সুশান্ত দাস গুপ্ত

২২ জানুয়ারি, ২০২২ ১২:৩৩

আন্দোলনের এক্সিট রুটও রাখুন

হাজার মাইল দূরে থাকলেও মন পড়ে আছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। দেশে থাকলে আন্দোলন শেষ না হওয়া পর্যন্ত ক্যাম্পাসেই থাকতাম। ক্যাম্পাস লাইফে আমাদের সময়ের সবগুলো আন্দোলনেই সামনে থেকে লড়ার সৌভাগ্য হয়েছে। এজন্য মাথায় যখন যা আসে লিখছি। আমার লেখা কারো কষ্ট দিলে অগ্রিম ক্ষমাপ্রার্থী।

ক্যাম্পাসের বর্তমান মুভমেন্টে কে বা কারা পরিচালনা করছে এদের কাউকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি না। চিনলে পোস্ট না দিয়ে নিজেই ফোনে আলাপ করে নিতাম।

আন্দোলনকারী ভাই-বোনদের জন্য কয়েকটা অনুরোধ:

১. আন্দোলনে সবসময় এক্সিট পয়েন্ট রাখতে হয়। আপনারা নিজেদের এক্সিট পয়েন্টটা ভেবে রাখুন। কোথাও না কোথাও থামতে হবে।

২. ভিসি স্যার মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগকৃত। উনাকে সরাতে হলে মহামান্য রাষ্ট্রপতির নির্দেশ লাগবে। জেনে রাখুন মহামান্য রাষ্ট্রপতি শুধুমাত্র মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ গ্রহণ করেন। আর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছতে হলে শিক্ষামন্ত্রীর রুট ধরে এগুতে হবে। তাই আমার পরামর্শ হবে আপনারা শিক্ষামন্ত্রীর সাথে আলোচনার পথ ওপেন রাখুন। যে কোন ভিডিও কনফারেন্স টুলসে আলোচনা জারি রাখুন। ভুলেও আলোচনার পথ যেন বন্ধ না হয়। মনে রাখুন, শিক্ষামন্ত্রী আপনাদের প্রতিপক্ষ নন। তবে ভুলেও ঢাকায় কেউ যাবেন না।

৩. কোন রাজনৈতিক দলকে প্রতিপক্ষ বানাবেন না। আন্দোলনে "সবার" অংশগ্রহণ যেন অবাধে হয়। "সবার" অংশগ্রহণ বলতে ক্যাম্পাসের সবার। এখানে বহিরাগতের কোন স্থান নেই।

৪. আমার নিজের ভাষা যে ভালো নয় সেটা জানি। তারপরেও অনুরোধ শিক্ষকদের সম্মানহানিকর ভাষা প্রয়োগ করবেন না।

৫. যুদ্ধে নিজে গুলি খেয়ে মরে যাওয়া সফলতা নয়। কাজেই আন্দোলনে আগে নিজেকে সারভাইভ করতে হবে। মনে রাখুন সারভাইভাল ফর দ্যা ফিটেস্ট। আশা করি বুদ্ধিমানের জন্য ইশারাই যথেষ্ট।

আন্দোলন সফল হোক।

সুশান্ত দাস গুপ্ত: সাবেক শিক্ষার্থী, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিইই, ১ম ব্যাচ (১৯৯৫-৯৬)

আপনার মন্তব্য

আলোচিত