স্পোর্টস ডেস্ক

০২ মার্চ, ২০২০ ০৪:৪২

বার্সেলোনাকে হারিয়ে শীর্ষে ফিরল রিয়াল মাদ্রিদ

ছবি: টুইটার

নিজেদের মাঠ কাম্প নউয়ের আগের এল ক্লাসিকোতে হার এড়ানো বার্সেলোনা এবার আর পারল না, সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে দ্বিতীয় সাক্ষাতে ঠিকই হেরে গেল রিয়াল মাদ্রিদের কাছে। ভিনিসিয়াস জুনিয়র আর মারিয়ানো দিয়াজের গোলে ২-০ গোলে জিতেছে জিনদিনে জিদানের দল।

এই জয়ে লা লিগায় শীর্ষে ফিরেছে রিয়াল মাদ্রিদ। এরমাধ্যমে ২৬ ম্যাচে ১৬টি জয় ও ৮টি ড্রয়ে ৫৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে উঠে এলো রিয়াল। সমান ম্যাচে এক পয়েন্ট কম নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে বার্সেলোনা।

এই ম্যাচের মাধ্যমে রিয়াল অধিনায়ক সের্হিও রামোস সর্বোচ্চ ৪৪ এল ক্লাসিকো খেলার রেকর্ড গড়েছেন। মেসি রেকর্ড গড়েছেন বার্সার হয়ে ৪৩ এল ক্লাসিকো খেলার রেকর্ড।

রিয়াল ম্যাচ শুরু করে দুর্দান্তভাবে। শুরুতেই দুই-দুইবার কর্নার আদায় করে নেয় তারা, তবে সেখান থেকে কোন গোল আসেনি। ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটে প্রথম সুযোগটি পায় তারা। ছোট কর্নার থেকে ডি-বক্সে বল পেয়েছিলেন করিম বেনজেমা। তবে তার নেওয়া ভলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।

নয় মিনিট পর ভিনিসিয়াস জুনিয়রের কাটব্যাক থেকে ভালো সুযোগ পেয়েছিলেন টনি ক্রুস। তবে তার নেওয়া শট লক্ষ্যে থাকেনি। ২১তম মিনিটে মিস করেন গ্রিজমান। মেসির বাড়ানো বলে দারুণ এক কাটব্যাক করেছিলেন জর্দি অলবা। কিন্তু ফাঁকায় থেকেও গ্রিজমানের নেওয়া শট তুলে দেন আকাশে।

২৯তম মিনিটে বেনজেমার কাটব্যাক থাকে আবারো ভালো সুযোগ পেয়েছিলেন ক্রুস। কিন্তু এবারও লক্ষ্যে রাখত পারেননি এ জার্মান তারকা। পরের মিনিটে ভিদালের কাছ থেকে বল পেয়ে গ্রিজমানের বাড়ানো বল থেকে মেসির শট সহজেই ধরে ফেলেন রিয়াল গোলরক্ষক থিবো কোর্তুয়া।

৩৪তম মিনিটে দিনের সেরা সুযোগটি মিস করেন আর্থুর মেলো। অবশ্য এখানে কৃতিত্ব আছে রিয়াল গোলরক্ষক কোর্তুয়ার। নিজেদের অর্ধ থেকে বাড়ানো বলে গোলরক্ষক একা পেয়ে গিয়েছিলেন আর্থুর। কিন্তু তার শট দারুণ দক্ষতায় ফিরিয়ে রিয়ালকে বাঁচিয়ে দেন কোর্তুয়া। চার মিনিট পর আরও একটি দারুণ সেভ করেন কোর্তুয়া। এবার হতাশ করেন মেসিকে। বুসকেতসের বাড়ানো বল থেকে শট নিয়েছিলেন মেসি। তবে ঝাঁপিয়ে পড়ে ফিস্ট করে তা ফিরিয়ে দেন রিয়াল গোলরক্ষক।

৫৬তম মিনিটে অবিশ্বাস্য এক সেভ করেন বার্সেলোনা গোলরক্ষক মার্ক-আন্দ্রেস টের স্টেগেন। মার্সেলোর কাছ থেকে বল পেয়ে ডি-বক্সের সামান্য বাইরে থেকে সময় নিয়ে নিখুঁত এক শট করেন ইসকো। কিন্তু অসাধারণ দক্ষতায় ঝাঁপিয়ে ফিস্ট করে ঠেকিয়ে দেন সে শট।

পাঁচ মিনিট পর আবারো অবিশ্বাস্য একটি সেভ করেন টের স্টেগেন। আবারো হতাশ করেন সেই ইসকোকে। কার্বাহালের ক্রস থেকে ফাঁকায় দারুণ শট নিয়েছিলেন এ স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড। ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকিয়ে দেন স্টেগেন। তবে ফেরানোর পর বল গড়িয়ে জালের দিকেই যাচ্ছিল। একেবারে গোললাইন থেকে তা ফিরিয়ে দেন পিকে।

৬৩তম মিনিটে দারুণ সুযোগ মিস করেন বেনজেমা। দানি কার্বাহালের কাছ থেকে ডান প্রান্তে একেবারে ফাঁকায় বল পেয়েছিলেন এ ফরাসি। কিন্তু তার ভলি লক্ষ্যেই থাকেনি। ৭০তম মিনিটে বদলি নেমেই প্রথম ছোঁয়া গোল দেওয়ার খুব কাছাকাছি চলে গিয়েছিলেন মার্টিন ব্র্যাথওয়েট। সের্জিও রামোসের কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়েছিলেন। তবে শেষ মুহূর্তে নিয়ন্ত্রণ হারালে নষ্ট হয় সে সুযোগ।

তবে পরের মিনিটে পাল্টা আক্রমণ থেকে গোল আদায় করে নেয় রিয়াল। টনি ক্রুসের কাছ থেকে বল আদান প্রদান করে জোরালো শট নিয়েছিলেন ভিনিসিয়াস। তবে পিকের পায়ে লেগে দিক বদলে বল জালে জড়ালে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা।

৭৫তম মিনিটে ফাঁকায় বল পেয়ে গিয়েছিলেন মেসি। তবে মার্সেলোর দারুণ ডিফেন্ডিংয়ে কোন বিপদ হয়নি।

৮৩তম মিনিটে মেসির নেওয়া ফ্রিকিক থেকে ফাঁকায় হেড দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন পিকে। কিন্তু তার হেড লক্ষ্যে থাকেনি। উল্টো ম্যাচের শেষ মুহূর্তে বার্সেলোনার কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন বদলি খেলোয়াড় মারিয়ানো দিয়াজ। কার্বাহালের বাড়ানো বল নিয়ে দারুণ দক্ষতায় দুই ডিফেন্ডারকে পেছনে ফেলে ডি-বক্সে ঢুকে ঠাণ্ডা মাথায় টের স্টেগেনকে পরাস্ত করেন এ তরুণ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত