সিলেটটুডে ডেস্ক

০৪ জুন, ২০২০ ১৩:৩৫

হাতি হত্যার প্রতিবাদে লাখো মানুষ

পানিতে দাঁড়িয়ে আছে একটি হাতি। হাতিটি ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা। খাবারের সন্ধানে জঙ্গল থেকে বেরিয়ে কাছের একটি গ্রামে এসেছিল। তাকে আনারস খেতে দেয় স্থানীয় বাসিন্দারা। কিন্তু ওই আনারসটি ছিল বারুদে ভরা।

মুখের ভেতর বারুদের বিস্ফোরণ হওয়ার পর পানিতে ছুটে যায় ওই হাতি। যন্ত্রণার উপশম পেতে হাতিটি স্থানীয় ভেলিয়ার নদীর পানিতে দাঁড়িয়ে থাকে। মাঝ নদীতে দাঁড়িয়ে থেকেই একসময় মারা যায়।

ভারতের উত্তর কেরালার মালাপ্পুরমের বন বিভাগের কর্মকর্তা মোহন কৃষ্ণন এভাবেই ঘটনাটি ফেসবুকে বর্ণনা করেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি জানান, ও (হাতিটি) সবাইকে বিশ্বাস করেছিল। আনারসটি খাওয়ার পরে যখন তার মুখের ভেতর সেটার বিস্ফোরণ হলো তখন ও নিশ্চয়ই শিউরে উঠেছিল। বিস্ফোরণটি এত ব্যাপক ছিল যে, হাতিটির জিভ ও মুখ ভয়ঙ্করভাবে আঘাত পায়। যন্ত্রণায় হাতিটি গ্রামের পথে ছুটতে থাকে। এই চরম যন্ত্রণার মধ্যেও সে কোনো বাড়ি ভাঙেনি, কারো ক্ষতি করেনি।

এনডিটিভি জানায়, খবর পেয়ে হাতিটিকে পানি থেকে উদ্ধারের জন্য বন বিভাগ থেকে আরও দুটি হাতিকে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সেটিকে উদ্ধার করা যায়নি। গত ২৭ মে বিকেল চারটায় সে মারা যায়। তাকে জঙ্গলের মধ্যে সমাধিস্থ করা হয়।

নৃশংস এই ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, বুধবার অন্তঃসত্ত্বা ওই হাতির মৃত্যুর ঘটনায় একটি মামলা করা হয়েছে। কেরালার মালাপুরামের এক ফরেস্ট রেঞ্জ কর্মকর্তা জানান, বন্যপ্রাণী সুরক্ষা আইনের ধারার অধীনে একটি মামলা হয়েছে।

এদিকে, হাতি হত্যার বিচার চেয়ে অনলাইনের একটি পিটিশনে প্রায় আড়াই লাখ মানুষ সই করেছে। change.org নামের ওই ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ‘যারা কথা বলতে পারে না তাদের হয়ে ন্যায়বিচার চাওয়া আমাদের দায়িত্ব। আমরা আশা করি, একটি নির্দোষ প্রাণীর ওপর ঘটে যাওয়া নিষ্ঠুরতার ন্যায়বিচার হবে, হত্যাকারীর শাস্তি হবে।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত