সিলেটটুডে ডেস্ক

১৬ মার্চ, ২০১৬ ১৪:২৩

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের কটূক্তির মামলায় গয়েশ্বরের জামিন

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে কটূক্তি করার মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

বুধবার (১৬ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসেন টিপুর আদালতে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করলে শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন মঞ্জুর করেন।

গয়েশ্বেরের পক্ষে জামিন শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া ও জয়নুল আবেদীন মেজবাসহ অন্যান্য আইনজীবী।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে ১৬ মার্চের মধ্যে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুরু মিয়া।

এর আগে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহবাগ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আবুল কালম আজাদ।

মামলার আরজি থেকে জানা যায়, গত ২৫ ডিসেম্বর শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে গয়েশ্বর রায় বলেন, ‘পাকিস্তানের যারা বেতন-ভাতা খাইছে, শেষ দিন পর্যন্ত, তারা (শহীদ বুদ্ধিজীবী) নির্বোধের মতো মারা গেল, আমাদের মতো নির্বোধেরা প্রতিদিন তাদের শহীদ বুদ্ধিজীবী হিসেবে ফুল দেয়। না গেলে আবার পাপ হয়। ওনারা যদি এত বুদ্ধিমান হন, তাহলে ১৪ তারিখ পর্যন্ত নিজের ঘরে থাকে কী করে, একটু বলেন তো। আর তা ছাড়া নিজ নিজ কর্মস্থলে প্রতি মাসে পাকিস্তানের বেতন খাইল, এটাও তো কথা বলা যায়, যায় না? পাকিস্তান সরকারের তারা বেতন খাইল, তারা হয়ে গেল মুক্তিযোদ্ধা, আর যারা পালায়ে পালায়ে না খেয়ে বেড়াল তারা হয়ে গেল রাজাকার। তাই না?’

গয়েশ্বর বলেন, ‘যারা ২৫ মার্চ মারা গেছেন, তারা মারা গেছেন না জানার কারণে। আর যারা ১৪ ডিসেম্বর মারা গেছেন, তারা অজ্ঞতার কারণে মারা যাননি। তারা জ্ঞাতসারে অবস্থান করছিলেন।’

তার এই বক্তব্য পরদিন বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হলে অন্যান্য শহীদ পরিবারের সদস্যদের জনসমক্ষে হেয় ও অপমান করায় বাদী বাধ্য হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেছেন।

বাদী দণ্ডবিধির ৫০০ ধারার বিধান মোতাবেক গয়েশ্বর রায়ের শাস্তি প্রার্থনা করেছেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত