সিলেটটুডে ডেস্ক

৩১ জুলাই, ২০১৬ ০১:৪৩

পানিবন্দি লাখো মানুষ, ত্রাণের অপেক্ষা

নদী তীর ভাঙছে, সেই সাথে সমানতালে পাল্লা দিয়ে ভাঙছে বাঁধ। এতে করে বাড়ছে মানুষের আতঙ্ক। গাইবান্ধার ওয়াপদা বাঁধ ভেঙে নতুন করে প্লাবিত হয়েছে প্রায় দুই শতাধিক গ্রাম।

ফসলি জমি ডুবে যাওয়ায় কৃষকের কপালেও চিন্তার ছাপ। সব মিলিয়ে উত্তরের জনপদে বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ায় কমছে না বানভাসিদের দুর্ভোগ। দিন কাটছে তাদের এখন ত্রাণের অপেক্ষায়।

এভাবেই ভাঙতে শুরু করেছে, গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার সিংড়িয়া বাজারের ওয়াপদা বাঁধ। ধসে গেছে ব্রহ্মপুত্র নদের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ২শ' মিটার এলাকা। ফলে প্লাবিত হয়েছে দুই শতাধিক গ্রাম। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন লাখো মানুষ। ভেসে গেছে তাদের সবজির ক্ষেত, আবাদি জমি।

এদিকে, সাঘাটা উপজেলার বাধ দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় আতঙ্কে দুর্গত এলাকার মানুষ। বন্ধ হয়ে গেছে, সাঘাটা-ফুলছড়ি-গাইবান্ধা রুটে যান চলাচল। বালির বস্তা ও কলা গাছ ফেলে বাধের পানি আটকানোর চেষ্টা করছেন স্থানীয়রা।

বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে, ফরিদপুরের তিন উপজেলার বেশিরভাগ এলাকা। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ১৮ হাজার পরিবার। বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে এসব এলাকার ২৮টি বিদ্যালয়।

দুর্গত এলাকায় ত্রাণ সরবরাহ করা হলেও তা খুবই কম। এদিকে রেললাইন ডুবে যাওয়ায় জামালপুর-দেওয়ানগঞ্জ রুটে ব্যাহত হচ্ছে, ট্রেন চলাচল। তবে লালমনিরহাট ও নীলফামারিতে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় বন্যা পরিস্থিতির খোঁজখবর রাখতে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত