সিলেটটুডে ডেস্ক

২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০৯:৪৭

একুশে পদকপ্রাপ্ত শিল্পী জিনাত বরকতউল্লাহ মারা গেছেন

একুশে পদকপ্রাপ্ত নৃত্যশিল্পী ও অভিনেত্রী জিনাত বরকতউল্লাহ আর নেই।

দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন জিনাত বরকতউল্লাহ। চলতি বছরের শুরুর দিকে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ ও ফুসফুসে সংক্রমণ দেখা দিলে আইসিইউতে নিতে হয়েছিল তাকে। শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে গত ১৫ মার্চ ঢাকার আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয় জিনাত বরকতউল্লাহকে। অবস্থার আরও অবনতি হলে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়। তিন দিন আইসিইউতে চিকিৎসা শেষে গত ১৮ মার্চ তাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়।

আজ বৃহস্পতিবার বাদ জোহর ধানমন্ডির ৭ নম্বর সড়কের বায়তুল আমান জামে মসজিদে জানাজা শেষে কালশী কবরস্থানে দাফন করা হবে তাঁকে। বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে ধানমন্ডির নিজ বাসভবনে তিনি মারা যান বলে নিশ্চিত করেছেন তার মেয়ে অভিনেত্রী বিজরী বরকতউল্লাহ।

নৃত্যশিল্পী হিসেবে বিশেষ খ্যাতি রয়েছে জিনাত বরকতউল্লাহর। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক আন্দোলনের ধারায় নৃত্যচর্চার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তিনি। দেশের নৃত্যে অসামান্য অবদানের জন্য ২০২২ সালে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত হন।

এ ছাড়া শিল্পকলা একাডেমি পুরস্কার, ইউনেসকো পুরস্কারসহ বহু সম্মাননা লাভ করেছিলেন তিনি।

স্বাধীন বাংলাদেশে নৃত্যচর্চায় যে কজন শিল্পী অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন, জিনাত বরকতউল্লাহ তাদের একজন। সত্তরের দশকের শুরুতেই তাঁর নৃত্যচর্চার সূচনা। প্রথম দিকে তিনি ভরতনাট্যম, কত্থক ও মণিপুরি নৃত্যে মনোনিবেশ করলেও পরবর্তী সময়ে লোকনৃত্যে মেলে ধরেন নিজেকে।

নৃত্যচর্চার পাশাপাশি ১৯৮০ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত ‘মারিয়া আমার মারিয়া’ নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে অভিনেত্রী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন জিনাত বরকতউল্লাহ। পরবর্তী সময়ে ‘ঘরে বাইরে’, ‘কথা বলা ময়না’, ‘অস্থায়ী নিবাস’, ‘বড় বাড়ি’সহ প্রায় ৮০টি নাটকে অভিনয় করেছিলেন।

ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন নাট্যকার প্রয়াত মোহাম্মদ বরকতউল্লাহর স্ত্রী। তার মেয়ে জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী বিজরী বরকতউল্লাহ। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২০২০ সালের ৩ আগস্ট মারা গেছেন মোহাম্মদ বরকতউল্লাহ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত