নাম। শেখ মুজিবুর রহমান এক জলন্ত প্রদীপের নাম, এই প্রদীপের শিখাকে সকল ঝড় ঝাঁপটায় যিনি আগলে রেখেছেন এবং বাঙালি জাতির মুক্তির সংগ্রামে নেতৃত্ব দিতে তাকে এগিয়ে দিয়েছেন তিনি হলেন জাতির পিতার সহধর্মিণী শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব।

তিনি আমাদের বঙ্গমাতা। শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী ছিলেন না। তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর জীবনের এক নিঃস্বার্থ বন্ধু, যে বন্ধুটি সবসময় জাতির পিতাকে লড়াইয়ের জন্য সাহস জুগিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর জীবনের সকল যুদ্ধে তিনি ছিলেন তার সহযোদ্ধা।

১৯৩০ সালের ৮ আগস্ট গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে বেগম ফজিলাতুন্নেচ্ছা জন্মগ্রহণ করেন। তার ডাক নাম ছিল রেণু। দাদা শেখ আবুল কাশেম নাতনীর নাম রেখেছিলেন ফজিলাতুন্নেছা। ফুলের মতো গায়ের রং বলে মা হোসনে আরা বেগম ডাকতেন রেণু। গোপালগঞ্জের মিশনারী স্কুল থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পাঠ গ্রহণ করেন রেণু। তারপর গৃহ শিক্ষকের কাছে পাঠ নেন। সাহিত্যের প্রতি প্রবল আগ্রহ ছিল তাঁর। প্রখড় স্মৃতি শক্তির অধিকারী ছিলেন বলে বঙ্গবন্ধু তাঁর নাম দিয়েছিলেন জীবন্ত ডায়েরি।

বঙ্গবন্ধু তার অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে (পৃষ্ঠা ৭) লিখেছেন যে তার বয়স যখন বার তের বছর হবে তখন রেণুর সাথে তার বিয়ে হয়। তখন রেণুর বয়স ছিল মাত্র তিন বছর। রেণুর পিতা মারা যাওয়ার পরে তার দাদা শেখ মুজিবের পিতাকে তাদের বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তখনই তাদের বিয়ে হয়। রেণুর বয়স যখন পাঁচ বছর তখন তার মা মারা যান। এরপর সাত বছর বয়সে তিনি তার দাদাকেও হারান। এরপর থেকে রেণু অর্থাৎ শেখ ফজিলাতুন্নেছা শেখ মুজিবের মায়ের কাছে চলে আসেন। তাদের বাড়িতেই তিনি ধীরে ধীরে বড় হয়ে ওঠেন।

বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনীর এই অংশটুকু থেকে তাহলে বোঝা যায় তারা দুজনে একসঙ্গেই বেড়ে উঠেছেন এবং এর ফলে তাদের মধ্যে একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। প্রত্যেকটা নারীর জীবনেই স্বামী এবং সংসার নিয়ে কিছু স্বপ্ন থাকে। নিশ্চয় রেণুরও অনেক স্বপ্ন ছিল। তিনি কখনোই শেখ মুজিবকে কোনো কাজে বাঁধা দেননি। বরং তাকে সবসময় অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। দেশের দরিদ্র মানুষের প্রতি গভীর অনুরাগ ছিল বঙ্গমাতার। শত ব্যস্ততা, সাংসারিক চাপের মধ্যেও তিনি ঘরে বসে নিজে স্কুল খুলে মেয়েদের লেখাপড়া, সেলাই শেখাতেন। গরীব ছেলেমেয়ে, এতিম, কন্যাদায়গ্রস্থ পিতামাতাকে অর্থ দিয়ে সাহায্য করতেন। বঙ্গমাতার কাছে থেকে কোনদিন কেউ খালি হাতে ফেরেনি। নিজের সর্বস্ব দিয়ে তিনি গরীব-দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়াতেন।

গ্রামের অপ্রাপ্ত বয়সে বিয়ে হওয়া একটি মেয়ে হয়ে তার স্বামীর দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রাম ও আদর্শ এবং দেশ ও জাতির কল্যাণের প্রয়োজনের গভীরতা কীভাবে তিনি বুঝতে পারলেন তা একটি বিস্ময় এবং গবেষণার বিষয় বটে। রেণু উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন শেখ মুজিবের রাজনৈতিক জীবনকে। জনসাধারণের প্রতি শেখ মুজিবের ভালোবাসাকে। তিনিই সর্বপ্রথম বুঝতে পেরেছিলেন যে, একদিন শেখ মুজিবই হবেন বাংলার অবিসংবাদিত নেতা। তাই তো তিনি সকল যুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর পাশে ছিলেন। বাঙালির মুক্তির জন্য যদি তারও বুক না কাঁদত তাহলে তিনি এভাবে তার জীবনসঙ্গীর পাশে দাঁড়াতে পারতেন না।

বঙ্গবন্ধু তার আত্মজীবনীতে (পৃষ্ঠা ১২৬) একটি প্রসঙ্গে বলেছিলেন যে, ‘রেণু খুব কষ্ট করতো কিন্তু কিছুই বলতো না। নিজে কষ্ট করে আমার জন্য টাকা পয়সা জোগাড় করে রাখত যাতে আমার কষ্ট না হয়।’

কবি কাজী নজরুল ইসলাম তার কবিতায় লিখেছেন-

কোনো কালে একা হয়নি কো জয়ী পুরুষের তরবারি
প্রেরণা দিয়াছে, শক্তি দিয়াছে বিজয়লক্ষী নারী।

শেখ মুজিবের জীবনে তার মায়ের পরে যদি কোনো নারীর অবদান সবথেকে বেশি থেকে থাকে তাহলে তিনি হলেন রেণু অর্থাৎ শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। বঙ্গবন্ধুর এই দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে ধারাবাহিক আন্দোলনের বিভিন্ন পর্যায়ে তাকে বারবার কারাগারে যেতে হয়েছে। বঙ্গবন্ধু কারাগারে থাকা অবস্থায় বেগম মুজিব নানা সংকট মোকাবিলা করে সংসার সামলেছেন। সন্তানদের লালন পালন করেছেন। সেই অবস্থাগুলোতে তিনি একই সাথে মা ও বাবার ভূমিকা পালন করেছেন। কোনোদিনও স্বামীর প্রতি কোনো অভিযোগ করেননি। তিনি নিজের সর্বশক্তি দিয়ে স্বামীর পাশে দাঁড়িয়েছেন, দেশের পাশে দাঁড়িয়েছেন। জাতির পিতার মতো তিনিও বাংলার মুক্তির মাঝেই নিজের সুখ স্বাচ্ছন্দ্যকে খুঁজে নিয়েছিলেন। এছাড়াও বিভিন্ন সময় তিনি জাতির পিতাকে বিভিন্ন উপদেশ দিয়ে সাহায্য করেছেন।

বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী থেকে জানা যায়, তিনি যখন কারাগারে বন্দি ছিলেন তখন তার সহধর্মিণী জেলগেটে বসে তাকে তার জীবন কাহিনী লেখার জন্য উৎসাহ দিতেন। তিনি তখন বঙ্গবন্ধুর জন্য বই খাতা জেলগেটে জমা দিয়ে আসতেন। তিনি বঙ্গবন্ধুকে তার আত্মজীবনী লেখার জন্য অনুরোধ করতেন।

বঙ্গবন্ধু গ্রেপ্তার হলে তার আইনজীবি নিয়োগ, মামলা চালানোর খরচ, কোর্টে যাওয়া এমন খারাপ পরিস্থিতিতেও তিনি নিজে রান্না করে কারাগারে নিয়ে যেতেন। বঙ্গবন্ধুর সাথে সাক্ষাতের সময় তাকে বাইরের সব কিছু বিস্তারিত জানিয়ে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনা আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগের কাছে পৌঁছে দিয়ে তা কার্যকর করতেন। বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে বাড়িতে দলের সভা পরিচালনা, দলের খরচ যোগানো, দলের নেতাকর্মীদের রান্না করে খাওয়ানোসহ সকল কাজ বঙ্গমাতা পরম মমতার সাথে পালন করতেন। উল্লেখ্য যে মামলার খরচ ও সংগঠনের খরচ যোগাতে নিজের গহনা, ঘরের ফ্রিজ বিক্রয় করেছিলেন তিনি।

আমরা বাঙালিরা জাতি হিসেবে খুবই সৌভাগ্যবান যে আমরা জাতির পিতার পাশাপাশি একজন মাতাকেও পেয়েছি। বেগম ফজিলাতুন্নেছা শেখ মুজিবের যোগ্য সহধর্মিণী হওয়ার পাশাপাশি তিনি একজন রত্নগর্ভা মাতা। সকল ঝড় ঝাঁপটা, আন্দোলন সংগ্রামের মাঝেও তিনি সন্তানদেরকে সুশিক্ষা দিতে কোনো ত্রুটি রাখেননি। তার প্রমাণ তাদের সকল সন্তানেরা, বিশেষত আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা। এর থেকেই বোঝা যায় শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কতটা বলিষ্ঠ ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন। যার প্রভাব পড়েছে তার কন্যাদের উপর।

তিনি একজন মহীয়সী নারী ছিলেন বলেই নিজের সুখ স্বাচ্ছন্দ্য, পরিবারের স্বার্থের কথা না ভেবে এদেশের মানুষের মুক্তির কথা ভেবেছিলেন। নিজের সন্তানদের দেশপ্রেমে উদ্ভুদ্ধ করেছিলেন। জাতির কল্যাণে, দেশের কল্যাণে সর্বোচ্চ সংগ্রাম করতে শিখিয়েছিলেন।

১৯৫৮ সালের ৭ অক্টোবর আইয়ুব খান সামরিক শাসন জারী করে সংসদ ভেঙ্গে দেয়। ১২ অক্টোবর বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়। তখন স্বামী কারাগারে থাকা অবস্থায় কেউ বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে বাড়ি ভাড়া দিতে রাজি হচ্ছিল না। এ অবস্থায় মাত্র তিনদিনের নোটিশে সন্তানদের নিয়ে বাড়ি ছাড়তে হয়েছিল বঙ্গমাতাকে। তবুও তিনি ভেঙ্গে পরেননি, বঙ্গবন্ধুকে ভেঙ্গে পরতে দেননি।

শেখ হাসিনা তার এক বক্তব্যে বলেন- “বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন, লড়াই, সংগ্রামে অনেক ঘাত-প্রতিঘাত এসেছে কিন্তু কখনো মাকে ভেঙ্গে পড়তে দেখিনি। যতো কষ্টই হোক আমার বাবাকে কখনোই বলেননি যে তুমি রাজনীতি ছেড়ে দাও বা সংসার করো বা খরচ দাও। আব্বা যে পদেক্ষেপ নিতেন সেটাকেই সমর্থন করতেন তিনি।”

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা স্বামীকে জেলে রেখে বছরের পর বছর সন্তানদের নিয়ে অবর্ণনীয় কষ্টের মধ্যে বসবাস করেছেন কিন্তু তবুও মনে প্রাণে কামনা করেছেন দেশের জনগণের মুক্তি, দেশের স্বাধীনতা ও একটি সুন্দর ভবিষৎ। তাই তিনি বঙ্গবন্ধুকে বলেছেন, তিনি যেন পরিবারের কথা চিন্তা না করে গোটা জাতির মুক্তির এবং স্বাধীনতার কথা চিন্তা করেন। এ কারণেই তিনি একজন মহীয়সী নারী ও আমাদের সকলের শ্রদ্ধার বঙ্গমাতা।

‘রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরও দেবো এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাল্লাহ।’- এটি শুধুমাত্র একটি লাইন নয়, বাঙালির স্বাধীনতাযুদ্ধের বীজমন্ত্র এটি। যা উচ্চারিত হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর কণ্ঠে। বঙ্গমাতার অনুপ্রেরণাতেই বঙ্গবন্ধু এতটা আত্মবিশ্বাসী হতে পেরেছিলেন। কারণ প্রত্যেকটা মানুষের জীবনেই তার জীবনসঙ্গীর অনুপ্রেরণা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কোনো ব্যক্তিগত স্বার্থ ছাড়া শুধুমাত্র জাতির স্বার্থে নিজের স্বামীকে এভাবে মনোবল দিয়ে যাওয়া একেবারেই সহজ কাজ নয়। এটি আত্মবলিদানের সমান। কারণ এই দীর্ঘ রাজনৈতিক আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর জীবনের ঝুঁকি কম ছিল না। দেশ ও জাতির কল্যাণের জন্য প্রয়োজনে নিজের জীবন উৎসর্গ করাও গর্বের বিষয় এই শিক্ষা বঙ্গবন্ধুর পাশাপাশি বঙ্গমাতাও অন্তরে ধারণ করেছিলেন। পল্লী-গ্রামের মেয়ে রেণু থেকে বঙ্গমাতা হয়ে উঠার এ গল্প বাংলার ঘরে ঘরে প্রত্যেক মায়েদের অনুপ্রাণিত করবে। তাই বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব অনুকরণীয় অনুসরণীয় এক মহীয়সী নারী।

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব নারী শক্তির এক অপরূপ নিদর্শন। নারী জাতির অগ্রদূত বেগম রোকেয়া বলেছিলেন, ‘কন্যারা জাগ্রত না হওয়া পর্যন্ত  দেশমাতৃকার মুক্তি অসম্ভব।’ এই কথাটি যে কতখানি সত্য তা প্রমাণিত হয়েছে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়। কারণ এদেশের সকল মা-বোন-বঁধূরা তাদের স্বামী সন্তান ভাইদের না এগিয়ে দিলে মুক্তিযুদ্ধ হতো না। সর্বোপরি বঙ্গমাতা বঙ্গবন্ধুকে এগিয়ে না দিলে জাতির মুক্তির কথাই কেউ চিন্তা করতে পারতো না। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় বঙ্গমাতাই ছিলেন সকল নারীর অনুপ্রেরণা, সকল নারীর শক্তি।

পৃথিবীতে এমন কিছু বিরল ব্যক্তিত্বের অধিকারী মানুষ আছেন যারা মৃত্যুর পরও অমর হয়ে থাকেন নিজেদের কাজ ও গুণাবলীর মাধ্যমে। বঙ্গমাতা এমনই এক ব্যক্তিত্ব। তিনি আজও বেঁচে আছেন প্রতিটি বাঙালির হৃদয়ে শ্রদ্ধার আসনে। তিনি সারাজীবন যে ত্যাগ তিতিক্ষাকে বরণ করে মানুষকে ভালোবেসে দেশের কল্যাণের জন্য নীরবে কাজ করে গেছেন সেটি আমাদের জন্য অবশ্যই অনুকরণীয় এবং অনুসরণীয়।

নেপোলিয়ন বলেছিলেন, “তুমি আমাকে একটি শিক্ষিত মা দাও, আমি তোমাকে শিক্ষিত জাতি দেব।” বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা নৈতিক, মানবিক ও আদর্শিক শিক্ষায় ছিলেন স্থির এবং উজ্জ্বল। তাই তাকে অনুকরণীয় অনুসরণীয় মহীয়সী নারী হিসেবেই শুধু নয় একজন আদর্শ মাতা হিসেবেও আমরা গভীর শ্রদ্ধা জানাই।

বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার মানুষ কখনোই বঙ্গমাতাকে ভুলতে পারবে না। তিনি থাকবেন বাংলার আদর্শ নারীর প্রতীক হয়ে আমাদের চিন্তায় ও মননে। যতোদিন শাপলার ঝিলে হাসি থাকবে, যতোদিন দোয়েল-শ্যামার কন্ঠে গান থাকবে, যতোদিন পদ্মা-মেঘনা-ধলেশ্বরীতে থাকবে অমিয় শ্রোতধারা, আর থাকবে আমাদের লাল সবুজ পতাকাটা ততোদিন এদেশের মানুষের অন্তরে বেঁচে থাকবেন অনুকরণীয় অনুসরণীয় মহীয়সী নারী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা। তার স্মৃতির প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা।

ঋতশ্রী দে: শিক্ষার্থী।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত