ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ

২৪ এপ্রিল, ২০২১ ০১:০৯

এভাবে চলতে পারে না!

এভাবে হয় না, এভাবে চলতে পারে না। মান্যবর নীতিনির্ধারকগণ, দয়া করে আর লোক হাসাবেন না, নিজেরাও আর হাসির পাত্র হবেন না। আপনারাই বিশ্বকে প্রথম দেখিয়ে দিলেন লকডাউন কতো প্রকার ও কী কী হতে পারে? মৃদু লকডাউন, কোমল লকডাউন, কঠোর লকডাউন আরও কত কী।

তবে মৃদু লকডাউন বা কোমল লকডাউন বা কঠোর লকডাউন কোনটাতেই আপনারা আজ পর্যন্ত বিন্দুমাত্রও সফলতা আনতে পারেননি এটা প্রমাণিত সত্য। এই ব্যর্থতার জন্য অবশ্য শুধু আপনারাই দায়ী না আমরা অবাধ্য জনগণও কমবেশি দায়ী। আবার আমরাও যে দায়ী সেটাও বা পুরোপুরি মানি কী করে? পেটে ভাত না থাকলে কি পিঠে সয়?

এই কঠোর লকডাউনের মাঝেও আপনাদের সামনে দিয়ে ঝাঁকে ঝাঁকে করোলা নিশান পাজেরো টয়োটা মিতসুবিসি মার্সিডিজ পোরশে শা শা করে ছুটে যাচ্ছে সেটা আপনাদের চোখে বাঁধে না, বাঁধে শুধু আমাদের মতো দিন আনি দিন খাই রিকশাওয়ালাদের। পারেন শুধু আমাদের ঠ্যাঙানি দিতে, আমাদের চাঁদি উল্টাই দিতে।

আবার শুনলাম লকডাউন শেষ না হতেই শপিঙমল মার্কেট সব খুলে দিচ্ছেন। এ কেমন হাস্যকর দ্বিমুখীতা। লকডাউন শেষ করেই না হয় মার্কেটগুলো খুলতেন। তাহলেও তো ব্যাপারটা কিছুটা মানানসই হতো। এ যে একেবারে হবুচন্দ রাজার গবুচন্দ মন্ত্রীর মতো কারবার। অবশ্য এখন পর্যন্ত যে লকডাউন আপনারা চালাচ্ছেন তাতো শুধু কাগজে কলমেই আছে বাস্তবে নেই।

এ থাকা আর না থাকা একই কথা। বলি, এমন লকডাউন-লকডাউন খেলা বাদ দেন। খুলে দেন, সব খুলে দেন। শুধু মুখে মাস্ক পরাটা নিশ্চিত করেন। ধনী গরীব যারেই দেখবেন মুখে মাস্ক পরাটা নিশ্চিত করেন। মরে টরে যে ক'জন বাঁচি।

সারভাইভাল অব দ্য ফিটেস্ট!

ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ: চিকিৎসক।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত