স্পোর্টস ডেস্ক

০৩ ডিসেম্বর, ২০২২ ১২:১১

নকআউট ম্যাচের আগে অপর্যাপ্ত বিশ্রামই ভাবাচ্ছে স্কালোনিকে

নক আউট ম্যাচে লড়তে প্রয়োজন ভালোভাবে তৈরি হওয়া এবং যথেষ্ট বিশ্রাম নিয়ে সতেজ থাকা। আর্জেন্টিনা এর জন্য পেয়েছে কেবল দুই দিন। যা মোটেও পর্যাপ্ত নয় বলে আগেই ক্ষোভ ঝেড়েছেন লিওনেল স্কালোনি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নকআউট পর্বের ম্যাচে এর প্রভাব কেমন পড়ে, সেটাই সবচেয়ে বেশি ভাবাচ্ছে আর্জেন্টাইন কোচকে।

সৌদি আরবের বিপক্ষে বিস্ময়করভাবে হেরে বিশ্বকাপ শুরু হয় আর্জেন্টিনার। তাই গ্রুপ পর্বের বাকি দুই ম্যাচ তাদের জন্য হয়ে ওঠে একপ্রকার ‘ফাইনাল।’ মেক্সিকো ও পোল্যান্ডের বিপক্ষে তাই স্বস্তি নেওয়ার কোনো সুযোগই ছিল না দলটির খেলোয়াড়দের।

মেক্সিকানদের পর গত বুধবার পোলিশদের ২-০ গোলে হারিয়ে শেষ ষোলো নিশ্চিত করে আর্জেন্টিনা। কাতারের আবহাওয়া ফুটবল ও ফুটবলারদের জন্য খুব সহায়ক নয়। বিরূপ কন্ডিশনে দুটি ম্যাচে নিজেদের সবটুকু উজাড় করে দেওয়ার পর স্বাভাবিকভাবেই চাহিদা থাকে বিশ্রামের।

কিন্তু সেই সুযোগ তেমন একটা পায়নি আর্জেন্টিনা। শনিবারই যে তাদের নামতে হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শেষ ষোলোর লড়াইয়ে। বাংলাদেশ সময় রাত একটায় শুরু ম্যাচটি।

গত দুই দিন বিশ্রামে কেটেছে আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়দের। স্রেফ শুক্রবার দিন অনুশীলন করবেন তারা। এদিন সংবাদ সম্মেলনে এসেই সেটাই বললেন স্কালোনি ও দলটির মিডফিল্ডার রদ্রিগো দে পল।

এই সময় স্কালোনির কণ্ঠে আবারও ঝরল পর্যাপ্ত বিশ্রামের সময় না পাওয়ার বিরক্তি। সঙ্গে অবশ্য তিনি স্বীকার করে নিলেন, ফুটবল এমনই। আর তাই বললেন, নিজেদের সর্বোচ্চটা দিয়ে কোয়ার্টার-ফাইনালে ওঠার লড়াই চালিয়ে যাবেন তারা।

“অস্ট্রেলিয়া, যারা (নিজেদের) গ্রুপে দ্বিতীয় হয়েছে, তারা খেলেছে সন্ধ্যা ৬টায়। আমরা গ্রুপ সেরা হয়েছি, কিন্তু খেলেছি রাত ১০টায়। আমরা ঘুমাতে যাই ভোর ৪টা। ৪৮ ঘন্টার মধ্যে যখন আরেকটি ম্যাচ খেলতে হয়, তখন এটি প্রভাব ফেলে।”

“প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মাঠে আমরা নিজেদের সর্বোচ্চটা উজাড় করে দেব। বিশ্বকাপ কতটা কঠিন আমরা তা জানি, এটাই ফুটবল। গতকাল কি হয়েছে আমরা দেখেছি (জার্মানি ও বেলজিয়াম গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়েছে)। তবে এটা অবাক করার মতো ছিল না। বড় দল পরের ধাপে থাকার যোগ্য, এমনটা যখন বলা হয়, আমি বলব, এটা সবসময় হয় না।”

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এর আগে কখনও বিশ্বকাপে খেলেনি আর্জেন্টিনা। সব মিলিয়ে মুখোমুখি লড়াইয়ে অবশ্য এগিয়ে আছে লাতিন আমেরিকার চ্যাম্পিয়নরাই। দুই দলের ৭ বারের দেখায় পাঁচ ম্যাচেই জয় তাদের। একটি জিতেছে অস্ট্রেলিয়া, আরেকটি ড্র।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত