সোশ্যাল মিডিয়া ডেস্ক

১৮ জুন, ২০১৬ ১৭:৪৪

‘বন্দুক, তুমি যুদ্ধ বোঝো, তদন্ত বোঝো না?’

মাদারীপুরে কলেজ শিক্ষক রিপন চক্রবর্তীকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টাকালে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাহরিরের সদস্য গোলাম ফায়জুল্লাহ ফাহিমকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয় জনতা। শুক্রবার (১৭ জুন) মাদারীপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ফাহিমের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তার কাছ থেকে টার্গেট কিলিং সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে বলে আশা করছিলেন সংশ্লিষ্টরা। তবে রিমান্ডের প্রথম দিন মধ্যরাতেই পুলিশের কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় ফাহিম।

এ ঘটনায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। জনপ্রিয় চলচ্চিত্র ও নাট্য নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী নিজের ফেসবুক টাইমলাইনে লিখেছেন-

 

"বন্দুক, তুমি যুদ্ধ বোঝো, তদন্ত বোঝো না?
যেখানে এই আক্রমণের হাত থেকে আস্তিক নাস্তিক, হিন্দু মুসলমান, নারী পুরুষ, সিভিলিয়ান পুলিশ কেউই ছাড় পাচ্ছিলো না, যেখানে এটা দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়তেছিলো এবং আমরা কোনো বিশ্বাসযোগ্য তদন্তের আলামত দেখছিলাম না, সেখানে মাদারীপুরের মানুষ এক আসামী হাতে নাতে ধরে ফেলার পর আশা করছিলাম ভেতরের কলকাঠির সুলুক সন্ধান করা হবে।
সেই স্থলে এই বন্দুকযুদ্ধের কি মানে?
যদিও আমি জানি এই শব্দ ব্যবহারের তাৎপর্য কি, তবুও সংখ্যালঘু শব্দটা কেনো জানি আমি নিতে পারি না। সরাসরি হিন্দু বা অন্য যে পরিচয় আছে সেটা লিখলে কি ক্ষতি? আমার কোনো বন্ধুরে লঘু ভাবতে আমার খুবই আপত্তি হয়।
ছোটবেলা থেকেই আমাদের কোনো হিন্দু বন্ধুরে আমরা কখনো লঘু হিসাবে দেখছি বলে মনে পড়ে না। এই ভাবা বা ডাকার মধ্যেই আমি ঝামেলা পাই। আমার মনে হয় এর মধ্য দিয়ে আমি আমার মতোই একজনকে চাপ দিয়ে ছোটো বানাইয়া দিচ্ছি। আমি তখন আর তার চোখের দিকে তাকাইয়া কথা বলতে পারি না।"

 

প্রসঙ্গত, গত ১৫ জুন মাদারীপুরের সরকারি নাজিমউদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ছাত্রী হোস্টেলের সামনে কলেজের প্রভাষক রিপন চক্রবর্তীর নিজ ভাড়া বাসায় হামলা চালায় ৩ জন দুর্বৃত্ত। এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যাওয়ার সময় ফায়জুল্লাহ ফাহিমকে স্থানীয়রা আটক করে থানায় সোর্পাদ করে।

এ ঘটনায় গত  বৃহস্পতিবার রাতে ফাহিমসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন সদর থানার এসআই আইয়ুব আলী।

তিনি জানান, ঘটনার সময় আটক ফাহিমকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পাওয়া আরও পাঁচজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে মামলায়। তারা হলেন- সালমান তাসকিন, শাহরিয়ার হাসান, জাহিন, রায়হান ও মেজবাহ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত